দাচিগামে ‘অপারেশন মহাদেব’: নিহত ৩ জঙ্গির সঙ্গে পহেলগাঁও হামলার প্রমাণ

- আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 26
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কাশ্মীরের দাচিগামে নিরাপত্তা বাহিনীর ‘অপারেশন মহাদেব’-এ নিহত হওয়া তিন জঙ্গির সঙ্গে ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার সরাসরি যোগ মিলেছে। মঙ্গলবার সংসদে এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ফরেন্সিক পরীক্ষায় প্রমাণ মিলেছে যে, ওই তিন জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র থেকেই ছোড়া হয়েছিল পহেলগাঁওয়ে ঘটনাস্থলে পাওয়া গুলির খোল ও কার্তুজ।
অমিত শাহ বলেন, ‘‘চণ্ডীগড়ের ফরেন্সিক ল্যাবে ব্যালিস্টিক পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ মিল পাওয়া গিয়েছে। পহেলগাঁওয়ে যেসব গুলি চালানো হয়েছিল, সেগুলিই ছোড়া হয়েছিল অভিযানে উদ্ধার হওয়া এম-৯ আমেরিকান রাইফেল ও দুই একে-৪৭ রাইফেল থেকে।’’
তিনি জানান, সোমবার ভোরে ‘অপারেশন মহাদেব’-এ তিন জঙ্গিকে নিকেশ করে সেনা, সিআরপিএফ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। পরে দেহগুলি শনাক্ত করেন স্থানীয় বাসিন্দারা, যারা ওই জঙ্গিদের খাবার ও আশ্রয় দিয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে দু’জনের কাছ থেকে পাকিস্তানের ভোটার আইডি নম্বর পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে পাকিস্তানে তৈরি চকোলেটও।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পহেলগাঁও হামলার পরদিন অর্থাৎ ২৩ এপ্রিল তিনি personally শ্রীনগরে পৌঁছন এবং একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। সেনা, সিআরপিএফ, বিএসএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে এলাকা চিহ্নিত করা হয়। গোয়েন্দা সূত্রে ২২ মে জানা যায়, দাচিগামে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে। এরপর দীর্ঘ দু’মাস ধরে আধুনিক সেন্সর ও অন্যান্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি চলে।
শেষ পর্যন্ত, ২৮ জুলাই ভোরে শুরু হয় ‘অপারেশন মহাদেব’। সংঘর্ষে তিন জঙ্গি নিহত হয় এবং অভিযানে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রশস্ত্র রাতারাতি পাঠানো হয় চণ্ডীগড়ের ফরেন্সিক গবেষণাগারে। সেখানকার ব্যালিস্টিক রিপোর্টে পহেলগাঁওয়ে উদ্ধার হওয়া গুলির খোল ও অভিযানে ব্যবহৃত অস্ত্রের মধ্যে ১০০ শতাংশ মিল পাওয়া যায়।
অমিত শাহ সংসদে বলেন, ‘‘সন্দেহের কোনও জায়গা নেই। ব্যালিস্টিক রিপোর্টে স্বাক্ষর করেছেন দেশের সেরা বিজ্ঞানীরা। ভিডিও কলের মাধ্যমে ভোর ৪টা ৪৬ মিনিটে আমাকে নিশ্চিত করে জানানো হয় এই মিলের কথা।’’
কেন্দ্রের দাবি, এই প্রমাণ থেকেই স্পষ্ট—দাচিগামে নিহত তিন জঙ্গিই পহেলগাঁও হামলার মূল অভিযুক্ত। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে চালানো হবে এবং কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাস দমন প্রক্রিয়া আরও কঠোর হবে।