২০ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিহারে ৩ মুসলিম যুবককে গণপিটুনি, মৃত ১, আহত ২

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শনিবার
  • / 75

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: চোরের অপবাদ দিয়ে বিহারে তিন মুসলিম যুবককে গণপিটুনির অভিযোগ। ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার গয়ার দিহা গ্রামে এই ঘটনার শিকার হন তিনজন মুসলিম যুবক। পুলিশ গণপিটুনির ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে। দুটি ভিন্ন মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশের দাবি, এটি কোনও সাম্প্রদায়িক ঘটনা নয়। পরিবারের তরফে এই ঘটনাকে টার্গেট কিলিং বলা হয়েছে।

দিহার স্থানীয় মানুষ জানিয়েছে, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে তারা গ্রামের মধ্যে একটি গাড়িকে ঘুরে বেড়াতে দেখেছিলেন।তাদের নাম-পরিচয় জানতে চাওয়া হলে গ্রামবাসীদের দিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। এই ঘটনায় তিনজনকে ধরে ফেললেও বাকি তিনজন পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: Bihar SIR row hearing: ‘AADHAR CARD’ আইনত স্বীকৃত নথি’

এদিকে গ্রামবাসীদের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পরিবারের দাবি, তাদের বাড়ির ছেলেরা কলকাতার একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করত। দিহা গ্রামে এসেছিল কারখানায় আরও শ্রমিক নিয়োগ করতে।

আরও পড়ুন: চুরির দায়ে চার বালককে মারধর, হাতে দড়ি পরিয়ে ঘোরানো হল গ্রাম

সিনিয়র পুলিশ সুপার আশিস ভারতী জানিয়েছেন, ঘটনায় সিট গঠন করা হয়েছে। সিটের নেতৃত্বে রয়েছেন এএসপি র্যা ঙ্কের একজন পুলিশ আধিকারিক। সমস্ত দিক দিয়েই ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতের নাম মুহাম্মদ বাবর (২৮)। আহতদের নাম রুকনুদ্দিন আলম (৩২), মুহাম্মদ সাজিদ (২৮)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদের প্রথমে গয়া অনুঘর নারায়ণ মগধ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হতে পটনার পিএমসিএইচ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ গাড়ির মধ্যে থেকে বিস্ফোরক, গোলা বারুদ, ছুরি উদ্ধার করেছে। তিনজনই দিহা থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে কুরিসরাই গ্রামের বাসিন্দা।

আরও পড়ুন: বিহারের পূর্ণিয়ায় ডাইনি অপবাদে পুড়িয়ে হত্যা, প্রাণ গেল এক পরিবারের ৫ সদস্যের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিহারে ৩ মুসলিম যুবককে গণপিটুনি, মৃত ১, আহত ২

আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: চোরের অপবাদ দিয়ে বিহারে তিন মুসলিম যুবককে গণপিটুনির অভিযোগ। ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার গয়ার দিহা গ্রামে এই ঘটনার শিকার হন তিনজন মুসলিম যুবক। পুলিশ গণপিটুনির ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে। দুটি ভিন্ন মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশের দাবি, এটি কোনও সাম্প্রদায়িক ঘটনা নয়। পরিবারের তরফে এই ঘটনাকে টার্গেট কিলিং বলা হয়েছে।

দিহার স্থানীয় মানুষ জানিয়েছে, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে তারা গ্রামের মধ্যে একটি গাড়িকে ঘুরে বেড়াতে দেখেছিলেন।তাদের নাম-পরিচয় জানতে চাওয়া হলে গ্রামবাসীদের দিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। এই ঘটনায় তিনজনকে ধরে ফেললেও বাকি তিনজন পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: Bihar SIR row hearing: ‘AADHAR CARD’ আইনত স্বীকৃত নথি’

এদিকে গ্রামবাসীদের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পরিবারের দাবি, তাদের বাড়ির ছেলেরা কলকাতার একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করত। দিহা গ্রামে এসেছিল কারখানায় আরও শ্রমিক নিয়োগ করতে।

আরও পড়ুন: চুরির দায়ে চার বালককে মারধর, হাতে দড়ি পরিয়ে ঘোরানো হল গ্রাম

সিনিয়র পুলিশ সুপার আশিস ভারতী জানিয়েছেন, ঘটনায় সিট গঠন করা হয়েছে। সিটের নেতৃত্বে রয়েছেন এএসপি র্যা ঙ্কের একজন পুলিশ আধিকারিক। সমস্ত দিক দিয়েই ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতের নাম মুহাম্মদ বাবর (২৮)। আহতদের নাম রুকনুদ্দিন আলম (৩২), মুহাম্মদ সাজিদ (২৮)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদের প্রথমে গয়া অনুঘর নারায়ণ মগধ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হতে পটনার পিএমসিএইচ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ গাড়ির মধ্যে থেকে বিস্ফোরক, গোলা বারুদ, ছুরি উদ্ধার করেছে। তিনজনই দিহা থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে কুরিসরাই গ্রামের বাসিন্দা।

আরও পড়ুন: বিহারের পূর্ণিয়ায় ডাইনি অপবাদে পুড়িয়ে হত্যা, প্রাণ গেল এক পরিবারের ৫ সদস্যের