বাংলার ৩০ পরিযায়ী শ্রমিককে মুক্তি দিল হরিয়ানা

- আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার
- / 20
পুবের কলম প্রতিবেদক: শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলায় ‘বাংলাদেশি’ বলে সন্দেহ করে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখার অভিযোগ সামনে আসছে রোজ। এমনই একটি অভিযোগ ছিল হরিয়ানা সরকারের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, আটক পরিযায়ী শ্রমিকদের নাগরিকত্বের নথি চেয়ে হরিয়ানা থেকে রাজ্য পুলিশের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। তা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় প্রতিবাদী পোস্ট করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানান, বাংলাভাষী শ্রমিকদের উপর এমন ‘অত্যাচার’ বরদাস্ত করা হবে না।
আন্দোলনের কথাও ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর চাপের কাছে নতি স্বীকার করল হরিয়ানা প্রশাসন। এবার সেখানকার ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে থাকা ৩০ জন শ্রমিককে মুক্তি দেওয়ার খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, সবার নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়া হয়েছিল। এবার মুক্তির পর পরিযায়ী শ্রমিকরা গুরুগ্রাম থেকে শিগগিরই মালদহে, গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হবেন বলে খবর মিলেছে।
বিজেপি-শাসিত রাজ্যে বাংলা ভাষা ও বাঙালিদের উপর অত্যাচারের গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ সামনে এসেছে। সবাইকে ‘বাংলাদেশি’ বলে দাগিয়ে দেওয়া ও নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন ঘটনাকে তিনি ‘বাংলা ভাষার উপর সন্ত্রাস’ বলে উল্লেখ করেছেন।
অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই লাগাতার বিরোধিতা নিয়ে এবার পালটা মন্তব্য করেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি। শনিবার এক্স হ্যান্ডল পোস্টে তাঁর বক্তব্য, হরিয়ানা কিংবা দেশের কোথাও অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই নেই। দেশের সুরক্ষার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত। অথচ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে ‘ভুল’ রাজনৈতিক প্রচার করছেন।
প্রসঙ্গত, অনুপ্রবেশ নিয়ে বাদানুবাদ চলার মধ্যেই ৩০জনকে মুক্তি দিল হরিয়ানা প্রশাসন। জানা গিয়েছে, গত দু’দিনে হরিয়ানা থেকে মালদহের চাঁচল ও হরিশ্চন্দ্রপুরে ফিরেছেন মোট ১৫ জন। এবার মুক্তি পাওয়া বাকি শ্রমিকরাও শিগগিরই ঘরে ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে।