০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফের ইউনেস্কো থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে নিলেন ট্রাম্প

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 273

পুবের কলম, ওয়াশিংটন: ফের একবার আমেরিকাকে ইউনেস্কো থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব আনা কেলি নিউ ইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মার্কিন স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইউনেস্কো থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে আমেরিকার স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: Donald Trump-Shehbaz Sharif: শাহবাজ-মুনিরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প

 

আরও পড়ুন: এবার ওষুধের উপর ১০০% শুল্ক ঘোষণা ট্রাম্পের, বিপাকে ভারতীয় ওষুধ রফতানিকারকরা 

ট্রাম্পের প্রধান অভিযোগ, ইউনেস্কো নাকি ইসরাইল ও ইহুদি বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, এবং তাদের নির্বাহী বোর্ডকে ব্যবহার করছে সেই উদ্দেশ্যেই। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, ইহুদিদের পবিত্র স্থানগুলোকে ‘ফিলিস্তিনের বিশ্ব ঐতিহ্য’ বলে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত।

আরও পড়ুন: বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প-এরদোগান

অথচ এই দাবি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যতই জোরালোভাবে তোলা হোক না কেন, বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। ইতিহাস বলে;ইসরাইল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৮ সালে। অথচ যেসব ঐতিহাসিক স্থানকে ঘিরে বিতর্ক, যেমন হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদ বা জেরুজালেমের পুরনো শহর;সেগুলোর ইতিহাস হাজার বছরের পুরোনো।

 

সেই সময় ইসরাইল নামক রাষ্ট্রের অস্তিত্বই ছিল না। বরং ওই অঞ্চল ছিল ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক ভূখণ্ডের অংশ। সুতরাং, ঐতিহাসিকভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের সংস্কৃতি , ধর্মীয় সংযোগ ও বসবাসের ভিত্তিতে যদি ইউনেস্কো কিছু স্থানকে ফিলিস্তিনের বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, সেটা ‘ইসরাইলবিরোধিতা’ নয়, বরং ইতিহাসের স্বাভাবিক স্বীকৃতি।

 

ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নিরপেক্ষতা ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি প্রচেষ্টা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফের ইউনেস্কো থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে নিলেন ট্রাম্প

আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়াশিংটন: ফের একবার আমেরিকাকে ইউনেস্কো থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব আনা কেলি নিউ ইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মার্কিন স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইউনেস্কো থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে আমেরিকার স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: Donald Trump-Shehbaz Sharif: শাহবাজ-মুনিরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প

 

আরও পড়ুন: এবার ওষুধের উপর ১০০% শুল্ক ঘোষণা ট্রাম্পের, বিপাকে ভারতীয় ওষুধ রফতানিকারকরা 

ট্রাম্পের প্রধান অভিযোগ, ইউনেস্কো নাকি ইসরাইল ও ইহুদি বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, এবং তাদের নির্বাহী বোর্ডকে ব্যবহার করছে সেই উদ্দেশ্যেই। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, ইহুদিদের পবিত্র স্থানগুলোকে ‘ফিলিস্তিনের বিশ্ব ঐতিহ্য’ বলে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত।

আরও পড়ুন: বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প-এরদোগান

অথচ এই দাবি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যতই জোরালোভাবে তোলা হোক না কেন, বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। ইতিহাস বলে;ইসরাইল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৮ সালে। অথচ যেসব ঐতিহাসিক স্থানকে ঘিরে বিতর্ক, যেমন হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদ বা জেরুজালেমের পুরনো শহর;সেগুলোর ইতিহাস হাজার বছরের পুরোনো।

 

সেই সময় ইসরাইল নামক রাষ্ট্রের অস্তিত্বই ছিল না। বরং ওই অঞ্চল ছিল ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক ভূখণ্ডের অংশ। সুতরাং, ঐতিহাসিকভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের সংস্কৃতি , ধর্মীয় সংযোগ ও বসবাসের ভিত্তিতে যদি ইউনেস্কো কিছু স্থানকে ফিলিস্তিনের বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, সেটা ‘ইসরাইলবিরোধিতা’ নয়, বরং ইতিহাসের স্বাভাবিক স্বীকৃতি।

 

ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নিরপেক্ষতা ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি প্রচেষ্টা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।