সংসদের দুই কক্ষেই সঞ্জয় রাউতের গ্রেফতারি এবং মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে হই-হট্টগোল, ৪ কংগ্রেস সাংসদের বহিষ্কার নোটিশ প্রত্যাহার

- আপডেট : ১ অগাস্ট ২০২২, সোমবার
- / 20
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: চারজন কংগ্রেস সাংসদকে বাদল অভিবেশনে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। বহিষ্কারের নির্দেশ সোমবার তুলে নেওয়ার পর লোকসভায় মূল্যবৃদ্ধির ইস্যু নিয়ে যখন বিতর্ক শুরু হয়, তখন ফের হট্টগোল শুরু হয় লোকসভায়। এদিন বিরোধী সাংসদরা শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের ইডির হাতে গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। ফলে সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন কয়েকবার মুলতবি করতে হয়।
কংগ্রেসের চার সাংসদ মানিকাম ঠাকুর, জ্যোতিমনি, রামাইয়া হরিদাস এবং টিএন প্রথাপানকে দেখা যায় মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে। রাজ্যসভাতেও শিবসেনার সাংসদরা সঞ্জয় রাউতকে জমি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। ফলে রাজ্যসভার অধিবেশন অচল হয়ে পড়ে। শিবসেনার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী অধিবেশনের চলতি বিতর্ক বন্ধ করে, ‘রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার যে তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে’ এই বিষয় নিয়ে বিতর্কের দাবি জানান। অপরদিকে বাম সাংসদরা মহাত্মা গান্ধির মূর্তির সামনে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পকে কীভাবে সরকার ধ্বংস করছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। তারা এই প্রকল্পে পারিশ্রমিক বৃদ্ধির দাবিও জানান।
মহাত্মা গান্ধির মূর্তির সামনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এক বিজেপি সাংসদ আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা দাবি করেন। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে মমতার পদত্যাগ করা উচিৎ। এদিন লোকসভায় হট্টগোলের পর অধ্যক্ষ ওম বিড়লা সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে চালানোর আবেদন জানান। অধ্যক্ষের বৈঠকে চার কংগ্রেস সাংসদের বহিষ্কার নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়। ওম বিড়লা বলেন, সংসদের অধিবেশন চলতে না দেওয়ার ফলে সংসদের গরিমা নষ্ট হচ্ছে।
সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি বলেন, সরকার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় আলোচনা করতে রাজি। তবে আপনারা সংসদে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ঢুকবেন না। রাজ্যসভাতেও এদিন বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। একসময় শিবসেনা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা ওয়েলে নেমে এসে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। সঞ্জয় রাউতের গ্রেফতারি এবং মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিরোধী সাংসদরা এই প্রতিবাদ জানান।