০১ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যক্ষ্মা প্রতিরোধে বড় সাফল্য বাংলার, সোনার মেডেল পাচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২২ মার্চ ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 260

পুবের কলম প্রতিবেদক: যক্ষ্মা প্রতিরোধে বড় সাফল্য পেল বাংলা। আর এই সাফল্যের জন্য সোনার পদক পেতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুর। আর ব্রোঞ্জ পদক পেতে চলেছে নদিয়া জেলা। যক্ষ্মামুক্ত বাংলা গড়ার লক্ষ্যে রাজ্য স্বাস্থ্যভবনের সাফল্যে খুশি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও। রাজ্যের দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও নদিয়া। কেন্দ্রীয় সরকারের মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হয়ে সোনার মেডেলের যোগ্যতা অর্জন করতে পেয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। ব্রোঞ্জের মেডেলের যোগ্যতা অর্জন করতে পেয়েছে নদিয়া।

২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মামুক্ত দেশ গড়তে চায় কেন্দ্র সরকার। তার আগে দেশের কোনও রাজ্যের কোন কোন জেলা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পেরেছে তা খতিয়ে দেখতে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুন: SIR-এ বাংলার ১ কোটি ভুয়ো ভোটার বাদ যাবে: শুভেন্দু

সোমবার সেই প্রতিযোগিতার ফল প্রকাশ হয়। তাতেই দেখা যায় পূর্ব মেদিনীপুর পেয়েছে সোনা ব্রোঞ্জ পেয়েছে নদিয়া। আগামী বৃহস্পতিবার দিল্লির বিজ্ঞানভবনে পদকপ্রাপকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে পুরস্কার।

আরও পড়ুন: আগামীকাল ঘোষণা বাংলায় এসআইআর-এর দিনক্ষণ, প্রস্তুতিতে রবিবারও খোলা সিইও অফিস

কেন্দ্রের এই স্বীকৃতিতে উচ্ছ্বসিত রাজ্য স্বাস্থ্যভবন। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশের মতে রাজ্য সরকার ‘যক্ষ্মা মুক্ত বাংলা’ গড়ার যে শপথ নিয়েছে এই স্বীকৃতিতে তার প্রথম ধাপ। আইসিএমআর চেন্নাইয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন ডব্লিউএইচও (ভারত) যৌথভাবে এই সমীক্ষাটি করেছিল। জানা গেছে যক্ষ্মা নির্মূলে সোনার পদক পেয়েছে জম্মু কাশ্মীরের তিনটি জেলা। রয়েছে কেরলের দু’টি, বাংলার ১টি মধ্য প্রদেশের ১টি মহারাষ্ট্রের ১টি।

আরও পড়ুন: অপরাধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাংলার: গণধর্ষণ-কাণ্ডে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী

উল্লেখ্য, ২০২০-২১ সালে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সমীক্ষার রির্পোট গত  ২১ মার্চ ন্যাশনাল হেলথ মিশন ঘোষণা করেছে। মূলত তিনটি বিষয়কে মাপকাঠি হিসাবে রাখা হয়েছিল এই সমীক্ষার ক্ষেত্রে। যক্ষ্মা রোগীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সমীক্ষকরা। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিষয়টি খতিয়েও দেখেন তাঁরা। রাজ্যের সরকারি বেসরকারি ক্ষেত্রে যক্ষ্মার ওষুধ ব্যবহারের মাত্রাই বা কী তার মাপকাঠি খতিয়ে দেখা হয়। তা ছাড়া জেলাস্তরে এই রোগীর সংখ্যার রিপোর্টও নেওয়া হয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সোনা রুপো ও ব্রোঞ্জ প্রাপকদের জেলাওভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকার।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

যক্ষ্মা প্রতিরোধে বড় সাফল্য বাংলার, সোনার মেডেল পাচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর

আপডেট : ২২ মার্চ ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: যক্ষ্মা প্রতিরোধে বড় সাফল্য পেল বাংলা। আর এই সাফল্যের জন্য সোনার পদক পেতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুর। আর ব্রোঞ্জ পদক পেতে চলেছে নদিয়া জেলা। যক্ষ্মামুক্ত বাংলা গড়ার লক্ষ্যে রাজ্য স্বাস্থ্যভবনের সাফল্যে খুশি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও। রাজ্যের দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও নদিয়া। কেন্দ্রীয় সরকারের মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হয়ে সোনার মেডেলের যোগ্যতা অর্জন করতে পেয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। ব্রোঞ্জের মেডেলের যোগ্যতা অর্জন করতে পেয়েছে নদিয়া।

২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মামুক্ত দেশ গড়তে চায় কেন্দ্র সরকার। তার আগে দেশের কোনও রাজ্যের কোন কোন জেলা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পেরেছে তা খতিয়ে দেখতে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুন: SIR-এ বাংলার ১ কোটি ভুয়ো ভোটার বাদ যাবে: শুভেন্দু

সোমবার সেই প্রতিযোগিতার ফল প্রকাশ হয়। তাতেই দেখা যায় পূর্ব মেদিনীপুর পেয়েছে সোনা ব্রোঞ্জ পেয়েছে নদিয়া। আগামী বৃহস্পতিবার দিল্লির বিজ্ঞানভবনে পদকপ্রাপকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে পুরস্কার।

আরও পড়ুন: আগামীকাল ঘোষণা বাংলায় এসআইআর-এর দিনক্ষণ, প্রস্তুতিতে রবিবারও খোলা সিইও অফিস

কেন্দ্রের এই স্বীকৃতিতে উচ্ছ্বসিত রাজ্য স্বাস্থ্যভবন। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশের মতে রাজ্য সরকার ‘যক্ষ্মা মুক্ত বাংলা’ গড়ার যে শপথ নিয়েছে এই স্বীকৃতিতে তার প্রথম ধাপ। আইসিএমআর চেন্নাইয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন ডব্লিউএইচও (ভারত) যৌথভাবে এই সমীক্ষাটি করেছিল। জানা গেছে যক্ষ্মা নির্মূলে সোনার পদক পেয়েছে জম্মু কাশ্মীরের তিনটি জেলা। রয়েছে কেরলের দু’টি, বাংলার ১টি মধ্য প্রদেশের ১টি মহারাষ্ট্রের ১টি।

আরও পড়ুন: অপরাধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাংলার: গণধর্ষণ-কাণ্ডে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী

উল্লেখ্য, ২০২০-২১ সালে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সমীক্ষার রির্পোট গত  ২১ মার্চ ন্যাশনাল হেলথ মিশন ঘোষণা করেছে। মূলত তিনটি বিষয়কে মাপকাঠি হিসাবে রাখা হয়েছিল এই সমীক্ষার ক্ষেত্রে। যক্ষ্মা রোগীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সমীক্ষকরা। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিষয়টি খতিয়েও দেখেন তাঁরা। রাজ্যের সরকারি বেসরকারি ক্ষেত্রে যক্ষ্মার ওষুধ ব্যবহারের মাত্রাই বা কী তার মাপকাঠি খতিয়ে দেখা হয়। তা ছাড়া জেলাস্তরে এই রোগীর সংখ্যার রিপোর্টও নেওয়া হয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সোনা রুপো ও ব্রোঞ্জ প্রাপকদের জেলাওভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকার।