২৭ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তর-পূর্বে লাগু হবে না অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, আশ্বাস মন্ত্রীর

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৭ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার
  • / 134

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান বিজেপি নেতা সুশীল মোদি প্রথমে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আদিবাসীদের অভিন্ন দেওয়ানি  বিধির আওতার বাইরে রাখা উচিত। আর তার দু’দিন পর কেন্দ্রের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এস পি সিং বাঘেল আরও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে বিজেপি তথা কেন্দ্রের মোদি সরকারের আসল মতলবটা কি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাঘেল সাংবাদিকদের সামনে খোলসা করে বললেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বা ইউসিসি নিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মানুষদের জন্য তথা আদিবাসীদের জন্য কোনও দুশ্চিন্তার বিষয় নেই। এই অঞ্চলের মানুষদের রীতিনীতি, পরম্পরা ও তাদের সংস্কৃতি অধিকারে কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করা হবে না ইউসিসি লাগু হলে। এরপর মন্ত্রী আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, আদিবাসী জনজাতিদের কৃষ্টি-কালচার, রীতিনীতির যে বিভিন্নতা রয়েছে তাকে সম্মান জানায় বিজেপি। আদিবাসীদের স্বার্থবিরোধী কোনও আইন আনবে না বিজেপি সরকার বলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষদের আশ্বস্ত করলেন বাঘেল। ইউসিসি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যুক্তি দিয়ে আরও ভালোভাবে বোঝাতে চাইলেন যে, ভারতের সংবিধানের ৬ষ্ঠ তপশিলে অসম, ত্রিপুরা, মিজোরাম-সহ আদিবাসী অঞ্চলের জন্য বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। সেটা বজায় থাকবে।

উত্তর-পূর্বাঞ্চল ছাড়া অন্যান্য রাজ্যের আদিবাসীদের ক্ষোভ প্রশমনে  আলোচনা চলছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সুশীল মোদির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে সাংবাদিকরা সংরক্ষিত কেন্দ্র থেকে জেতা এই বিজেপি সাংসদের অভিমত জানতে চেয়েছিল। বাঘেল একসময় সপা ও বসপার বড় নেতা ছিলেন, যিনি তপশিলি আদিবাসী ও দলিতদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলতেন।

ইউসিসি নিয়ে সারাদেশে আদিবাসী ক্ষোভ লক্ষ্য করার পর মুশকিল আসানে বিজেপি এই জুনিয়র মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। আর সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে ইউনিফর্ম সিভিল কোড তৈরি হচ্ছে কাদের উদ্দেশ্যে। আর সেই কারণে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে, তাহলে আদিবাসীদের মতো দেশের সমস্ত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরকেও ইউসিসির আওতার বাইরে রাখার ব্যবস্থা করা হোক। কেন-না সংবিধানে তাদেরও ধর্মীয় স্বাধীনতা ও কৃষ্টি-কালচারের সংরক্ষণের অধিকার দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

উত্তর-পূর্বে লাগু হবে না অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, আশ্বাস মন্ত্রীর

আপডেট : ৭ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান বিজেপি নেতা সুশীল মোদি প্রথমে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আদিবাসীদের অভিন্ন দেওয়ানি  বিধির আওতার বাইরে রাখা উচিত। আর তার দু’দিন পর কেন্দ্রের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এস পি সিং বাঘেল আরও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে বিজেপি তথা কেন্দ্রের মোদি সরকারের আসল মতলবটা কি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাঘেল সাংবাদিকদের সামনে খোলসা করে বললেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বা ইউসিসি নিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মানুষদের জন্য তথা আদিবাসীদের জন্য কোনও দুশ্চিন্তার বিষয় নেই। এই অঞ্চলের মানুষদের রীতিনীতি, পরম্পরা ও তাদের সংস্কৃতি অধিকারে কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করা হবে না ইউসিসি লাগু হলে। এরপর মন্ত্রী আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, আদিবাসী জনজাতিদের কৃষ্টি-কালচার, রীতিনীতির যে বিভিন্নতা রয়েছে তাকে সম্মান জানায় বিজেপি। আদিবাসীদের স্বার্থবিরোধী কোনও আইন আনবে না বিজেপি সরকার বলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষদের আশ্বস্ত করলেন বাঘেল। ইউসিসি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যুক্তি দিয়ে আরও ভালোভাবে বোঝাতে চাইলেন যে, ভারতের সংবিধানের ৬ষ্ঠ তপশিলে অসম, ত্রিপুরা, মিজোরাম-সহ আদিবাসী অঞ্চলের জন্য বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। সেটা বজায় থাকবে।

উত্তর-পূর্বাঞ্চল ছাড়া অন্যান্য রাজ্যের আদিবাসীদের ক্ষোভ প্রশমনে  আলোচনা চলছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সুশীল মোদির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে সাংবাদিকরা সংরক্ষিত কেন্দ্র থেকে জেতা এই বিজেপি সাংসদের অভিমত জানতে চেয়েছিল। বাঘেল একসময় সপা ও বসপার বড় নেতা ছিলেন, যিনি তপশিলি আদিবাসী ও দলিতদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলতেন।

ইউসিসি নিয়ে সারাদেশে আদিবাসী ক্ষোভ লক্ষ্য করার পর মুশকিল আসানে বিজেপি এই জুনিয়র মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। আর সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে ইউনিফর্ম সিভিল কোড তৈরি হচ্ছে কাদের উদ্দেশ্যে। আর সেই কারণে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে, তাহলে আদিবাসীদের মতো দেশের সমস্ত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরকেও ইউসিসির আওতার বাইরে রাখার ব্যবস্থা করা হোক। কেন-না সংবিধানে তাদেরও ধর্মীয় স্বাধীনতা ও কৃষ্টি-কালচারের সংরক্ষণের অধিকার দেওয়া হয়েছে।