২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে অশনি! অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা সহ পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৯ মে ২০২২, সোমবার
  • / 72

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা সহ পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি। দক্ষিণ আন্দমান সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ রবিবার ভোরেই ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেয়। আবহবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘন্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে  অশনি।  ক্রমশই সময়ের সঙ্গে শক্তি বাড়াতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত স্থলপথে না ঢুকে সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওড়িশা উপকূলের দিকে প্রতি ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে অশনি। পুরী থেকে অশনি এই মুহূর্তে অশনি ৬৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।

আরও পড়ুন: মুরগির মাংসের দাম নিম্নমুখী, চিন্তার ভাঁজ ব্যবসায়ীদের

ভারতীয় আবহাওয়া দফতর অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। শনিবার থেকেই সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে নেমেছে কলকাতা পুরসভা। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পুরসভার কর্মচারীকে সতর্ক থাকতে দেওয়া দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে ।

এদিকে সোমবার সকাল থেকে কলকাতায় ঝোড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। কলকাতার পর্ণশ্রী,পার্ক সার্কাস,পার্ক স্ট্রিট সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন,ঘূর্ণিঝড় আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কায় পুরসভার সমস্ত কর্মীদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। সমস্ত কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হচ্ছে।

ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূলবর্তী এলাকায় মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। সেইসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় জেলাগুলির দু-এক জায়গায় ভারী বর্ষণেরও সতর্কবার্তা সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

এই জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই পাকা বাড়ি, স্কুলগুলিতে শুকনো খাবার, জরুরি ওষুধের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রবিবার সকালেই আইএমডি আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ঘূর্ণিঝড়ের দাপট আরও তীব্র হতে পারে। অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। আইএমডি আরও জানায়, আগামী ১০ মে পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ সহ ওড়িশা উপকূল থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। এটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে ফিরে আসার এবং ওড়িশা উপকূল থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হওয়ার খুব সম্ভাবনা । আগামী ৪৮ ঘন্টায় এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

আইএমডি পূর্বাভাস অনুসারে অশনি অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশায় ল্যান্ডফল করবে না, এটি ১০ মে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সমুদ্রে ফিরে আসবে।উপকূলীয় অঞ্চলে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার চলছে। স্থানীয় পঞ্চায়েতে মাধ্যমে স্থানীয়দের প্রচার চালানো হচ্ছে। জরুরি মোবাকিলা দলকে বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। ওড়িশায় এসডিআরএফ ও এনডিআরএফ-এর তরফে নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ওড়িশা সরকার বলেছে, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত করবে না জেনেও বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

ওড়িশা স্পেশাল রিলিফ কমিশনার প্রদীপ জেনা জানিয়েছে, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস রাজ্যেকে কিছুটা স্বস্তি দিলেও ১৮ টি জেলার ৭.৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদে সরানো হয়েছে। তবে দুর্যোগ মোবাবিলায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সহ দমকল বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে উপকূলীয় ওড়িশার জেলাগুলিতে অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গজপতি, গঞ্জাম এবং পুরী জেলার এক বা দুটি জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। পর্যটনকে ১০ থেকে ১২ মে উপকূলের দিকে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। নিষেধদাজ্ঞা জারি আছে মৎস্যজীবীদের জন্য।  ১০-১২ মে অন্ধ্র উপকূলে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি।

 

 

 

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে অশনি! অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা সহ পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি

আপডেট : ৯ মে ২০২২, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা সহ পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি। দক্ষিণ আন্দমান সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ রবিবার ভোরেই ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেয়। আবহবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘন্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে  অশনি।  ক্রমশই সময়ের সঙ্গে শক্তি বাড়াতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত স্থলপথে না ঢুকে সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওড়িশা উপকূলের দিকে প্রতি ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে অশনি। পুরী থেকে অশনি এই মুহূর্তে অশনি ৬৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।

আরও পড়ুন: মুরগির মাংসের দাম নিম্নমুখী, চিন্তার ভাঁজ ব্যবসায়ীদের

ভারতীয় আবহাওয়া দফতর অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। শনিবার থেকেই সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে নেমেছে কলকাতা পুরসভা। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পুরসভার কর্মচারীকে সতর্ক থাকতে দেওয়া দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে ।

এদিকে সোমবার সকাল থেকে কলকাতায় ঝোড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। কলকাতার পর্ণশ্রী,পার্ক সার্কাস,পার্ক স্ট্রিট সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন,ঘূর্ণিঝড় আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কায় পুরসভার সমস্ত কর্মীদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। সমস্ত কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হচ্ছে।

ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূলবর্তী এলাকায় মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। সেইসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় জেলাগুলির দু-এক জায়গায় ভারী বর্ষণেরও সতর্কবার্তা সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

এই জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই পাকা বাড়ি, স্কুলগুলিতে শুকনো খাবার, জরুরি ওষুধের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রবিবার সকালেই আইএমডি আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ঘূর্ণিঝড়ের দাপট আরও তীব্র হতে পারে। অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। আইএমডি আরও জানায়, আগামী ১০ মে পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ সহ ওড়িশা উপকূল থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। এটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে ফিরে আসার এবং ওড়িশা উপকূল থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হওয়ার খুব সম্ভাবনা । আগামী ৪৮ ঘন্টায় এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

আইএমডি পূর্বাভাস অনুসারে অশনি অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশায় ল্যান্ডফল করবে না, এটি ১০ মে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সমুদ্রে ফিরে আসবে।উপকূলীয় অঞ্চলে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার চলছে। স্থানীয় পঞ্চায়েতে মাধ্যমে স্থানীয়দের প্রচার চালানো হচ্ছে। জরুরি মোবাকিলা দলকে বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। ওড়িশায় এসডিআরএফ ও এনডিআরএফ-এর তরফে নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ওড়িশা সরকার বলেছে, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত করবে না জেনেও বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

ওড়িশা স্পেশাল রিলিফ কমিশনার প্রদীপ জেনা জানিয়েছে, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস রাজ্যেকে কিছুটা স্বস্তি দিলেও ১৮ টি জেলার ৭.৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদে সরানো হয়েছে। তবে দুর্যোগ মোবাবিলায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সহ দমকল বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে উপকূলীয় ওড়িশার জেলাগুলিতে অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গজপতি, গঞ্জাম এবং পুরী জেলার এক বা দুটি জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। পর্যটনকে ১০ থেকে ১২ মে উপকূলের দিকে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। নিষেধদাজ্ঞা জারি আছে মৎস্যজীবীদের জন্য।  ১০-১২ মে অন্ধ্র উপকূলে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি।