০২ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খাবারের লোভ দেখিয়ে মূক ও বধির নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ, গ্রেপ্তার যুবক

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ৭ নভেম্বর ২০২১, রবিবার
  • / 10

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ বছরের মূক ও বধির কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর টাউন থানার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ওল্ড সেটলমেন্ট এলাকায়। ধৃতের নাম কে অরবিন্দ( ২৪)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, বছর আটেক আগে নাবালিকা হারিয়েছে মাকে।বাবা তার কোনও খোঁজখবর নেন না। ঠাকুমা ও ঠাকুরদার অভাবের সংসারেই দিন কাটত ১৫ বছরের ওই কিশোরীর। তার বাড়ির উলটোদিকে যাতায়াত ছিল অরবিন্দর। সেই সুবাদে কিশোরীকে চিনত সে । অভিযোগ, শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ কিশোরীকে খাবারের লোভ দেখিয়ে নিজের মোটরবাইকে চাপিয়ে নিয়ে যায় অরবিন্দ।

কিশোরী অনেকক্ষণ বাড়িতে না ফেরায় শুরু হয়েছিল খোঁজাখুঁজি। বাড়ির লোকজনের পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও বিভিন্ন জায়গায় কিশোরীকে খুঁজছিলেন। বাড়ি ফিরে ইশারায় নিজের ওপর হওয়া নির্যাতনের কথা জানায় ১৫ বছরের ওই নাবালিকা। তার কথা শুনেই থানায় যান সকলে।

কিশোরীর ঠাকুমা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই অরবিন্দকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।স্থানীয়দের অভিযোগ, কুকর্ম করে নিশ্চিন্তে নিজের বাড়িতে ফিরে যায় অরবিন্দ। সে ভেবেছিল, মূক ও বধির কিশোরী হয়ত কাউকে শারীরিক অত্যাচারের কথা বলতে পারবে না।
খড়গপুর টাউন থানার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার তথা খড়গপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন প্রদীপ সরকার বলেন, “দোষীদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক। রেলের পাম্পহাউসের চাবি রেলকর্মীদের কাছেই থাকার কথা। তা কীভাবে বহিরাগতর কাছে যেতে পারে? “

পুলিশ এখনও এই ঘটনাকে গণধর্ষণ বলতে নারাজ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়গপুর) রাণা মুখোপাধ্যায় বলেন, “আপাতত একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন নাবালিকার ঠাকুমা। তাই একজনকে ধরা হয়েছে। পকসো আইনে মামলা নথিভূক্ত করা হয়েছে।” অরবিন্দের কাছ থেকে রেলের পাম্পহাউসের চাবি উদ্ধার হয়েছে। সেই চাবি কীভাবে এল? তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। তাহলে কি রেলের আরও কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে। বিষয়টি ভাবাচ্ছে পুলিশকে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

খাবারের লোভ দেখিয়ে মূক ও বধির নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ, গ্রেপ্তার যুবক

আপডেট : ৭ নভেম্বর ২০২১, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ বছরের মূক ও বধির কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর টাউন থানার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ওল্ড সেটলমেন্ট এলাকায়। ধৃতের নাম কে অরবিন্দ( ২৪)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, বছর আটেক আগে নাবালিকা হারিয়েছে মাকে।বাবা তার কোনও খোঁজখবর নেন না। ঠাকুমা ও ঠাকুরদার অভাবের সংসারেই দিন কাটত ১৫ বছরের ওই কিশোরীর। তার বাড়ির উলটোদিকে যাতায়াত ছিল অরবিন্দর। সেই সুবাদে কিশোরীকে চিনত সে । অভিযোগ, শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ কিশোরীকে খাবারের লোভ দেখিয়ে নিজের মোটরবাইকে চাপিয়ে নিয়ে যায় অরবিন্দ।

কিশোরী অনেকক্ষণ বাড়িতে না ফেরায় শুরু হয়েছিল খোঁজাখুঁজি। বাড়ির লোকজনের পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও বিভিন্ন জায়গায় কিশোরীকে খুঁজছিলেন। বাড়ি ফিরে ইশারায় নিজের ওপর হওয়া নির্যাতনের কথা জানায় ১৫ বছরের ওই নাবালিকা। তার কথা শুনেই থানায় যান সকলে।

কিশোরীর ঠাকুমা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই অরবিন্দকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।স্থানীয়দের অভিযোগ, কুকর্ম করে নিশ্চিন্তে নিজের বাড়িতে ফিরে যায় অরবিন্দ। সে ভেবেছিল, মূক ও বধির কিশোরী হয়ত কাউকে শারীরিক অত্যাচারের কথা বলতে পারবে না।
খড়গপুর টাউন থানার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার তথা খড়গপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন প্রদীপ সরকার বলেন, “দোষীদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক। রেলের পাম্পহাউসের চাবি রেলকর্মীদের কাছেই থাকার কথা। তা কীভাবে বহিরাগতর কাছে যেতে পারে? “

পুলিশ এখনও এই ঘটনাকে গণধর্ষণ বলতে নারাজ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়গপুর) রাণা মুখোপাধ্যায় বলেন, “আপাতত একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন নাবালিকার ঠাকুমা। তাই একজনকে ধরা হয়েছে। পকসো আইনে মামলা নথিভূক্ত করা হয়েছে।” অরবিন্দের কাছ থেকে রেলের পাম্পহাউসের চাবি উদ্ধার হয়েছে। সেই চাবি কীভাবে এল? তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। তাহলে কি রেলের আরও কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে। বিষয়টি ভাবাচ্ছে পুলিশকে।