০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বোমা মারলেও ইরান শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরবে না, আমেরিকাকে বার্তা ইরানের বিদেশমন্ত্রীর

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২ জুলাই ২০২৫, বুধবার
  • / 49

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ‘বোমা হামলা চালিয়ে সমৃদ্ধকরণ প্রযুক্তি এবং জ্ঞান ধ্বংস করা যাবে না’ হুঙ্কার ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কোনওভাবেই বন্ধ করা যাবে না বলেও জানান তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি জাতীয় গর্ব ও সম্মানের বিষয় হয়ে উঠেছে। ১২ দিনের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের অভিজ্ঞতা এই বিষয়টিকে আরও গভীরভাবে মানুষের হৃদয়ে বসিয়ে দিয়েছে।”

সম্প্রতি আমেরিকার হামলার প্রসঙ্গে বলেন, “কোনও সামরিক আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে কূটনৈতিক আলোচনার পরিবেশ তৈরি হয় না। আমরা আলোচনায় ফিরতে চাই।  তার আগে নিশ্চিত হতে চাই, যুক্তরাষ্ট্র আবারও আমাদের আক্রমণ করবে না।”

আরও পড়ুন: ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, আইন পাস ইরানের সংসদে

আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গত ১২ জুন ইসরাইল তেহরান-সহ ইরানের কয়েকটি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালায়। এতে ইরানের বিজ্ঞানী, সেনা ও বেসামরিক নাগরিক শহিদ হন। এর ঠিক পরেই ২২ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহানে হামলা চালায়।

আরও পড়ুন: ইরানের সুন্নি আলেমদের ঐতিহাসিক বিবৃতি: ‘একতার ডাক’ মুসলিম উম্মাহর প্রতি

এই প্রসঙ্গে আরাগচি রাষ্ট্রসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ তুলে ধরে বলেন, “জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং আত্মরক্ষার অধিকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আমরা আমাদের জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের স্বার্থ রক্ষায় সব রকম প্রস্তুতি ও বিকল্প সংরক্ষণ করি।”

আরও পড়ুন: ইসরাইলের হামলার মধ্যেও নির্ভয়ে সংবাদ পরিবেশন, ইরানের টেলিভিশন সঞ্চালিকাকে পুরস্কৃত করল ভেনেজুয়েলা 

আরাগচির ভাষায়, ইরান এখন এমন এক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, যেখান থেকে পারমাণবিক জ্ঞান ও প্রযুক্তি কখনও মুছে ফেলা যাবে না। “আমরা যদি এই শিল্পে এগিয়ে যাওয়ার সদিচ্ছা রাখি, তবে দ্রুতই আমরা যে কোনও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারি।”

সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “১২ দিনের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ আমরা পার করেছি, তারা আর কখনওই তাদের অর্জন—বিশেষ করে পারমাণবিক উন্নয়ন—ত্যাগ করবে না। এটা আমাদের জাতীয় আত্মপরিচয়ের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

কূটনৈতিক আলোচনার বিষয়ে আশা ব্যক্ত করলেও তিনি সতর্ক করে বলেছেন, “আমরা কখনওই কূটনীতির দরজা বন্ধ করিনি, তবে এখন আলোচনার পরিবেশ তৈরির জন্য আরও সময় প্রয়োজন।”

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বোমা মারলেও ইরান শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরবে না, আমেরিকাকে বার্তা ইরানের বিদেশমন্ত্রীর

আপডেট : ২ জুলাই ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ‘বোমা হামলা চালিয়ে সমৃদ্ধকরণ প্রযুক্তি এবং জ্ঞান ধ্বংস করা যাবে না’ হুঙ্কার ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কোনওভাবেই বন্ধ করা যাবে না বলেও জানান তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি জাতীয় গর্ব ও সম্মানের বিষয় হয়ে উঠেছে। ১২ দিনের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের অভিজ্ঞতা এই বিষয়টিকে আরও গভীরভাবে মানুষের হৃদয়ে বসিয়ে দিয়েছে।”

সম্প্রতি আমেরিকার হামলার প্রসঙ্গে বলেন, “কোনও সামরিক আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে কূটনৈতিক আলোচনার পরিবেশ তৈরি হয় না। আমরা আলোচনায় ফিরতে চাই।  তার আগে নিশ্চিত হতে চাই, যুক্তরাষ্ট্র আবারও আমাদের আক্রমণ করবে না।”

আরও পড়ুন: ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, আইন পাস ইরানের সংসদে

আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গত ১২ জুন ইসরাইল তেহরান-সহ ইরানের কয়েকটি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালায়। এতে ইরানের বিজ্ঞানী, সেনা ও বেসামরিক নাগরিক শহিদ হন। এর ঠিক পরেই ২২ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহানে হামলা চালায়।

আরও পড়ুন: ইরানের সুন্নি আলেমদের ঐতিহাসিক বিবৃতি: ‘একতার ডাক’ মুসলিম উম্মাহর প্রতি

এই প্রসঙ্গে আরাগচি রাষ্ট্রসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ তুলে ধরে বলেন, “জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং আত্মরক্ষার অধিকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আমরা আমাদের জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের স্বার্থ রক্ষায় সব রকম প্রস্তুতি ও বিকল্প সংরক্ষণ করি।”

আরও পড়ুন: ইসরাইলের হামলার মধ্যেও নির্ভয়ে সংবাদ পরিবেশন, ইরানের টেলিভিশন সঞ্চালিকাকে পুরস্কৃত করল ভেনেজুয়েলা 

আরাগচির ভাষায়, ইরান এখন এমন এক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, যেখান থেকে পারমাণবিক জ্ঞান ও প্রযুক্তি কখনও মুছে ফেলা যাবে না। “আমরা যদি এই শিল্পে এগিয়ে যাওয়ার সদিচ্ছা রাখি, তবে দ্রুতই আমরা যে কোনও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারি।”

সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “১২ দিনের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ আমরা পার করেছি, তারা আর কখনওই তাদের অর্জন—বিশেষ করে পারমাণবিক উন্নয়ন—ত্যাগ করবে না। এটা আমাদের জাতীয় আত্মপরিচয়ের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

কূটনৈতিক আলোচনার বিষয়ে আশা ব্যক্ত করলেও তিনি সতর্ক করে বলেছেন, “আমরা কখনওই কূটনীতির দরজা বন্ধ করিনি, তবে এখন আলোচনার পরিবেশ তৈরির জন্য আরও সময় প্রয়োজন।”