ওয়াশিংটন, ২৮ এপ্রিল: ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে চলমান বিক্ষোভে নিয়ে অস্বস্তিতে বাইডেন প্রশাসন। এবার ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ দমাতে ব্যাপক ধরপাকড় চালাল পুলিশ। ইতিমধ্যে ৫৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। পুলিশি অত্যাচারের পরও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা গাজাবাসীর সঙ্গে রয়েছে। তাঁদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যেন ইসরাইলে তাদের বিনিয়োগ বন্ধ করে দেয়।
বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। গত কদিন আগেই ফিলিস্তিনের সমর্থনে চলা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটির অধ্যক্ষ ক্যারোলিন ফহলিন। তাকে রীতিমত রাস্তায় ফেলে ধস্তাধস্তি করে গ্রেফতার করে মার্কিন পুলিশ। আটলান্টা পুলিশ ও জর্জিয়ার ট্রুপারস নামের পুলিশ বাহিনী আন্দোলনকারীদের তাবু উচ্ছেদে এমরি ইউনিভার্সিটিতে যৌথ অভিযান চালিয়েছে। সেখানে ২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এমরি ইউনিভার্সিটির ইংরেজি এবং আদিবাসী অধ্যয়নের অধ্যাপক এমিল কেমে বলেন, ‘পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বাধ্য করেছে। আমার মনে হচ্ছিল, আমি যুদ্ধক্ষেত্রে রয়েছি। সব পুলিশের হাতে অস্ত্রশস্ত্র ছিল।’
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয় মার্কিন পুলিশ। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বহিষ্কার করা থেকে পুলিশ দিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। একশোর বেশি পড়ুয়াকে গ্রেফতার করে মার্কিন পুলিশ। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেঁটে পড়েন পড়ুয়ারা। এরপরই অন্যান্য মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও বিক্ষোভের ডাক দেয়। আমেরিকার বিভিন্নে শহরের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় চলছে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ। গত ১৭ এপ্রিল থেকে নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৫০টি তাঁবু গেড়ে সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন বহু পড়ুয়া।