১৩ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক্সিট পোল ভুয়ো-বিভ্রান্তিকর, বিহারে জিতছে মহাগঠবন্ধনই: অখিলেশ

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার
  • / 97

পুবের কলম, লখনউ: বিহারে ভোটপর্ব মিটতেই এক্সিট পোল প্রকাশ করতে শুরু করেছে একাধিক সংস্থা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পিপলস পালস, পিপলস ইনসাইট, ম্যাট্রিজ এবং পি-মার্কের প্রকাশিত এক্সিট পোল অনুসারে, বিহারে আরও একবার প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে এনডিএর। সব ঠিক থাকলে ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসতে চলছেন নীতীশ কুমার। আশা জাগালেও শরিকদের ব্যর্থতায় ফের বসা হচ্ছে না তেজস্বী যাদবের। উপরে যে যে সম্ভাবনার কথা বলা সবটাই অনুমানের ভিত্তিতে। বিহারের নির্বাচন নিয়ে অধিকাংশ সংস্থার এক্সিট পোল অন্তত সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। এদিকে ওই সংস্থাগুলির এক্সিট পোলের বিরোধীতা করে সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব বলেছেন, বিহারের ভোটারা রাজ্যকে পরিবর্তনের জন্য ঐতিহাসিক ভোট দিয়েছেন। রাজ্যে শীঘ্রই প্রগতিশীল, কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী মহাজোটবন্ধন সরকার গঠিত হবে। একইসঙ্গে তিনি মহাগঠবন্ধনের সমস্ত প্রার্থী, কর্মী এবং সমর্থকদের গণনা প্রক্রিয়ার সময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ইভিএমগুলি পর্যবেক্ষণ করার এবং সেখানে ২৪ ঘন্টা নজরদারি বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন সপা নেতা। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ তিনি লেখেন, “ক্ষমতাসীন দল পূর্বপরিকল্পিত ভুয়ো এক্সিট পোলের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কিছু টেলিভিশন চ্যানেলও এক্সিট পোল প্রকাশ করে ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।” অভিলেশ বলেন, “যারা খাওয়ায়, লোকেরা তাদের সুর গায়। যখন নির্বাচন কমিশন নিজেই ভোটের পরিসংখ্যান গণনা করতে বেশ কয়েক দিন সময় নেয় তখন সংবাদ চ্যানেলগুলি কীভাবে কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিস্তারিত এক্সিট পোলের তথ্য প্রকাশ করতে পারে।” উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, যে উত্তরপ্রদেশে লোকসভা নির্বাচনের সময় একই ধরনের এক্সিট পোল প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কারণ ভুয়ো এক্সিট পোলের পাশাপাশি বড় বিজেপি নেতারা হেরে গিয়েছিলেন। সপা সভাপতি সাফ জানিয়েছেন, বিজেপি গণনার আগে বিরোধী সমর্থকদের মনোবল হতাশ করার চেষ্টা করছে। মহাগঠবন্ধন জিতছে – বিজয়ের শংসাপত্র না পাওয়া পর্যন্ত বিশ্রাম নেবেন না।

আরও পড়ুন: বিহার নির্বাচনে ‘কার পাল্লা ভারি’, এক্সিট পোল প্রকাশ করবে ভোট সমীক্ষক সংস্থাগুলি

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এক্সিট পোল ভুয়ো-বিভ্রান্তিকর, বিহারে জিতছে মহাগঠবন্ধনই: অখিলেশ

আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম, লখনউ: বিহারে ভোটপর্ব মিটতেই এক্সিট পোল প্রকাশ করতে শুরু করেছে একাধিক সংস্থা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পিপলস পালস, পিপলস ইনসাইট, ম্যাট্রিজ এবং পি-মার্কের প্রকাশিত এক্সিট পোল অনুসারে, বিহারে আরও একবার প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে এনডিএর। সব ঠিক থাকলে ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসতে চলছেন নীতীশ কুমার। আশা জাগালেও শরিকদের ব্যর্থতায় ফের বসা হচ্ছে না তেজস্বী যাদবের। উপরে যে যে সম্ভাবনার কথা বলা সবটাই অনুমানের ভিত্তিতে। বিহারের নির্বাচন নিয়ে অধিকাংশ সংস্থার এক্সিট পোল অন্তত সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। এদিকে ওই সংস্থাগুলির এক্সিট পোলের বিরোধীতা করে সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব বলেছেন, বিহারের ভোটারা রাজ্যকে পরিবর্তনের জন্য ঐতিহাসিক ভোট দিয়েছেন। রাজ্যে শীঘ্রই প্রগতিশীল, কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী মহাজোটবন্ধন সরকার গঠিত হবে। একইসঙ্গে তিনি মহাগঠবন্ধনের সমস্ত প্রার্থী, কর্মী এবং সমর্থকদের গণনা প্রক্রিয়ার সময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ইভিএমগুলি পর্যবেক্ষণ করার এবং সেখানে ২৪ ঘন্টা নজরদারি বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন সপা নেতা। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ তিনি লেখেন, “ক্ষমতাসীন দল পূর্বপরিকল্পিত ভুয়ো এক্সিট পোলের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কিছু টেলিভিশন চ্যানেলও এক্সিট পোল প্রকাশ করে ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।” অভিলেশ বলেন, “যারা খাওয়ায়, লোকেরা তাদের সুর গায়। যখন নির্বাচন কমিশন নিজেই ভোটের পরিসংখ্যান গণনা করতে বেশ কয়েক দিন সময় নেয় তখন সংবাদ চ্যানেলগুলি কীভাবে কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিস্তারিত এক্সিট পোলের তথ্য প্রকাশ করতে পারে।” উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, যে উত্তরপ্রদেশে লোকসভা নির্বাচনের সময় একই ধরনের এক্সিট পোল প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কারণ ভুয়ো এক্সিট পোলের পাশাপাশি বড় বিজেপি নেতারা হেরে গিয়েছিলেন। সপা সভাপতি সাফ জানিয়েছেন, বিজেপি গণনার আগে বিরোধী সমর্থকদের মনোবল হতাশ করার চেষ্টা করছে। মহাগঠবন্ধন জিতছে – বিজয়ের শংসাপত্র না পাওয়া পর্যন্ত বিশ্রাম নেবেন না।

আরও পড়ুন: বিহার নির্বাচনে ‘কার পাল্লা ভারি’, এক্সিট পোল প্রকাশ করবে ভোট সমীক্ষক সংস্থাগুলি