১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩ শহরে পিছু হটেছে রাশিয়া, দাবি কিয়েভের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 98

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ইউক্রেনীয় বাহিনীর পাল্টা আক্রমণের মুখে দোনেৎস্ক অঞ্চলের ৩ শহরে পিছু হটেছে রুশ বাহিনী। বালাকলেয়া শহর হাতছাড়া হওয়ার পর রুশ সৈন্যরা ইজিউম ও ক্রাসনি-লিমানেও নিজেদের অবস্থান ছেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর কুপয়ানস্কে ঢুকে পড়েছে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা। ইউক্রেনীয় মিডিয়ায় দাবি, ৪৮ ঘণ্টায় খারকিভ অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভূখণ্ড রুশ বাহিনীর কাছ থেকে পুনর্দখল করেছে ইউক্রেন। বালাকলেয়া ও ভরলভকা পুনর্দখলের পর ইজিউম ও লিমান ফ্রন্টে জোরালো হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা। এজন্য দু’টি ফ্রন্টে আগে থেকে বিপুল পরিমাণ সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করেছে স্থানীয় বাহিনী। ইউক্রেনীয় সৈন্যরা কয়েক শত বর্গকিলোমিটার জায়গা পুনর্দখল করেছে। ইজিউম ও লিমান ফ্রন্টে আগুয়ান ইউক্রেনীয় বাহিনীর সংখ্যা দেখে রুশ সৈন্যরা পিছু হটছে। এখন শুধু খারকিভ অঞ্চলে নয়, খেরসনেও কয়েকটি জায়গায় আক্রমণের পথে রয়েছে ইউক্রেনীয়রা। ইজিউম ও লুহানস্কের মধ্যবর্তী জায়গায় অবস্থিত কুপয়ানস্ক থেকে রুশ সৈন্যদের একাংশকে ওসকল নদীর পূর্বদিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দোনেৎস্ক সীমান্তের কাছের ইজিউম শহরেও রুশ বাহিনী চাপের মুখে রয়েছে। শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় বাহিনী রুশ অবস্থানে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করছে। এদিকে ইউক্রেনের একটি সৈন্যদল সেভেরস্কি-দোনেৎস নদীপথে অগ্রসর হয়ে রাশিয়া সীমান্তের কাছে ভলচানস্ক এলাকায় তীরে উঠেছে। ভলচানস্ক থেকে অসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রুশ বাহিনীর সঙ্গে থাকা সাংবাদিকরা বলছেন, সুবিধাজনক স্থানে শক্ত প্রতিরোধ গড়ার লক্ষ্যে খারকিভের কয়েকটি ফ্রন্ট থেকে সৈন্য সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। রুশ বাহিনীর জনবল ক্ষয় এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তারা জানান। জানা গেছে, ক্রাসনি-লিমান শহরের কাছে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। খারকিভ অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সাফল্য এলেও তাদের অনেক সৈন্য মারা গেছে। এদিকে ইউক্রেনকে আরও ২৬০ কোটি ডলারেরও বেশি সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা করেছে আমেরিকা। এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আরও পড়ুন: মোদির বজ্রকন্ঠ কেড়ে নিয়েছেন Donald Trump: জয়রাম রমেশ

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৩ শহরে পিছু হটেছে রাশিয়া, দাবি কিয়েভের

আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ইউক্রেনীয় বাহিনীর পাল্টা আক্রমণের মুখে দোনেৎস্ক অঞ্চলের ৩ শহরে পিছু হটেছে রুশ বাহিনী। বালাকলেয়া শহর হাতছাড়া হওয়ার পর রুশ সৈন্যরা ইজিউম ও ক্রাসনি-লিমানেও নিজেদের অবস্থান ছেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর কুপয়ানস্কে ঢুকে পড়েছে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা। ইউক্রেনীয় মিডিয়ায় দাবি, ৪৮ ঘণ্টায় খারকিভ অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভূখণ্ড রুশ বাহিনীর কাছ থেকে পুনর্দখল করেছে ইউক্রেন। বালাকলেয়া ও ভরলভকা পুনর্দখলের পর ইজিউম ও লিমান ফ্রন্টে জোরালো হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা। এজন্য দু’টি ফ্রন্টে আগে থেকে বিপুল পরিমাণ সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করেছে স্থানীয় বাহিনী। ইউক্রেনীয় সৈন্যরা কয়েক শত বর্গকিলোমিটার জায়গা পুনর্দখল করেছে। ইজিউম ও লিমান ফ্রন্টে আগুয়ান ইউক্রেনীয় বাহিনীর সংখ্যা দেখে রুশ সৈন্যরা পিছু হটছে। এখন শুধু খারকিভ অঞ্চলে নয়, খেরসনেও কয়েকটি জায়গায় আক্রমণের পথে রয়েছে ইউক্রেনীয়রা। ইজিউম ও লুহানস্কের মধ্যবর্তী জায়গায় অবস্থিত কুপয়ানস্ক থেকে রুশ সৈন্যদের একাংশকে ওসকল নদীর পূর্বদিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দোনেৎস্ক সীমান্তের কাছের ইজিউম শহরেও রুশ বাহিনী চাপের মুখে রয়েছে। শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় বাহিনী রুশ অবস্থানে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করছে। এদিকে ইউক্রেনের একটি সৈন্যদল সেভেরস্কি-দোনেৎস নদীপথে অগ্রসর হয়ে রাশিয়া সীমান্তের কাছে ভলচানস্ক এলাকায় তীরে উঠেছে। ভলচানস্ক থেকে অসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রুশ বাহিনীর সঙ্গে থাকা সাংবাদিকরা বলছেন, সুবিধাজনক স্থানে শক্ত প্রতিরোধ গড়ার লক্ষ্যে খারকিভের কয়েকটি ফ্রন্ট থেকে সৈন্য সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। রুশ বাহিনীর জনবল ক্ষয় এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তারা জানান। জানা গেছে, ক্রাসনি-লিমান শহরের কাছে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। খারকিভ অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সাফল্য এলেও তাদের অনেক সৈন্য মারা গেছে। এদিকে ইউক্রেনকে আরও ২৬০ কোটি ডলারেরও বেশি সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা করেছে আমেরিকা। এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আরও পড়ুন: মোদির বজ্রকন্ঠ কেড়ে নিয়েছেন Donald Trump: জয়রাম রমেশ