১৩ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরান-ইসরাইল সংঘাতের পর ফের শিরোনামে গাজা, নেতানিয়াহুকে কি থামানো সম্ভব?

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 236

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  তেহরান ও তেল আভিভের মধ্যে চলা ১২ দিনের যুদ্ধ মার্কিন কূটনৈতিক চাপের মুখে পড়ে আপাতত স্থগিত হয়েছে। ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ বিরতির পর গত দু’বছর ধরে গাজায় চলা ইসরাইলি আগ্রাসন ফের শিরোনামে। এবার কি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় তার অবস্থান বদলাবেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রবীণ  বিশ্লেষক মেইরাভ জোনসাইন বলেন,“ট্রাম্প যদি সত্যিই চান, তাহলে নেতানিয়াহুকে এই যুদ্ধ থামাতে বাধ্য করতে পারেন।”

আরও পড়ুন: গাজায় গিয়ে শিশুদের পাশে দাঁড়ান, পোপ লিওকে অনুরোধ ম্যাডোনার

তবে বাস্তবচিত্র ভিন্ন। জোনসাইন বলেন, “এই মুহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে কার্যত দায়মুক্তি ও অবাধ সামরিক স্বাধীনতা দিয়েছে। তারা যা খুশি তাই করছে। কেউ বাধা দিচ্ছে না।”

আরও পড়ুন: গাজায় খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রেই মৃত্যুর মিছিল, নিহত ৭৪৩ ফিলিস্তিনি

বিশ্লেষকদের মতে, গাজা এখন এক ভয়ংকর রক্তক্ষয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আছে।  ইসরাইল আন্তর্জাতিক সমালোচনা এড়িয়ে আমেরিকা কূটনৈতিক ও সামরিক আশীর্বাদে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: হয়তো সম্মানজনক চুক্তি, না হয় মুক্তির যুদ্ধ: হামাস কমান্ডার হাদ্দাদের হুঁশিয়ারি

নেতানিয়াহুর ‘অপরিবর্তনীয়’ অবস্থান এখন যতটা না তার রাজনৈতিক আদর্শ, তার চেয়েও বেশি নির্ভর করছে ট্রাম্পের উপরে।

বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংগঠন, জাতিসংঘ এবং বিশ্ব নেতারা বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও—আমেরিকার নিষ্ক্রিয়তা নেতানিয়াহুকে  শক্তি জুগিয়ে চলেছে।এখন  প্রশ্ন উঠছে—আমেরিকা যদি নীরব থাকে, তবে গাজায় রক্তপাত থামবে কীভাবে?

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইরান-ইসরাইল সংঘাতের পর ফের শিরোনামে গাজা, নেতানিয়াহুকে কি থামানো সম্ভব?

আপডেট : ২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  তেহরান ও তেল আভিভের মধ্যে চলা ১২ দিনের যুদ্ধ মার্কিন কূটনৈতিক চাপের মুখে পড়ে আপাতত স্থগিত হয়েছে। ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ বিরতির পর গত দু’বছর ধরে গাজায় চলা ইসরাইলি আগ্রাসন ফের শিরোনামে। এবার কি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় তার অবস্থান বদলাবেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রবীণ  বিশ্লেষক মেইরাভ জোনসাইন বলেন,“ট্রাম্প যদি সত্যিই চান, তাহলে নেতানিয়াহুকে এই যুদ্ধ থামাতে বাধ্য করতে পারেন।”

আরও পড়ুন: গাজায় গিয়ে শিশুদের পাশে দাঁড়ান, পোপ লিওকে অনুরোধ ম্যাডোনার

তবে বাস্তবচিত্র ভিন্ন। জোনসাইন বলেন, “এই মুহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে কার্যত দায়মুক্তি ও অবাধ সামরিক স্বাধীনতা দিয়েছে। তারা যা খুশি তাই করছে। কেউ বাধা দিচ্ছে না।”

আরও পড়ুন: গাজায় খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রেই মৃত্যুর মিছিল, নিহত ৭৪৩ ফিলিস্তিনি

বিশ্লেষকদের মতে, গাজা এখন এক ভয়ংকর রক্তক্ষয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আছে।  ইসরাইল আন্তর্জাতিক সমালোচনা এড়িয়ে আমেরিকা কূটনৈতিক ও সামরিক আশীর্বাদে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: হয়তো সম্মানজনক চুক্তি, না হয় মুক্তির যুদ্ধ: হামাস কমান্ডার হাদ্দাদের হুঁশিয়ারি

নেতানিয়াহুর ‘অপরিবর্তনীয়’ অবস্থান এখন যতটা না তার রাজনৈতিক আদর্শ, তার চেয়েও বেশি নির্ভর করছে ট্রাম্পের উপরে।

বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংগঠন, জাতিসংঘ এবং বিশ্ব নেতারা বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও—আমেরিকার নিষ্ক্রিয়তা নেতানিয়াহুকে  শক্তি জুগিয়ে চলেছে।এখন  প্রশ্ন উঠছে—আমেরিকা যদি নীরব থাকে, তবে গাজায় রক্তপাত থামবে কীভাবে?