০১ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে বীরভূমের ৫ শ্রমিককে ওড়িশার ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখার অভিযোগ

মোক্তার হোসেন মন্ডল
  • আপডেট : ১ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার
  • / 29

ফের উঠে এল ‘বাংলাদেশি’ তকমার যন্ত্রণা। বীরভূমের পাঁচ শ্রমিককে ওড়িশায় আটক করে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর ঘটনায় থমকে গেছে দুটি গ্রামের মানুষ। মাস কয়েক আগেই পাইকর ও মুরারইয়ের ছ’জনকে সন্দেহের বশে পুশ ব্যাক করা হয়েছিল—এখনও যাঁরা দেশে ফিরতে পারেননি। বারবার শুধু বাংলায় কথা বলার অপরাধেই দেশের ভেতরেই এভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন শ্রমিকরা।

ওড়িশার ভদ্রকে বহু বছর ধরে পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করা পাঁচ শ্রমিকের জীবনে হঠাৎ নেমে এল পুলিশি আতঙ্ক। নলহাটির ভগলদিঘির আব্দুল আলিম শেখ, তাঁর দুই ভাই আতাউর ও সেলিম, খুড়তুতো ভাই নূর আলম এবং ভাগ্নে মনিরুল—সবাইকে শনিবার দুপুরে নথি যাচাইয়ের নামে থানায় ডেকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের একটি কালীমন্দিরের সামনে অবস্থিত ডিটেনশন ক্যাম্পে ফেলে রেখে যায় পুলিশ। কানাঘুষোয় শুনতে পান—তাঁরা নাকি ‘বাংলাদেশি’!

গ্রামে খবর পৌঁছতেই পরিবারজুড়ে অশান্তি। “সব নথি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশি বলা হচ্ছে”,কাঁপা গলায় আক্ষেপ জানালেন আব্দুল আলিমের স্ত্রী তহিমা বিবি। পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ দ্রুত সমস্ত নথি সংগ্রহ করে ওড়িশা পুলিশের শীর্ষকর্তাদের পাঠিয়েছে। সংগঠনের দাবি,এটা শুধু প্রশাসনিক অবহেলা নয়, বাংলাভাষী শ্রমিকদের প্রতি লক্ষ্যভিত্তিক অপমান।

শেষ খবর অনুযায়ী, শ্রমিকদের ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে ছাড়া হলেও আপাতত প্রতিদিন থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। প্রায় ৪০ বছর ধরে একই এলাকায় কাজ করা মানুষগুলো আজ খুঁজছেন একটাই উত্তর—নিজের দেশেই কেন তাঁদের এমন বারবার প্রমাণ দিতে হয়?

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে বীরভূমের ৫ শ্রমিককে ওড়িশার ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখার অভিযোগ

আপডেট : ১ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার

ফের উঠে এল ‘বাংলাদেশি’ তকমার যন্ত্রণা। বীরভূমের পাঁচ শ্রমিককে ওড়িশায় আটক করে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর ঘটনায় থমকে গেছে দুটি গ্রামের মানুষ। মাস কয়েক আগেই পাইকর ও মুরারইয়ের ছ’জনকে সন্দেহের বশে পুশ ব্যাক করা হয়েছিল—এখনও যাঁরা দেশে ফিরতে পারেননি। বারবার শুধু বাংলায় কথা বলার অপরাধেই দেশের ভেতরেই এভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন শ্রমিকরা।

ওড়িশার ভদ্রকে বহু বছর ধরে পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করা পাঁচ শ্রমিকের জীবনে হঠাৎ নেমে এল পুলিশি আতঙ্ক। নলহাটির ভগলদিঘির আব্দুল আলিম শেখ, তাঁর দুই ভাই আতাউর ও সেলিম, খুড়তুতো ভাই নূর আলম এবং ভাগ্নে মনিরুল—সবাইকে শনিবার দুপুরে নথি যাচাইয়ের নামে থানায় ডেকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের একটি কালীমন্দিরের সামনে অবস্থিত ডিটেনশন ক্যাম্পে ফেলে রেখে যায় পুলিশ। কানাঘুষোয় শুনতে পান—তাঁরা নাকি ‘বাংলাদেশি’!

গ্রামে খবর পৌঁছতেই পরিবারজুড়ে অশান্তি। “সব নথি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশি বলা হচ্ছে”,কাঁপা গলায় আক্ষেপ জানালেন আব্দুল আলিমের স্ত্রী তহিমা বিবি। পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ দ্রুত সমস্ত নথি সংগ্রহ করে ওড়িশা পুলিশের শীর্ষকর্তাদের পাঠিয়েছে। সংগঠনের দাবি,এটা শুধু প্রশাসনিক অবহেলা নয়, বাংলাভাষী শ্রমিকদের প্রতি লক্ষ্যভিত্তিক অপমান।

শেষ খবর অনুযায়ী, শ্রমিকদের ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে ছাড়া হলেও আপাতত প্রতিদিন থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। প্রায় ৪০ বছর ধরে একই এলাকায় কাজ করা মানুষগুলো আজ খুঁজছেন একটাই উত্তর—নিজের দেশেই কেন তাঁদের এমন বারবার প্রমাণ দিতে হয়?