১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ম্যাক্রোঁর জয়ে খুশি পশ্চিমা বর্ণবাদীরা!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 167

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ফ্রান্সের মসনদে পুনরায় অধিষ্ঠিত ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। নির্বাচনে ডানপন্থী মেরিন প্যাঁকে পরাজিত করেছেন তিনি। ফ্রান্সের একমাত্র প্রেসিডেন্ট হিসাবে সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় ফিরে এসেছেন ম্যাক্রোঁ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ম্যাক্রোঁর এই জয় গণতন্ত্রপন্থী শক্তির ওপর বর্ণবাদী ইউরোপপন্থী রাজনীতির আধিপত্যকে প্রকাশ ধরেছে। ম্যাক্রোঁর জয়ে ইউেরাপপন্থী নেতা ও সমর্থকরা অত্যন্ত খুশি। তবে বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, ম্যাক্রোঁর সরকার ফিরে আসায় ফরাসি সমাজে বর্ণবাদ ও সাম্প্রদায়িক ঘটনা বৃদ্ধি পাবে। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে ইসলামোফোবিয়া। কারণ, বিগত কয়েক বছর যাবৎ দেশের মুসলিমদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু নীতি গ্রহণ করেছে ফ্রান্স। এই নীতিগুলির মধ্যে বেশিরভাগই মুসলিমদের কোণঠাসা করতে তৈরি হয়েছে। বাকি ইউরোপীয় দেশগুলির মতো ফ্রান্সও কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি খুব একটা উদার নয়। তাই কালো সমাজেও ম্যাক্রোঁ আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই আতঙ্কের কারণ হল, রাজনীতি ও ক্ষমতার স্বার্থে ম্যাক্রোঁর স্বভাব ও চরিত্র বদলে যাওয়ার স্বভাব। সরকার টিকিয়ে রাখতে তিনি পরিবেশবাদী, সমাজবাদী ও বেশকিছু বিদ্বেষী দলকে একজোট করেছেন যার ফলে সমাজে বর্ণবাদ নামক ভাইরাসটি থেকেই যাচ্ছে। ম্যাক্রোঁর জয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিভাগ অঞ্চল এবং পশ্চিমা জোট স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে ঠিকই, কিন্তু তা বাকিদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদ ও সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আশঙ্কা নিয়ে এসেছে।

আরও পড়ুন: তুরস্কের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা পশ্চিমাদের, সমালোচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ম্যাক্রোঁর জয়ে খুশি পশ্চিমা বর্ণবাদীরা!

আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ফ্রান্সের মসনদে পুনরায় অধিষ্ঠিত ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। নির্বাচনে ডানপন্থী মেরিন প্যাঁকে পরাজিত করেছেন তিনি। ফ্রান্সের একমাত্র প্রেসিডেন্ট হিসাবে সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় ফিরে এসেছেন ম্যাক্রোঁ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ম্যাক্রোঁর এই জয় গণতন্ত্রপন্থী শক্তির ওপর বর্ণবাদী ইউরোপপন্থী রাজনীতির আধিপত্যকে প্রকাশ ধরেছে। ম্যাক্রোঁর জয়ে ইউেরাপপন্থী নেতা ও সমর্থকরা অত্যন্ত খুশি। তবে বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, ম্যাক্রোঁর সরকার ফিরে আসায় ফরাসি সমাজে বর্ণবাদ ও সাম্প্রদায়িক ঘটনা বৃদ্ধি পাবে। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে ইসলামোফোবিয়া। কারণ, বিগত কয়েক বছর যাবৎ দেশের মুসলিমদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু নীতি গ্রহণ করেছে ফ্রান্স। এই নীতিগুলির মধ্যে বেশিরভাগই মুসলিমদের কোণঠাসা করতে তৈরি হয়েছে। বাকি ইউরোপীয় দেশগুলির মতো ফ্রান্সও কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি খুব একটা উদার নয়। তাই কালো সমাজেও ম্যাক্রোঁ আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই আতঙ্কের কারণ হল, রাজনীতি ও ক্ষমতার স্বার্থে ম্যাক্রোঁর স্বভাব ও চরিত্র বদলে যাওয়ার স্বভাব। সরকার টিকিয়ে রাখতে তিনি পরিবেশবাদী, সমাজবাদী ও বেশকিছু বিদ্বেষী দলকে একজোট করেছেন যার ফলে সমাজে বর্ণবাদ নামক ভাইরাসটি থেকেই যাচ্ছে। ম্যাক্রোঁর জয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিভাগ অঞ্চল এবং পশ্চিমা জোট স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে ঠিকই, কিন্তু তা বাকিদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদ ও সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আশঙ্কা নিয়ে এসেছে।

আরও পড়ুন: তুরস্কের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা পশ্চিমাদের, সমালোচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী