২১ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্যুইটারের সিইও পদ ছাড়বেন এলন মাস্ক?

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 118

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: এলন মাস্কের প্রশ্ন, টুইটারের সিইও পদে কি তাঁর থাকা উচিত? না কি সেই ভার তাঁর বদলে তুলে দেওয়া উচিত অন্য কোনও যোগ্য ব্যক্তির কাঁধে? এই প্রশ্ন এবং তাঁর দু’টি সম্ভাব্য জবাব নিয়ে জনতার দরবারে হাজির হয়েছেন এলন।

একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, জনতা যে রায়ই দিক না কেন তিনি তা মাথা পেতে নেবেন এবং পালন করবেন।

রবিবার রাতে টুইটারে নিজের অ্যাকাউন্টেই এ সংক্রান্ত একটি ভোটিং চালু করেছেন তিনি। এলনের প্রশ্নের জবাব জনগণ দিতে পারবেন ভোটদান করে। সোমবার ভোটিং শেষের পর খুব সম্ভব জানা যাবে এলনই টুইটারের প্রধান থাকছেন কি না।

এলন অবশ্য এটা জানাননি, তিনি না থাকলে তাঁর পদে কে দায়িত্ব নিতে চলেছেন। সেটা সম্ভবত ভোটিংয়ের পরই ঠিক হবে বলে অনুমান।

অন্য দিকে, ভোটিংয়ের ফল যদি এলনের বিদায় হয়, তবে তিনি কবে বিদায় নেবেন তাও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য, গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা টেসলার প্রধান এলন টুইটার দখল করার পরই অর্ধেক কর্মীকে ছাঁটাই করা হয় সংস্থাটি থেকে। সরিয়ে দেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ কর্তাব্যক্তিদের। এ ছাড়াও টুইটারে বহু নীতিগত বদল আনেন এলন।

যার মধ্যে টুইটারের ব্লু টিক অ্যাকাউন্টকে চাঁদা ভিত্তিক করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে গোটা বিশ্বে হইচই পড়ে যায়। এ ছাড়াও এলনের সম্পত্তি নিয়ে প্রতিবেদন লেখা বেশ কিছু সাংবাদিকের টুইটার অ্যাকাউন্ট অচল হয়ে যাওয়ায় তা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়।

অনেকেই জানতে চান টুইটার কি তবে সংবাদ মাধ্যমের মুখ বন্ধ করতে চায়? গত ২৭ অক্টোবরের পর থেকে এমনই একের পর বিতর্কে বিদ্ধ হয়েছে এলন এবং তাঁর টুইটার। তবে এলনের নতুন ঘোষণায় সংস্থার নীতিতে বদল আসতে পারে বলে ধারণা।

Tag :

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ট্যুইটারের সিইও পদ ছাড়বেন এলন মাস্ক?

আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: এলন মাস্কের প্রশ্ন, টুইটারের সিইও পদে কি তাঁর থাকা উচিত? না কি সেই ভার তাঁর বদলে তুলে দেওয়া উচিত অন্য কোনও যোগ্য ব্যক্তির কাঁধে? এই প্রশ্ন এবং তাঁর দু’টি সম্ভাব্য জবাব নিয়ে জনতার দরবারে হাজির হয়েছেন এলন।

একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, জনতা যে রায়ই দিক না কেন তিনি তা মাথা পেতে নেবেন এবং পালন করবেন।

রবিবার রাতে টুইটারে নিজের অ্যাকাউন্টেই এ সংক্রান্ত একটি ভোটিং চালু করেছেন তিনি। এলনের প্রশ্নের জবাব জনগণ দিতে পারবেন ভোটদান করে। সোমবার ভোটিং শেষের পর খুব সম্ভব জানা যাবে এলনই টুইটারের প্রধান থাকছেন কি না।

এলন অবশ্য এটা জানাননি, তিনি না থাকলে তাঁর পদে কে দায়িত্ব নিতে চলেছেন। সেটা সম্ভবত ভোটিংয়ের পরই ঠিক হবে বলে অনুমান।

অন্য দিকে, ভোটিংয়ের ফল যদি এলনের বিদায় হয়, তবে তিনি কবে বিদায় নেবেন তাও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য, গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা টেসলার প্রধান এলন টুইটার দখল করার পরই অর্ধেক কর্মীকে ছাঁটাই করা হয় সংস্থাটি থেকে। সরিয়ে দেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ কর্তাব্যক্তিদের। এ ছাড়াও টুইটারে বহু নীতিগত বদল আনেন এলন।

যার মধ্যে টুইটারের ব্লু টিক অ্যাকাউন্টকে চাঁদা ভিত্তিক করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে গোটা বিশ্বে হইচই পড়ে যায়। এ ছাড়াও এলনের সম্পত্তি নিয়ে প্রতিবেদন লেখা বেশ কিছু সাংবাদিকের টুইটার অ্যাকাউন্ট অচল হয়ে যাওয়ায় তা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়।

অনেকেই জানতে চান টুইটার কি তবে সংবাদ মাধ্যমের মুখ বন্ধ করতে চায়? গত ২৭ অক্টোবরের পর থেকে এমনই একের পর বিতর্কে বিদ্ধ হয়েছে এলন এবং তাঁর টুইটার। তবে এলনের নতুন ঘোষণায় সংস্থার নীতিতে বদল আসতে পারে বলে ধারণা।