২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাবা শরীফে চালু বিশ্বের সবচেয়ে বড় কুলিং প্ল্যান্ট

চামেলি দাস
  • আপডেট : ৪ জুন ২০২৫, বুধবার
  • / 211

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সউদি আরব হজ মৌসুমে কাবা শরীফে হজযাত্রীদের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শীতলীকরণ ব্যবস্থা চালু করেছে। ‘আল-হারাম’ মসজিদে আগত লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান যেন চরম গরমেও স্বাচ্ছন্দ্যে ইবাদত করতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই এই উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কুলিং সিস্টেম চালু করেছে সেদেশের কর্তৃপক্ষ।

সউদি আরবের ‘দুই পবিত্র মসজিদের সাধারণ কর্তৃপক্ষ’ পরিচালিত এই বিশাল শীতলীকরণ ব্যবস্থার মোট ক্ষমতা ১ লাখ ৫৫ হাজার টন রেফ্রিজারেশন। মসজিদের মূল চত্বর ও সম্প্রসারিত এলাকাগুলিকে ঠান্ডা রাখতেই এটি নিরবচ্ছিন্নভাবে ২৪ ঘণ্টা পরিচালিত হয়। অত্যাধুনিক এই সিস্টেমের সাহায্যে মসজিদের অভ্যন্তরের তাপমাত্রা ২২ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা সম্ভব হচ্ছে, যা বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে হাজিদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়।

আরও পড়ুন: লখনউতে অবতরণের সময়ই চাকায় ধরল আগুন, সউদি আরব থেকে ২৫০ জন হজযাত্রীকে নিয়ে ফিরছিল

এই কুলিং ব্যবস্থা দু’টি প্রধান কেন্দ্র থেকে পরিচালিত হয়; শামিয়া স্টেশন (১ লাখ ২০ হাজার টন) এবং আজিয়াদ স্টেশন (৩৫ হাজার টন)। এখান থেকে ঠান্ডা ও বিশুদ্ধ বাতাস সরবরাহ করা হয় মসজিদের সমস্ত নামাযের স্থান এবং সম্প্রসারিত অংশজুড়ে।

আরও পড়ুন: হজ সমাপন করে ঘরে ফিরবেন বাংলার হাজিরা, প্রস্তুতি বৈঠক হজ কমিটির

শুধু ঠান্ডা বাতাসই নয়, বাতাসের গুণগত মানও নিশ্চিত করা হয়েছে উন্নতমানের এয়ার ফিল্টারেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে বাতাসের ৯৫ শতাংশেরও বেশি ধুলিকণা ও জীবাণু ছেঁকে ফেলা সম্ভব হচ্ছে, ফলে হাজিরা পাচ্ছেন পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ।

আরও পড়ুন: হজ শুরু: তাঁবুর শহর মিনায় উপস্থিত আল্লাহর মেহমানরা

হজ মৌসুমে প্রচণ্ড চাপ মোকাবিলার জন্য রক্ষণাবেক্ষণেও রাখা হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন থেকে শুরু করে কুলিং স্টেশনগুলোর নিরাপত্তা ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার দিকে সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে। সউদি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই শীতলীকরণ ব্যবস্থা তাদের বৃহত্তর লক্ষ্য; হাজিদের জন্য সর্বোচ্চ মানের সেবা ও অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার অংশ।

এই পদক্ষেপ সউদি আরবের দীর্ঘমেয়াদি সেই পরিকল্পনার অংশ, যার মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতাগুলোকে আরও নিরাপদ, সুসংগঠিত ও আরামদায়ক করা হচ্ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কাবা শরীফে চালু বিশ্বের সবচেয়ে বড় কুলিং প্ল্যান্ট

আপডেট : ৪ জুন ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সউদি আরব হজ মৌসুমে কাবা শরীফে হজযাত্রীদের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শীতলীকরণ ব্যবস্থা চালু করেছে। ‘আল-হারাম’ মসজিদে আগত লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান যেন চরম গরমেও স্বাচ্ছন্দ্যে ইবাদত করতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই এই উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কুলিং সিস্টেম চালু করেছে সেদেশের কর্তৃপক্ষ।

সউদি আরবের ‘দুই পবিত্র মসজিদের সাধারণ কর্তৃপক্ষ’ পরিচালিত এই বিশাল শীতলীকরণ ব্যবস্থার মোট ক্ষমতা ১ লাখ ৫৫ হাজার টন রেফ্রিজারেশন। মসজিদের মূল চত্বর ও সম্প্রসারিত এলাকাগুলিকে ঠান্ডা রাখতেই এটি নিরবচ্ছিন্নভাবে ২৪ ঘণ্টা পরিচালিত হয়। অত্যাধুনিক এই সিস্টেমের সাহায্যে মসজিদের অভ্যন্তরের তাপমাত্রা ২২ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা সম্ভব হচ্ছে, যা বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে হাজিদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়।

আরও পড়ুন: লখনউতে অবতরণের সময়ই চাকায় ধরল আগুন, সউদি আরব থেকে ২৫০ জন হজযাত্রীকে নিয়ে ফিরছিল

এই কুলিং ব্যবস্থা দু’টি প্রধান কেন্দ্র থেকে পরিচালিত হয়; শামিয়া স্টেশন (১ লাখ ২০ হাজার টন) এবং আজিয়াদ স্টেশন (৩৫ হাজার টন)। এখান থেকে ঠান্ডা ও বিশুদ্ধ বাতাস সরবরাহ করা হয় মসজিদের সমস্ত নামাযের স্থান এবং সম্প্রসারিত অংশজুড়ে।

আরও পড়ুন: হজ সমাপন করে ঘরে ফিরবেন বাংলার হাজিরা, প্রস্তুতি বৈঠক হজ কমিটির

শুধু ঠান্ডা বাতাসই নয়, বাতাসের গুণগত মানও নিশ্চিত করা হয়েছে উন্নতমানের এয়ার ফিল্টারেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে বাতাসের ৯৫ শতাংশেরও বেশি ধুলিকণা ও জীবাণু ছেঁকে ফেলা সম্ভব হচ্ছে, ফলে হাজিরা পাচ্ছেন পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ।

আরও পড়ুন: হজ শুরু: তাঁবুর শহর মিনায় উপস্থিত আল্লাহর মেহমানরা

হজ মৌসুমে প্রচণ্ড চাপ মোকাবিলার জন্য রক্ষণাবেক্ষণেও রাখা হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন থেকে শুরু করে কুলিং স্টেশনগুলোর নিরাপত্তা ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার দিকে সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে। সউদি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই শীতলীকরণ ব্যবস্থা তাদের বৃহত্তর লক্ষ্য; হাজিদের জন্য সর্বোচ্চ মানের সেবা ও অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার অংশ।

এই পদক্ষেপ সউদি আরবের দীর্ঘমেয়াদি সেই পরিকল্পনার অংশ, যার মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতাগুলোকে আরও নিরাপদ, সুসংগঠিত ও আরামদায়ক করা হচ্ছে।