০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিধ্বস্ত গাজা পুনর্নির্মাণই সমাধানের পথ: জর্ডান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, সোমবার
  • / 210

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  ফিরেও ফিরছে না শান্তি! যুদ্ধবিরতির পরেও অশান্ত ফিলিস্তিন। নিজ দেশে প্রবাসী হয়ে গেছেন মজলুম ফিলিস্তিনিরা! বহু বছর যাবৎ নিজ মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে তারা পথ-প্রান্তরে দেশ হ’তে দেশান্তরে উদ্বাস্তু হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।  আর গুটিকয়েক যেই মানুষগুলি সেখানে রয়েছে তাঁদের ওপর নির্মম অত্যাচার চালাচ্ছে  বর্বর ইহুদী সেনারা। হত্যা-ধর্ষণ-অপহরণসহ হেন নির্যাতন নেই যা তাদের উপরে চলছে না। এবার বেঁচে থাকা গুটিকয়েক মানুষকেও অন্যত্রে পাঠাবার কৌশল আঁটছে ট্রাম্প ২.০ সরকার।

 

আরও পড়ুন: গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইল, নিহত ১১ ফিলিস্তিনি

প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসেই গাজা সাফের কথা সগৌরবে এলান করেছিলেন তিনি। বন্ধুর এহেন ঘোষণায় খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন অবৈধভাবে গঠিত ইসরাইল ভূমের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সহ যায়নবাদী ইহুদি সেনারা। ফিলিস্তিনিদের ফিলিস্তিন ভূমি থেকে বিতাড়িত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক মহল। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মধ্যস্থ করতে সম্প্রতি একটি বৈঠকও হয়। তবে বৈঠকে মেলেনি কোনও সমাধানসূত্র।

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে গাজাবাসীর আনন্দ, তবে আছে উৎকণ্ঠাও

 

আরও পড়ুন: কে রুখবে নেতানিয়াহুকে? ট্রাম্পের শান্তি আহ্বান অগ্রাহ্য করে গাজায় ইসরাইলের ভয়াবহ হামলা, নিহত ৭০

এই ঘটনার পর ট্রাম্পের ‘গাজা সাফের’ কূট-কৌশলের বিরুদ্ধে ফের একবার সরব জর্ডান ও আরব লীগ। ঘটনার প্রেক্ষিতে জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রালয় একটি বিবৃতি জারি করেছে। যাতে লেখা আছে, রবিবার জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদির সঙ্গে আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল ঘেইতের আম্মানে  একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ট্রাম্পের গাজা সাফের চিন্তা-ভাবনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন ‘বাসিন্দাদের স্থানচ্যুত করা কোনও সমাধান নয়, বরঞ্চ গাজাকে  পুনর্নির্মাণ করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল।

 

গাজা পুনর্নির্মাণ করতে আরব দেশ সহ মিশর ওহ আরও অন্যান্য দেশ উৎসাহ দেখিয়েছে। শুধু তাই নয়, এদিনের বৈঠকে গাজায় যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মানবিক সহায়তা পৌঁছায় তাও জানিয়েছেন তাঁরা। যেকোনো সমস্যায় মুসলিম দেশগুলকে একত্র ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া ইহুদি সেনারা যেভাবে পশ্চিম তীরে হামলা চালাচ্ছে তার নিন্দা জানিয়েছেন। দ্রুত তা বন্ধের আর্জি জানান। ইসরাইলের উচিত অবিলম্বে তার অবৈধ পদক্ষেপ বন্ধ করা ।

 

এদিনের বৈঠকে আরও বলা হয়, ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা এবং ন্যায়সঙ্গত শান্তি ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায়। এই রাষ্ট্রের রাজধানী পূর্ব জেরুসালেম হওয়া উচিত। ফিলিস্তিন ছাড়া সিরিয়া নিয়েও আলোচনা হয় এদিন। বলেন, সিরিয়ার জনগণকে তাদের দেশ পুনর্গঠনে সাহায্য করা উচিত, যাতে সেখানে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করা যায়।সেদেশে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল এবং সিরিয়ার সকল সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন।

