০৭ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যমুনা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওযায় দিল্লীতে বাড়ছে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৭ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 27

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বিগত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টির জেরে দিল্লিতে ফুঁসছে যমুনার নদী। এমনকি যমুনা নদীর জল বিপদসীমা ছাড়িয়ে বইছে বলেও খবর। এই মুহুর্তে, দিল্লির পুরোনো রেলওয়ে ব্রিজে জলস্তর পৌঁছেছে ২০৪.৮৮ মিটারে। যেটি কিনা ২০৪.৫ মিটারের বিপদসীমা অতিক্রম করে গিয়েছে।

ফলত স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। যমুনা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ার ফলে, প্রশাসন সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামভাবে সব রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করে দিয়েছে। একই সঙ্গে সতর্কতাও জারি করা হয়ে গিয়েছে। আপাতত স্থানীয় প্রশাসন ও সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে পরিস্থিতির উপরে সম্পূর্ণ নজর রাখা হয়েছে। বিগত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টির জেরে শুধু দিল্লী নয়, দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও প্রায় একইরকম অবস্থা।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ এবং বারাণসীতে প্রবল বৃষ্টির কারণে সেখানেও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বারাণসীতে গঙ্গার জলস্তর বেড়ে যাওয়ার ফলে, অনেক ঘাট ইতিমধ্যেই ডুবে গিয়েছে। গত শনিবার বারাণসীতে গঙ্গার জল প্রায় বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল বলেও খবর রয়েছে।

এছাড়াও উত্তরাখণ্ডের হৃষীকেশে লাগাতার বৃষ্টির কারণে গঙ্গার জলস্তর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ফলবশত পরমার্থ নিকেতন আশ্রমের আরতির জায়গায় যে শিবের মূর্তিটি রয়েছে, সেখান পর্যন্ত নদীর জল ঢুকে গিয়েছে। স্টেট ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট অর্থরিটির তরফ থেকে একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত দুই মাস ধরে ভারী বর্ষণের কারণে, হিমাচল প্রদেশে ২০ জুন থেকে ৬ অগস্ট পর্যন্ত মোট ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আর এই জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ১৯০৫ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

যমুনা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওযায় দিল্লীতে বাড়ছে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা

আপডেট : ৭ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বিগত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টির জেরে দিল্লিতে ফুঁসছে যমুনার নদী। এমনকি যমুনা নদীর জল বিপদসীমা ছাড়িয়ে বইছে বলেও খবর। এই মুহুর্তে, দিল্লির পুরোনো রেলওয়ে ব্রিজে জলস্তর পৌঁছেছে ২০৪.৮৮ মিটারে। যেটি কিনা ২০৪.৫ মিটারের বিপদসীমা অতিক্রম করে গিয়েছে।

ফলত স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। যমুনা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ার ফলে, প্রশাসন সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামভাবে সব রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করে দিয়েছে। একই সঙ্গে সতর্কতাও জারি করা হয়ে গিয়েছে। আপাতত স্থানীয় প্রশাসন ও সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে পরিস্থিতির উপরে সম্পূর্ণ নজর রাখা হয়েছে। বিগত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টির জেরে শুধু দিল্লী নয়, দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও প্রায় একইরকম অবস্থা।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ এবং বারাণসীতে প্রবল বৃষ্টির কারণে সেখানেও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বারাণসীতে গঙ্গার জলস্তর বেড়ে যাওয়ার ফলে, অনেক ঘাট ইতিমধ্যেই ডুবে গিয়েছে। গত শনিবার বারাণসীতে গঙ্গার জল প্রায় বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল বলেও খবর রয়েছে।

এছাড়াও উত্তরাখণ্ডের হৃষীকেশে লাগাতার বৃষ্টির কারণে গঙ্গার জলস্তর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ফলবশত পরমার্থ নিকেতন আশ্রমের আরতির জায়গায় যে শিবের মূর্তিটি রয়েছে, সেখান পর্যন্ত নদীর জল ঢুকে গিয়েছে। স্টেট ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট অর্থরিটির তরফ থেকে একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত দুই মাস ধরে ভারী বর্ষণের কারণে, হিমাচল প্রদেশে ২০ জুন থেকে ৬ অগস্ট পর্যন্ত মোট ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আর এই জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ১৯০৫ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।