০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কর্নাটকে বজরং দলের কর্মী খুনে গ্রেফতার ১০, পুরনো শত্রুতার জেরে খুন, তদন্তে জানাল পুলিশ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২, শনিবার
  • / 69

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ কর্ণাটকে হিজাব বিতর্কেই মাঝেই খুন হন বজরং দলের কর্মী হর্ষ। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রবিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় কর্নাটকের শিবমোগ্গায়। তদন্তে নেমে প্রথমে পুলিশ এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মহম্মদ কাশিফের নাম পায়। তার কয়েকঘন্টা পরেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। ৭ মার্চ পর্যন্ত তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীরা একটি গাড়িতে করে এসে তাড়া করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বজরং দলের কর্মী হর্ষকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় প্রথমে এই খুনের নেপথ্যে সাম্প্রদায়িক তথ্যকে খাড়া করা হয়। এদিকে পুলিশের অনুমান পুরনো শত্রুতার জেরে এই খুন হয়েছে। খুনের তদন্তে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও উদ্দেশ্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অত্যন্ত সক্রিয় কর্মী ছিলেন হর্ষ৷ গণেশ পুজো এবং বিসর্জনের অনুষ্ঠানেও সামনের সারিতে দেখা যেত তাকে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়৷ বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

ঘটনার সূত্রপাত হর্ষ-এর সোশ্যাল মিডিয়ায় করা কিছু পোস্ট নিয়ে। কিছু মানুষ এই নিয়ে সরব হয়। তার পরেই খুন হন হর্ষ।

ঘটনার পর রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র নিজে গিয়ে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দেন৷ যদিও তাঁর দাবি, হিজাব নিয়ে বিতর্কের সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের কোনও সম্পর্ক নেই৷

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কর্নাটকে বজরং দলের কর্মী খুনে গ্রেফতার ১০, পুরনো শত্রুতার জেরে খুন, তদন্তে জানাল পুলিশ

আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ কর্ণাটকে হিজাব বিতর্কেই মাঝেই খুন হন বজরং দলের কর্মী হর্ষ। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রবিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় কর্নাটকের শিবমোগ্গায়। তদন্তে নেমে প্রথমে পুলিশ এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মহম্মদ কাশিফের নাম পায়। তার কয়েকঘন্টা পরেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। ৭ মার্চ পর্যন্ত তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীরা একটি গাড়িতে করে এসে তাড়া করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বজরং দলের কর্মী হর্ষকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় প্রথমে এই খুনের নেপথ্যে সাম্প্রদায়িক তথ্যকে খাড়া করা হয়। এদিকে পুলিশের অনুমান পুরনো শত্রুতার জেরে এই খুন হয়েছে। খুনের তদন্তে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও উদ্দেশ্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অত্যন্ত সক্রিয় কর্মী ছিলেন হর্ষ৷ গণেশ পুজো এবং বিসর্জনের অনুষ্ঠানেও সামনের সারিতে দেখা যেত তাকে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়৷ বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

ঘটনার সূত্রপাত হর্ষ-এর সোশ্যাল মিডিয়ায় করা কিছু পোস্ট নিয়ে। কিছু মানুষ এই নিয়ে সরব হয়। তার পরেই খুন হন হর্ষ।

ঘটনার পর রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র নিজে গিয়ে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দেন৷ যদিও তাঁর দাবি, হিজাব নিয়ে বিতর্কের সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের কোনও সম্পর্ক নেই৷