 

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিধ্বস্ত গাজা পুনর্নির্মাণই সমাধানের পথ: জর্ডান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  ফিরেও ফিরছে না শান্তি! যুদ্ধবিরতির পরেও অশান্ত ফিলিস্তিন। নিজ দেশে প্রবাসী হয়ে গেছেন মজলুম ফিলিস্তিনিরা! বহু বছর যাবৎ নিজ মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে তারা পথ-প্রান্তরে দেশ হ’তে দেশান্তরে উদ্বাস্তু হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।  আর গুটিকয়েক যেই মানুষগুলি সেখানে রয়েছে তাঁদের ওপর নির্মম অত্যাচার চালাচ্ছে  বর্বর ইহুদী সেনারা। হত্যা-ধর্ষণ-অপহরণসহ হেন নির্যাতন নেই যা তাদের উপরে চলছে না। এবার বেঁচে থাকা গুটিকয়েক মানুষকেও অন্যত্রে পাঠাবার কৌশল আঁটছে ট্রাম্প ২.০ সরকার।

 

আরও পড়ুন: গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইল, নিহত ১১ ফিলিস্তিনি

প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসেই গাজা সাফের কথা সগৌরবে এলান করেছিলেন তিনি। বন্ধুর এহেন ঘোষণায় খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন অবৈধভাবে গঠিত ইসরাইল ভূমের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সহ যায়নবাদী ইহুদি সেনারা। ফিলিস্তিনিদের ফিলিস্তিন ভূমি থেকে বিতাড়িত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক মহল। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মধ্যস্থ করতে সম্প্রতি একটি বৈঠকও হয়। তবে বৈঠকে মেলেনি কোনও সমাধানসূত্র।

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে গাজাবাসীর আনন্দ, তবে আছে উৎকণ্ঠাও

 

আরও পড়ুন: কে রুখবে নেতানিয়াহুকে? ট্রাম্পের শান্তি আহ্বান অগ্রাহ্য করে গাজায় ইসরাইলের ভয়াবহ হামলা, নিহত ৭০

এই ঘটনার পর ট্রাম্পের ‘গাজা সাফের’ কূট-কৌশলের বিরুদ্ধে ফের একবার সরব জর্ডান ও আরব লীগ। ঘটনার প্রেক্ষিতে জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রালয় একটি বিবৃতি জারি করেছে। যাতে লেখা আছে, রবিবার জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদির সঙ্গে আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল ঘেইতের আম্মানে  একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ট্রাম্পের গাজা সাফের চিন্তা-ভাবনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন ‘বাসিন্দাদের স্থানচ্যুত করা কোনও সমাধান নয়, বরঞ্চ গাজাকে  পুনর্নির্মাণ করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল।

 

গাজা পুনর্নির্মাণ করতে আরব দেশ সহ মিশর ওহ আরও অন্যান্য দেশ উৎসাহ দেখিয়েছে। শুধু তাই নয়, এদিনের বৈঠকে গাজায় যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মানবিক সহায়তা পৌঁছায় তাও জানিয়েছেন তাঁরা। যেকোনো সমস্যায় মুসলিম দেশগুলকে একত্র ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া ইহুদি সেনারা যেভাবে পশ্চিম তীরে হামলা চালাচ্ছে তার নিন্দা জানিয়েছেন। দ্রুত তা বন্ধের আর্জি জানান। ইসরাইলের উচিত অবিলম্বে তার অবৈধ পদক্ষেপ বন্ধ করা ।

 

এদিনের বৈঠকে আরও বলা হয়, ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা এবং ন্যায়সঙ্গত শান্তি ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায়। এই রাষ্ট্রের রাজধানী পূর্ব জেরুসালেম হওয়া উচিত। ফিলিস্তিন ছাড়া সিরিয়া নিয়েও আলোচনা হয় এদিন। বলেন, সিরিয়ার জনগণকে তাদের দেশ পুনর্গঠনে সাহায্য করা উচিত, যাতে সেখানে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করা যায়।সেদেশে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল এবং সিরিয়ার সকল সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন।