০৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কল্যাণের ইস্তফা গৃহীত, লোকসভায় চিফ হুইপ কাকলি, ডেপুটি লিডার শতাব্দী

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৫ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 43

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: শেষ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা পেরতে না পেরতেই গৃহীত হল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফাপত্র। লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের পদ থেকে দায়িত্ব ছাড়তে চেয়ে সোমবার বিকেলে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার দুপুরেই তা গ্রহণ করেছেন তৃণমূলের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে এখন লোকসভায় দলের নতুন মুখ্য সচেতকের দায়িত্ব দেওয়া হল বারাসতের দীর্ঘদিনের সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। পাশাপাশি কাকলির ছেড়ে যাওয়া পদ অর্থাৎ লোকসভায় উপ দলনেতা বা ডেপুটি লিডার হলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডলে জানানো হয়েছে, দ্রুত এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে।

সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সঙ্গে শ্রীরামপুরের বর্ষীয়ান সাংসদ ও সিনিয়র আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাদা ছোড়াছুড়ি বিতর্কের জেরেই লোকসভায় দলের দায়িত্ব থেকে কল্যাণ অব্যাহতি চেয়েছেন।

ঘনিষ্ঠ মহলে এনিয়ে অভিমানের কথা প্রকাশ করে সোমবার বিকেলে লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের পদ ছাড়তে চেয়ে ইস্তফাপত্র পেশ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “আমি চিফ হুইপ ছিলাম।

যদি সমন্বয়ে সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে আমার থাকার দরকার কী? আমি ইস্তফা দিচ্ছি। কেউ লোকসভায় আসবেন না, দায় আমাকে নিতে হবে? কাকলিকে বলেছি, আমাকে পিছনের দিকে বসতে দিও।”

সোমবারই কল্যাণের অভিমান ভাঙাতে আসরে নেমেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৭ আগস্ট শ্রীরামপুরের সাংসদকে বৈঠকে ডেকেছিলেন তিনি।

কিন্তু তার আগেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণের বদলে এবার লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের দায়িত্ব দেওয়া হল কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। আর দলের নির্দেশ পেয়ে মঙ্গলবার থেকেই দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার ।

এদিন ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দেন বারাসতের সাংসদ। অন্যদিকে, কাকলি ঘোষ দস্তিদারের দায়িত্ব বদল হওয়ায় সেই জায়গায় এসেছেন শতাব্দী রায়। তিনি এখন লোকসভায় ডেপুটি দলনেতা। এত কিছুর পরেও নতুন দায়িত্বের জন্য কাকলি এবং শতাব্দীকে এক্স হ্যান্ডল পোস্টে শুভেচ্ছা জানান মহুয়া মৈত্র।

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কল্যাণের ইস্তফা গৃহীত, লোকসভায় চিফ হুইপ কাকলি, ডেপুটি লিডার শতাব্দী

আপডেট : ৫ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: শেষ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা পেরতে না পেরতেই গৃহীত হল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফাপত্র। লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের পদ থেকে দায়িত্ব ছাড়তে চেয়ে সোমবার বিকেলে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার দুপুরেই তা গ্রহণ করেছেন তৃণমূলের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে এখন লোকসভায় দলের নতুন মুখ্য সচেতকের দায়িত্ব দেওয়া হল বারাসতের দীর্ঘদিনের সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। পাশাপাশি কাকলির ছেড়ে যাওয়া পদ অর্থাৎ লোকসভায় উপ দলনেতা বা ডেপুটি লিডার হলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডলে জানানো হয়েছে, দ্রুত এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে।

সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সঙ্গে শ্রীরামপুরের বর্ষীয়ান সাংসদ ও সিনিয়র আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাদা ছোড়াছুড়ি বিতর্কের জেরেই লোকসভায় দলের দায়িত্ব থেকে কল্যাণ অব্যাহতি চেয়েছেন।

ঘনিষ্ঠ মহলে এনিয়ে অভিমানের কথা প্রকাশ করে সোমবার বিকেলে লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের পদ ছাড়তে চেয়ে ইস্তফাপত্র পেশ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “আমি চিফ হুইপ ছিলাম।

যদি সমন্বয়ে সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে আমার থাকার দরকার কী? আমি ইস্তফা দিচ্ছি। কেউ লোকসভায় আসবেন না, দায় আমাকে নিতে হবে? কাকলিকে বলেছি, আমাকে পিছনের দিকে বসতে দিও।”

সোমবারই কল্যাণের অভিমান ভাঙাতে আসরে নেমেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৭ আগস্ট শ্রীরামপুরের সাংসদকে বৈঠকে ডেকেছিলেন তিনি।

কিন্তু তার আগেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণের বদলে এবার লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকের দায়িত্ব দেওয়া হল কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। আর দলের নির্দেশ পেয়ে মঙ্গলবার থেকেই দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার ।

এদিন ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দেন বারাসতের সাংসদ। অন্যদিকে, কাকলি ঘোষ দস্তিদারের দায়িত্ব বদল হওয়ায় সেই জায়গায় এসেছেন শতাব্দী রায়। তিনি এখন লোকসভায় ডেপুটি দলনেতা। এত কিছুর পরেও নতুন দায়িত্বের জন্য কাকলি এবং শতাব্দীকে এক্স হ্যান্ডল পোস্টে শুভেচ্ছা জানান মহুয়া মৈত্র।