২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজ্য থেকে শেষ হল হজযাত্রার কর্মসূচি

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৯ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 195

আবদুল ওদুদ : পশ্চিমবঙ্গ থেকে হজযাত্রীদের নিয়ে শেষ দু’টি বিমান বৃহস্পতিবার দুপুরে সউদির উদ্দেশে রওনা হয়। দু’টি বিমানে হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৮৯ জন। প্রথম বিমানে হজযাত্রী ছিল ৩১৮। দ্বিতীয় বিমানে হজযাত্রী ছিল ২৭১ জন। শেষ দু’টি বিমানে হজযাত্রীদের শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান সাংসদ খলিলুর রহমান, রাজ্যের মন্ত্রী আখরুজ্জামান, গোলাম রব্বানি, সাংসদ আবু তাহের খান, রাজ্যসভার সাংসদ নাদিমুল হক, সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, হজ কমিটির সদস্য বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম, কুতুবউদ্দিন তরফদার, শেখ শাহাজাহান, পীরজাদা রাকিবুল আজিজ, আমন্ত্রিত সদস্য এ কে এম ফারহাদ, কামরুল হুদা প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ মে থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের পশ্চিমবঙ্গ থেকে হজযাত্রার কাজ শুরু হয়েছে। শেষ হল ২৯ মে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ওড়িশা, বিহার, খাড়খন্ড, ত্রিপুরা, মণিপুর, অসমের একাংশের হজযাত্রীরা কলকাতা হয়ে হজ সম্পূর্ণ করতে গেলেন।

আরও পড়ুন: অসমে বিজেপির বিভেদমূলক অ্যাজেন্ডা সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছে,অসমবাসী রুখে দাঁড়ান: মমতা

সব মিলিয়ে সাড়ে আট হাজার হজযাত্রী মক্কায় পৌঁছেছেন বলে চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান জানান। শেষ উড়ান রওনা দেওয়ার আগে ছোট্ট একটি দুয়ার অনুষ্ঠান রাজ্য হজ কমিটির ব্যবস্থাপনা এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সিআইএসএফ, স্পাইস জেট বিমান সংস্থা, পিডব্লুডি, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর, কলকাতা পুলিশ, রাজ্য পুলিশ, সংখ্যালঘু বিষয়ক মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যেভাবে সরকারি দফতরগুলির সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করেছে তার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হেনস্তার প্রতিবাদে আজ পথে নামছেন মমতা-অভিষেক

খলিলুর রহমান বলেন, সকলের প্রচেষ্টা এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিকতায় সকলে কাজ করেছেন। ফলে এ বছর কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। এ দিন রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং সাংসদদের নিয়ে ঘরোয়া আলোচনায় রাজ্য থেকে হজযাত্রীদের কোটা পূরণে তুলে ধরেন সাংসদ আবু তাহের খান। তিনি বলেন, আমরা সকলে উদ্যোগ নিলে রাজ্য থেকে কোটা পূরণ করা সম্ভব। এর জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। সারা বছর ধরে হজ সচেতনতার কাজ করলে রাজ্য থেকে কোটা পূরণ করা সম্ভব বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। এদিন খলিলুর রহমান বলেন, হজ সম্পূর্ণ করে ফিরে আসার পরই ২০২৬-এরহজযাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে কোটা যাতে পূরণ হয় সেই লক্ষ্যে বছরভর প্রচারের কাজ চলবে।

আরও পড়ুন: কলকাতার ইসকনে মুখ্যমন্ত্রী, আরতি করলেন তিনি

কুতুবউদ্দিন তরফদার বলেন, এ বছর অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে হজযাত্রা পরিচালনার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরে সকল দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মদিনাতুল হুজ্জাজে সর্বক্ষণ থেকে যেভাবে হজযাত্রীদের খেদমতে কাজ করে গেছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আগামীতে যাতে এই ধারাও অব্যাহত থাকবে বলে আশাপ্রকাশ করেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাজ্য থেকে শেষ হল হজযাত্রার কর্মসূচি

আপডেট : ২৯ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার

আবদুল ওদুদ : পশ্চিমবঙ্গ থেকে হজযাত্রীদের নিয়ে শেষ দু’টি বিমান বৃহস্পতিবার দুপুরে সউদির উদ্দেশে রওনা হয়। দু’টি বিমানে হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৮৯ জন। প্রথম বিমানে হজযাত্রী ছিল ৩১৮। দ্বিতীয় বিমানে হজযাত্রী ছিল ২৭১ জন। শেষ দু’টি বিমানে হজযাত্রীদের শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান সাংসদ খলিলুর রহমান, রাজ্যের মন্ত্রী আখরুজ্জামান, গোলাম রব্বানি, সাংসদ আবু তাহের খান, রাজ্যসভার সাংসদ নাদিমুল হক, সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, হজ কমিটির সদস্য বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম, কুতুবউদ্দিন তরফদার, শেখ শাহাজাহান, পীরজাদা রাকিবুল আজিজ, আমন্ত্রিত সদস্য এ কে এম ফারহাদ, কামরুল হুদা প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ মে থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের পশ্চিমবঙ্গ থেকে হজযাত্রার কাজ শুরু হয়েছে। শেষ হল ২৯ মে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ওড়িশা, বিহার, খাড়খন্ড, ত্রিপুরা, মণিপুর, অসমের একাংশের হজযাত্রীরা কলকাতা হয়ে হজ সম্পূর্ণ করতে গেলেন।

আরও পড়ুন: অসমে বিজেপির বিভেদমূলক অ্যাজেন্ডা সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছে,অসমবাসী রুখে দাঁড়ান: মমতা

সব মিলিয়ে সাড়ে আট হাজার হজযাত্রী মক্কায় পৌঁছেছেন বলে চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান জানান। শেষ উড়ান রওনা দেওয়ার আগে ছোট্ট একটি দুয়ার অনুষ্ঠান রাজ্য হজ কমিটির ব্যবস্থাপনা এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সিআইএসএফ, স্পাইস জেট বিমান সংস্থা, পিডব্লুডি, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর, কলকাতা পুলিশ, রাজ্য পুলিশ, সংখ্যালঘু বিষয়ক মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যেভাবে সরকারি দফতরগুলির সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করেছে তার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হেনস্তার প্রতিবাদে আজ পথে নামছেন মমতা-অভিষেক

খলিলুর রহমান বলেন, সকলের প্রচেষ্টা এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিকতায় সকলে কাজ করেছেন। ফলে এ বছর কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। এ দিন রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং সাংসদদের নিয়ে ঘরোয়া আলোচনায় রাজ্য থেকে হজযাত্রীদের কোটা পূরণে তুলে ধরেন সাংসদ আবু তাহের খান। তিনি বলেন, আমরা সকলে উদ্যোগ নিলে রাজ্য থেকে কোটা পূরণ করা সম্ভব। এর জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। সারা বছর ধরে হজ সচেতনতার কাজ করলে রাজ্য থেকে কোটা পূরণ করা সম্ভব বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। এদিন খলিলুর রহমান বলেন, হজ সম্পূর্ণ করে ফিরে আসার পরই ২০২৬-এরহজযাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে কোটা যাতে পূরণ হয় সেই লক্ষ্যে বছরভর প্রচারের কাজ চলবে।

আরও পড়ুন: কলকাতার ইসকনে মুখ্যমন্ত্রী, আরতি করলেন তিনি

কুতুবউদ্দিন তরফদার বলেন, এ বছর অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে হজযাত্রা পরিচালনার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরে সকল দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মদিনাতুল হুজ্জাজে সর্বক্ষণ থেকে যেভাবে হজযাত্রীদের খেদমতে কাজ করে গেছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আগামীতে যাতে এই ধারাও অব্যাহত থাকবে বলে আশাপ্রকাশ করেন।