ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণ-কাণ্ডে গ্রেফতার ৩, তদন্তে নয়া মোড়

- আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার
- / 155
পুবের কলম প্রতিবেদক, দুর্গাপুর: দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের ঘটনায় নড়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। রবিবার সকালে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার খবর সামনে আসে। এ ছাড়া তরুণীর এক সহপাঠীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে নির্যাতিতা এক সহপাঠীর সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন। সেই সময় কয়েকজন দুÜৃñতী তাকে টেনে হিঁচড়ে কলেজ-সংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। নির্যাতিতার সহপাঠীর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ থাকায় শুরুতেই তাকে আটক করে পুলিশ। রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা আবার বলেন, ‘পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করেছে। নির্যাতিতা ওড়িশার। ওঁরা এ রাজ্যের পুুলিশের তদন্তে আস্থা রেখেছেন।’
দুর্গাপুরের শোভাপুর এলাকায় একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী ‘নির্যাতিতা’ তরুণী। তিনি ওড়িশার বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে এক সহপাঠীর সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখানে তিনি ‘নির্যাতনের’ শিকার হয়েছেন। কয়েক জন যুবক ক্যাম্পাসের বাইরে তরুণীকে হেনস্থা করেন প্রথমে। তার পর তাকে টেনেহিঁচড়ে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ‘গণধর্ষণ’ করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে রাতেই তরুণীর সহপাঠীকে আটক করে পুলিশ। তার বয়ানের সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা চলছে। গভীর রাতে আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পরে সকালে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সহপাঠী এখনও আটক। সূত্রের খবর, আরও কয়েক জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এক পুলিশ আধিকারিক জানান, পরাণগঞ্জের জঙ্গল থেকে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের মাধ্যমে অভিযুক্তদের সন্ধান পাওয়া যায়। ঘটনায় আরও কয়েকজন যুক্ত থাকতে পারে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সেইসঙ্গে, অভিযুক্তরা নির্যাতিতা কিংবা তার বন্ধুর পরিচিত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস জানায়, ‘ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। অপরাধীদের কঠোর শাস্তি হবেই।’
দুর্গাপুরে ওড়িশার ছাত্রীর ‘গণধর্ষণ’কাণ্ডে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার আহ্বান জানান, ‘বিভিন্ন রাজ্য থেকে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীদের রাতে বাইরে না যেতে অনুরোধ করছি। কলেজ কর্তৃপক্ষের উচিত তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’