০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনলাইন গেমিং নিয়ে বিল পাস সংসদে

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ২০ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার
  • / 101

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঅনলাইন গেমিং নিয়ে বুধবার বিল পাস হল লোকসভায়। অনলাইন রিয়েল-মানি গেমিংয়ের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে চাকরি, রাজস্বের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে কর্নাটকের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী প্রিয়ঙ্ক খাড়গে জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেছেন যে, যুবসমাজের উপর গেমিংয়ের নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে, এই দিকটি সরকার অস্বীকার করছে না। তাই সরকার একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতির কথা ভাবছে, যার মধ্যে গেমিংয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ, দায়িত্বশীল গেমিং এবং আইন প্রয়োগের মতো দিকগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আরও পড়ুন: সংসদে অনুপ্রবেশ এক যুবকের

এ প্রসঙ্গে, অনলাইন গেমিংয়ের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে একটি নিয়ন্ত্রিত এবং দায়িত্বশীল ব্যবস্থা প্রবর্তনের পক্ষে কিছু যুক্তি রয়েছে। কারণ এর ফলে নয়া প্রজন্ম নেশায় যেন বুঁদ হয়ে রয়েছে। তবে এই গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক মানুষ কাজ করেন এবং প্রচুর রাজস্ব আসে। পুরো বন্ধ করে দিলে, এই রাজস্ব এবং কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: রাজ্যসভাতেও পাশ অনলাইন গেমিং বিল, রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর কার্যকর আইন

কোনো কোনো গেমিংয়ের ক্ষেত্রে আসক্তি, মানসিক চাপ এবং আর্থিক ক্ষতির মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে, যা যুবসমাজকে প্রভাবিত করতে পারে। এই সমস্যার সমাধানে সচেতনতা বৃদ্ধি, দায়িত্বশীল গেমিংয়ের নিয়ম তৈরি, এবং গেমিংয়ের আসক্তির চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে। অবৈধ গেমিং এবং জুয়ার প্রচলন বাড়তে পারে এর ফলে। তাই, সরকার গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে কঠোর নজরদারির মধ্যে আনতে পারে এবং নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য করতে পারে।

আরও পড়ুন: ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে তীব্র হট্টগোল সংসদে

বর্তমানে, ভারতে অনলাইন গেমিং নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো কেন্দ্রীয় আইন নেই। এ কারণে, রাজ্য সরকারগুলো নিজ নিজ আইন অনুসারে এই বিষয়গুলি পরিচালনা করে। তাই, একটি কেন্দ্রীয় আইনের প্রয়োজন, যা সব রাজ্যে এক নিয়ম চালু করতে পারে। পার্লামেন্টে এই বিষয়ে বিল পাস হল বুধবার। পোকার, সাট্টা, জুয়া, রামির মতো অনলাইন গেম এর মধ্যে পড়ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অনলাইন গেমিং নিয়ে বিল পাস সংসদে

আপডেট : ২০ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঅনলাইন গেমিং নিয়ে বুধবার বিল পাস হল লোকসভায়। অনলাইন রিয়েল-মানি গেমিংয়ের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে চাকরি, রাজস্বের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে কর্নাটকের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী প্রিয়ঙ্ক খাড়গে জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেছেন যে, যুবসমাজের উপর গেমিংয়ের নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে, এই দিকটি সরকার অস্বীকার করছে না। তাই সরকার একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতির কথা ভাবছে, যার মধ্যে গেমিংয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ, দায়িত্বশীল গেমিং এবং আইন প্রয়োগের মতো দিকগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আরও পড়ুন: সংসদে অনুপ্রবেশ এক যুবকের

এ প্রসঙ্গে, অনলাইন গেমিংয়ের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে একটি নিয়ন্ত্রিত এবং দায়িত্বশীল ব্যবস্থা প্রবর্তনের পক্ষে কিছু যুক্তি রয়েছে। কারণ এর ফলে নয়া প্রজন্ম নেশায় যেন বুঁদ হয়ে রয়েছে। তবে এই গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক মানুষ কাজ করেন এবং প্রচুর রাজস্ব আসে। পুরো বন্ধ করে দিলে, এই রাজস্ব এবং কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: রাজ্যসভাতেও পাশ অনলাইন গেমিং বিল, রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর কার্যকর আইন

কোনো কোনো গেমিংয়ের ক্ষেত্রে আসক্তি, মানসিক চাপ এবং আর্থিক ক্ষতির মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে, যা যুবসমাজকে প্রভাবিত করতে পারে। এই সমস্যার সমাধানে সচেতনতা বৃদ্ধি, দায়িত্বশীল গেমিংয়ের নিয়ম তৈরি, এবং গেমিংয়ের আসক্তির চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে। অবৈধ গেমিং এবং জুয়ার প্রচলন বাড়তে পারে এর ফলে। তাই, সরকার গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে কঠোর নজরদারির মধ্যে আনতে পারে এবং নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য করতে পারে।

আরও পড়ুন: ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে তীব্র হট্টগোল সংসদে

বর্তমানে, ভারতে অনলাইন গেমিং নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো কেন্দ্রীয় আইন নেই। এ কারণে, রাজ্য সরকারগুলো নিজ নিজ আইন অনুসারে এই বিষয়গুলি পরিচালনা করে। তাই, একটি কেন্দ্রীয় আইনের প্রয়োজন, যা সব রাজ্যে এক নিয়ম চালু করতে পারে। পার্লামেন্টে এই বিষয়ে বিল পাস হল বুধবার। পোকার, সাট্টা, জুয়া, রামির মতো অনলাইন গেম এর মধ্যে পড়ছে।