০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪৮৪ বাহিনী এখনও এল না রাজ্যে! কত বাহিনী লাগবে ব্যাখ্যা চাইল কেন্দ্র

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৭ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 112

পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৩৭ কোম্পানির বাহিনী পাঠিয়েছে কেন্দ্র। আরও ৪৮৫ বাহিনী বাকী রয়েছে। বাকী বাহিনী চেয়ে রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশনার। ঠিক তার পর দিন অর্থাৎ সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, যে বাহিনী দেওয়া হয়েছে, তা কীভাবে, কোথায় বন্টন হয়েছে, তার তালিকা পাঠাতে।

বাকি বাহিনী না দিয়ে পাল্টা বাহিনী বন্টনের ব্যাখ্যা কেন চাইল  নির্বাচন কমিশন, এই নিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। আগের মঞ্জুর করা ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী কোথায়-কীভাবে মোতায়েন করা হয়েছে তা বিশদে জানতে চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক।

আরও পড়ুন: জিএসটি কাঠামোয় বদল নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব অমিত মিত্র

রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগেই ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী মঞ্জুর করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সূত্রের খবর, রাজ্যকে মঞ্জুর করা সেই ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনীর অধিকাংশই রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। গত শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বিএসএফ, সিআইএসএফ-র শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে দফায়-দফায় বৈঠক করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন: নয়া ওষুধ ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ম বদল করছে কেন্দ্র, ক্ষোভ চিকিৎসা মহলে

যদিও এখনও পর্যন্ত আধাসেনা কোথায়-কোথায় মোতায়েন করা হবে সেব্যাপারে পাকাপাকিভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আরও বাহিনী আনতে হবে রাজ্যে।

আরও পড়ুন: রাজ্যে রাজ্যে ক্যাম্প তৈরির নির্দেশ দিল কেন্দ্র, রাজনৈতিক তরজা শুরু

এপ্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কমিশন বাহিনী চাইলে বাহিনী পাঠানো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাজ। সাতদিন আগে থেকে কী করে বলা সম্ভব ওই জেলাতেই যাবে। ইতিমধ্যেই বাহিনী কিছু জেলায় গেছে। জোর করে বাহিনী দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। কমিশন আইন মেনে সিদ্ধান্ত নেবে। এক্তিয়ার বহির্ভূত চিঠি লিখছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রশাসনের ভূমিকা ছেড়ে রাজনীতি করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক আর সেনাবাহিনী আসুক, বিজেপি হারবে, তৃণমূল জিতবে।

এটা কি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল? এদিকে বাকী কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গত রবিবারই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বদের মধ্যেও অনিহা দেখা দিয়েছে।  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও বাহিনী পাঠাতে নানা বাহানা তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৪৮৪ বাহিনী এখনও এল না রাজ্যে! কত বাহিনী লাগবে ব্যাখ্যা চাইল কেন্দ্র

আপডেট : ২৭ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৩৭ কোম্পানির বাহিনী পাঠিয়েছে কেন্দ্র। আরও ৪৮৫ বাহিনী বাকী রয়েছে। বাকী বাহিনী চেয়ে রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশনার। ঠিক তার পর দিন অর্থাৎ সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, যে বাহিনী দেওয়া হয়েছে, তা কীভাবে, কোথায় বন্টন হয়েছে, তার তালিকা পাঠাতে।

বাকি বাহিনী না দিয়ে পাল্টা বাহিনী বন্টনের ব্যাখ্যা কেন চাইল  নির্বাচন কমিশন, এই নিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। আগের মঞ্জুর করা ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী কোথায়-কীভাবে মোতায়েন করা হয়েছে তা বিশদে জানতে চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক।

আরও পড়ুন: জিএসটি কাঠামোয় বদল নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব অমিত মিত্র

রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগেই ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী মঞ্জুর করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সূত্রের খবর, রাজ্যকে মঞ্জুর করা সেই ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনীর অধিকাংশই রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। গত শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বিএসএফ, সিআইএসএফ-র শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে দফায়-দফায় বৈঠক করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন: নয়া ওষুধ ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ম বদল করছে কেন্দ্র, ক্ষোভ চিকিৎসা মহলে

যদিও এখনও পর্যন্ত আধাসেনা কোথায়-কোথায় মোতায়েন করা হবে সেব্যাপারে পাকাপাকিভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আরও বাহিনী আনতে হবে রাজ্যে।

আরও পড়ুন: রাজ্যে রাজ্যে ক্যাম্প তৈরির নির্দেশ দিল কেন্দ্র, রাজনৈতিক তরজা শুরু

এপ্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কমিশন বাহিনী চাইলে বাহিনী পাঠানো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাজ। সাতদিন আগে থেকে কী করে বলা সম্ভব ওই জেলাতেই যাবে। ইতিমধ্যেই বাহিনী কিছু জেলায় গেছে। জোর করে বাহিনী দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। কমিশন আইন মেনে সিদ্ধান্ত নেবে। এক্তিয়ার বহির্ভূত চিঠি লিখছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রশাসনের ভূমিকা ছেড়ে রাজনীতি করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক আর সেনাবাহিনী আসুক, বিজেপি হারবে, তৃণমূল জিতবে।

এটা কি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল? এদিকে বাকী কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গত রবিবারই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বদের মধ্যেও অনিহা দেখা দিয়েছে।  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও বাহিনী পাঠাতে নানা বাহানা তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।