দুই মুসলিম যুবককে ঘিরে ধরে নির্মম নির্যাতন, প্রাণে মারার চেষ্টা

- আপডেট : ২৫ জুন ২০২৫, বুধবার
- / 12

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}
দেরাদুন: মুসলিম দুই ব্যবসায়ীকে ঘিরে ধরে নির্মমভাবে নির্যাতন চালাল একদল ব্যক্তি। উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল জেলায় দুই মুসলিম ব্যবসায়ীকে অকথ্য ভাষায় করার পাশাপাশি তাদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এলাকায় তাদের ব্যবসা করতেও বাধা দেওয়া হয়। আহতরা হলেন- মহম্মদ ওয়াসিম ও মহম্মদ ফারদিন। তারা উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগর জেলার বাসিন্দা। দুজনেই গত দশ বছর ধরে উত্তরাখণ্ডে কার্পেট বিক্রেতা হিসাবে কাজ করেন। গত ১৭ জুন মুক্তেশ্বর এলাকায় এ হামলা হয়। ওয়াসিম বলেন, গাড়ি চালানোর সময় এক ব্যক্তি তাকে থামান। তার পরিচয়পত্র পরীক্ষা করতে চান। কাগজপত্র পরীক্ষা করার পর ওই ব্যক্তি ‘মোল্লা’, ‘কাটোয়া’র মতো সাম্প্রদায়িক গালিগালাজ করতে শুরু করেন। সঙ্গে কাগজগুলি ছিড়ে ফেলেন। হুমকি দিয়ে বলেন, এলাকায় মুসলিমদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। সূত্রের খবর, প্রাণ ভয়ে ওই এলাকা থেকে চলে যাওয়ার সময় আক্রমণকারী ব্যক্তি আরও লোক জড়ো করেন তার পথ আটকায়। সেখানে তার ওপর চড়াও হয় তারা। নির্যাতনের শিকার যুবক জানায়, “এক ব্যক্তি আমাকে ও আমার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পেট্রোল খুঁজতে যায়। কোনো সন্ধান না পেয়ে সে তার বাইক থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাকে আক্রমণ করতে আসে। আমার গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় এবং আমার মাথায় আঘাত করে।”
অভিযোগ, এক হামলাকারী একটি কুকুরের কলার নিয়ে এসে ওয়াসিমকে পরতে বাধ্য করে। তারপর তাকে কুকুরের মত টানা হিচড়া করা হয়। আক্রমণকারীরা তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ওই এলাকায় আর কখনও আসবেন না বলার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। ওয়াসিম বলেন, “হামলাকারী দলে ছিল ছয় থেকে সাতজন। আমি আমার জীবনের জন্য ভিক্ষা চেয়েছিলাম। তাদের বলেছিলাম যে আমার ছোট বাচ্চা আছে, আমার স্ত্রী গর্ভবতী এবং আমার বাবা মাত্র এক মাস আগে মারা গেছেন। তারা আমাকে মাটিতে নাক ঘষতে বাধ্য করে এবং আমাকে তাদের পায়ে মাথা রাখতে বাধ্য করে। একজন বয়স্ক মহিলা হস্তক্ষেপ করে আমাকে উদ্ধার করেন।” অন্যদিকে, ফারদিন নামের আরেক মুসলিম যুবক গুরুতর জখম হয়েছেন। তার মাথায় সেলাই এবং পিঠ ও পায়ে গভীর কাটা ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
জানা গিয়েছে, ঘটনার পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১১৫, ৩০৯(৪), ৩২৪(৬), ৩৫১(২) এবং ৩৫২ ধারায় বনভুলপুরা থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের অভিযোগে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা নগদ ৫,০০০ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং ব্যবসায়ীদের কার্পেটও চুরি করে। যদিও এখনও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। একজনকে কিছুক্ষণের জন্য আটক করা হয় এবং পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। নৈনিতাল পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।