১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ক্রেমলিনকে টলাতে পারবে না ­ রাশিয়া

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২২, শনিবার
  • / 67

পুবের কলম প্রতিবেদক : রাশিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা মস্কোর সরকারের ওপর প্রভাব ফেলবে এমনটা ভাবলে ‘বোকামি’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার সমাজকে আরও ঐক্যবদ্ধ করবে এবং কর্তৃপক্ষের ব্যাপারে জন অসন্তোষ সৃষ্টি করবে না, রুশ বার্তা সংস্থা রিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

 

আরও পড়ুন: Earthquake: রাশিয়ায় ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

ইউক্রেইনে রুশ হামলার প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে। যদিও তাতে রাশিয়াকে দমতে দেখা যাচ্ছে না।যুদ্ধের একমাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও ক্রেমলিন বলছে, ইউক্রেনকে ‘নিরস্ত্রীকরণ’ এবং দেশটিকে ‘নাৎসিমুক্ত’ করার লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে। পশ্চিমাদের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বেশ কয়েকজন রুশ বিলিয়নিয়ারও পড়েছে, যাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হয়। এসব বড় ব্যবসায়ীদের মধ্যে কারোরই দেশের নেতৃত্বের ওপর বিন্দুমাত্র প্রভাব নেই।

আরও পড়ুন: Ukraine War: শান্তি না হলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের

 

আরও পড়ুন: তালিবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

 

সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার এই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেন ক্রেমলিনের সামরিক অভিযানের পক্ষে যে রাশিয়ার দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের সমর্থন আছে, তা বিভিন্ন জনমত সমীক্ষাতেই দেখা যাচ্ছে। পুতিনের পক্ষে সমর্থন অনেক বেশি। দেশের বাইরে থাকা যে রুশরা ইউক্রেইনে অভিযানের বিরুদ্ধে বলছে তাদেরও কড়া সমালোচনা করেছেন মেদভেদেভ। তিনি বলেছেন, কর্তৃপক্ষের কিছু সিদ্ধান্তে আপনি অসন্তুষ্ট হতেই পারেন, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারেন না, তাও এমন কঠিন পরিস্থিতিতে, এটা দেশদ্রোহিতা।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ক্রেমলিনকে টলাতে পারবে না ­ রাশিয়া

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২২, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক : রাশিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা মস্কোর সরকারের ওপর প্রভাব ফেলবে এমনটা ভাবলে ‘বোকামি’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার সমাজকে আরও ঐক্যবদ্ধ করবে এবং কর্তৃপক্ষের ব্যাপারে জন অসন্তোষ সৃষ্টি করবে না, রুশ বার্তা সংস্থা রিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

 

আরও পড়ুন: Earthquake: রাশিয়ায় ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

ইউক্রেইনে রুশ হামলার প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে। যদিও তাতে রাশিয়াকে দমতে দেখা যাচ্ছে না।যুদ্ধের একমাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও ক্রেমলিন বলছে, ইউক্রেনকে ‘নিরস্ত্রীকরণ’ এবং দেশটিকে ‘নাৎসিমুক্ত’ করার লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে। পশ্চিমাদের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বেশ কয়েকজন রুশ বিলিয়নিয়ারও পড়েছে, যাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হয়। এসব বড় ব্যবসায়ীদের মধ্যে কারোরই দেশের নেতৃত্বের ওপর বিন্দুমাত্র প্রভাব নেই।

আরও পড়ুন: Ukraine War: শান্তি না হলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের

 

আরও পড়ুন: তালিবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

 

সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার এই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেন ক্রেমলিনের সামরিক অভিযানের পক্ষে যে রাশিয়ার দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের সমর্থন আছে, তা বিভিন্ন জনমত সমীক্ষাতেই দেখা যাচ্ছে। পুতিনের পক্ষে সমর্থন অনেক বেশি। দেশের বাইরে থাকা যে রুশরা ইউক্রেইনে অভিযানের বিরুদ্ধে বলছে তাদেরও কড়া সমালোচনা করেছেন মেদভেদেভ। তিনি বলেছেন, কর্তৃপক্ষের কিছু সিদ্ধান্তে আপনি অসন্তুষ্ট হতেই পারেন, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারেন না, তাও এমন কঠিন পরিস্থিতিতে, এটা দেশদ্রোহিতা।