২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিনামূল্যেই এই ট্রেনে সফর করতে পারবেন আপনিও! নেই কোনও টিটি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৫ মে ২০২২, বুধবার
  • / 31

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এই বিশেষ ট্রেনে চেপে আপনি ঘুরে আসতে পারেন, অথচ আপনার কাছে ভাড়া চাইবে না কেউই। ট্রেনে নেই কোনও টিটিও নেই। কথাটা অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি!। এমনই একটি ট্রেন গত ৭৩ বছর ধরে পরিষেবা দিয়ে আসছে যাত্রীদের। কিন্তু কেন বিনামূল্যে এই পরিষেবা!

জানা গেছে একটি মহৎ উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হিমাচল প্রদেশ এবং পঞ্জাব সীমান্তে চলা এই বিশেষ ট্রেন চলে ভাকরা ও  নাঙ্গালের মধ্যে। কেউ যদি এই বাঁধ দেখতে যান তাহলে তাঁরা বিনামূল্যে এই ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। ভাকরা নাঙ্গাল বাঁধ দেখার আনন্দ উপভোগ করেন যাত্রীরা। এই সুবিধা পেয়ে আসছে ২৫টি গ্রামের মানুষ। গত ৭৩ বছর ধরে এই পরিষেবা দিয়ে আসছে ট্রেন।

আরও পড়ুন: একই বাসে হিন্দু যুবতীর সঙ্গে মুসলিম যুবক, বেধড়ক মার বজরং দলের

৭৩ বছর ধরে সুবিধা পান ২৫ টি গ্রামের মানুষ। এই ট্রেনটির পরিষেবা দেওয়ার উদ্দেশ্য ভাকরা নাঙ্গাল বাঁধ সম্পর্কে মানুষকে জানানো। বিনামূল্যে পরিষেবার মূল উদ্দেশ্য, বাঁধ তৈরিতে কী কী অসুবিধা হয়েছিল, তা জনগণকে জানানো। ট্রেনটি পরিচালনা করে ভাকরা-বিয়াস ম্যানেজমেন্ট বোর্ড।

আরও পড়ুন: স্কুল পড়ুয়াদের যাতায়াত সুগম করতে বিকল্প রুট, বিশেষ ব্যবস্থা কলকাতা পুলিশের

প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য  পাহাড় কেটে এই রেলপথ তৈরি করা হয়েছিল। কিভাবে কত কষ্ট করে এই ভাকরা নাঙ্গাল বাঁধ তৈরি হয়েছিল তার আসল তথ্য জানানোই আসল উদ্দেশ্য। এই পরিষেবার কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৪৯ সালে। তার পর থেকে বিগত ৭৩ বছর ধরে চলে আসছে এই পরিষেবা। বিনামূল্যে পরিষেবা নেওয়া পাশাপাশি মানুষ জানতে পারছে অনেক না জানা তথ্য। ২৫টি গ্রামের অন্তত ৩০০ জন মানুষ  প্রতিদিন এই ট্রেনে যাতায়াত করেন। দিনে দুবার পরিষেবা দেয় এই ট্রেন। সব থেকে বেশি উপকৃত হন ছাত্র-ছাত্রীরা। এই ট্রেনে কোনও টিকিট পরীক্ষক থাকেন না। ডিজেল চালিত এই ট্রেনটিতে দিনে ৫০ লিটার ডিজেল লাগে। সকাল ৭.০৫ মিনিটে নাঙ্গাল থেকে যাত্রা শুরু হয়ে ভাকরায় গিয়ে ৮.২০-তে ফিরে আসে। এরপর আবার বিতেল ৩.০৫-এ নাগাল থেকে ছেড়ে বিকেল  ৪.২০-তে ভাকরা হয়ে নাঙ্গালে ফিরে আসে।

আরও পড়ুন: ৩৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের পরিকল্পনা নরেন্দ্র মোদির , গুজরাত সফরে বড় চমক

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিনামূল্যেই এই ট্রেনে সফর করতে পারবেন আপনিও! নেই কোনও টিটি

আপডেট : ২৫ মে ২০২২, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এই বিশেষ ট্রেনে চেপে আপনি ঘুরে আসতে পারেন, অথচ আপনার কাছে ভাড়া চাইবে না কেউই। ট্রেনে নেই কোনও টিটিও নেই। কথাটা অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি!। এমনই একটি ট্রেন গত ৭৩ বছর ধরে পরিষেবা দিয়ে আসছে যাত্রীদের। কিন্তু কেন বিনামূল্যে এই পরিষেবা!

জানা গেছে একটি মহৎ উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হিমাচল প্রদেশ এবং পঞ্জাব সীমান্তে চলা এই বিশেষ ট্রেন চলে ভাকরা ও  নাঙ্গালের মধ্যে। কেউ যদি এই বাঁধ দেখতে যান তাহলে তাঁরা বিনামূল্যে এই ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। ভাকরা নাঙ্গাল বাঁধ দেখার আনন্দ উপভোগ করেন যাত্রীরা। এই সুবিধা পেয়ে আসছে ২৫টি গ্রামের মানুষ। গত ৭৩ বছর ধরে এই পরিষেবা দিয়ে আসছে ট্রেন।

আরও পড়ুন: একই বাসে হিন্দু যুবতীর সঙ্গে মুসলিম যুবক, বেধড়ক মার বজরং দলের

৭৩ বছর ধরে সুবিধা পান ২৫ টি গ্রামের মানুষ। এই ট্রেনটির পরিষেবা দেওয়ার উদ্দেশ্য ভাকরা নাঙ্গাল বাঁধ সম্পর্কে মানুষকে জানানো। বিনামূল্যে পরিষেবার মূল উদ্দেশ্য, বাঁধ তৈরিতে কী কী অসুবিধা হয়েছিল, তা জনগণকে জানানো। ট্রেনটি পরিচালনা করে ভাকরা-বিয়াস ম্যানেজমেন্ট বোর্ড।

আরও পড়ুন: স্কুল পড়ুয়াদের যাতায়াত সুগম করতে বিকল্প রুট, বিশেষ ব্যবস্থা কলকাতা পুলিশের

প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য  পাহাড় কেটে এই রেলপথ তৈরি করা হয়েছিল। কিভাবে কত কষ্ট করে এই ভাকরা নাঙ্গাল বাঁধ তৈরি হয়েছিল তার আসল তথ্য জানানোই আসল উদ্দেশ্য। এই পরিষেবার কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৪৯ সালে। তার পর থেকে বিগত ৭৩ বছর ধরে চলে আসছে এই পরিষেবা। বিনামূল্যে পরিষেবা নেওয়া পাশাপাশি মানুষ জানতে পারছে অনেক না জানা তথ্য। ২৫টি গ্রামের অন্তত ৩০০ জন মানুষ  প্রতিদিন এই ট্রেনে যাতায়াত করেন। দিনে দুবার পরিষেবা দেয় এই ট্রেন। সব থেকে বেশি উপকৃত হন ছাত্র-ছাত্রীরা। এই ট্রেনে কোনও টিকিট পরীক্ষক থাকেন না। ডিজেল চালিত এই ট্রেনটিতে দিনে ৫০ লিটার ডিজেল লাগে। সকাল ৭.০৫ মিনিটে নাঙ্গাল থেকে যাত্রা শুরু হয়ে ভাকরায় গিয়ে ৮.২০-তে ফিরে আসে। এরপর আবার বিতেল ৩.০৫-এ নাগাল থেকে ছেড়ে বিকেল  ৪.২০-তে ভাকরা হয়ে নাঙ্গালে ফিরে আসে।

আরও পড়ুন: ৩৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের পরিকল্পনা নরেন্দ্র মোদির , গুজরাত সফরে বড় চমক