০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতি রুখতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি, প্রভাবশালী হলেও ছাড় নয়, এজেন্সিগুলিকে দাওয়াই মোদির

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 80

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বিরোধী শিবিরকে শায়েস্তা করার হাতিয়ার হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি ও দুর্নীতিদমন বাহিনী। কোনও বিরোধী নেতাকে জব্দ করতে তার পিছনে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে ইডি-সিবিআই-আইটি দফতরকে।

 

আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা ফি বৃদ্ধি, মোদি নীরব কেন: রাহুল

কারও বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। আবার কোনও কোনও মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে হিংসায় মদদ দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগে।

আরও পড়ুন: দুর্নীতি ঠেকাতে আলবেনিয়ায় এআই মন্ত্রী নিয়োগ

রাহুল থেকে কেজরিওয়াল, মমতা থেকে স্টালিন, সবাই কেন্দ্রের এমন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে যখন সোচ্চার, ঠিক তখনই এজেন্সিগুলিকে ফের একবার ‘আক্রমণাত্মক’ হওয়ার দাওয়াই দিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আরও পড়ুন: মোদির স্নাতকের ফল জানাতে বাধ্য নয় দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়

 

দুর্নীতি-বিরোধী এজেন্সিগুলিকে উসকিয়ে দিয়ে মোদি এ দিন বলেন, আপনারা রক্ষণাত্মক হবেন না কোনওভাবেই। দুর্নীতিবাজদের ছেড়ে দেবেন না। এর সঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট লালকেল্লা থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জানিয়েছিলেন, দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপস নয়। এ দিনও তার মুখে সেই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল।

 

সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি জানান, দুর্নীতিবাজ যত ক্ষমতাশালী বা প্রভাবশালী হোক না কেন, তাকে কোনও ছাড় নয়। এ ব্যাপারে সিভিসিকে দায়িত্ব নিতে হবে যাতে কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক বা সামাজিক আশ্রয় পেয়ে পার না পায়। সবাইকে সমাজের কাছে হিসেব দিতে হবে। এমন পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।

 

মানুষ আজকাল দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে গিয়ে ছবি তুলতেও লজ্জাবোধ করছে না। ভারতীয় সমাজের জন্য এই পরিস্থিতি ভালো লক্ষণ নয়। এ দিন কারও নাম না করেই মোদি বলেন, অনেকে ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজদের সমর্থনে সাফাই দিচ্ছে। এমনকী তাদেরকে নানাভাবে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। এ দিন মোদির ভাষণে তাঁর নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথাও উঠে আসে।

তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর সততার সঙ্গে কাজ করে চলেছি। এতে প্রথম প্রথম আমাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষ আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদ্যাপন করছে। এখন সিস্টেম বদলানোর সময় এসেছে। দুর্নীতির যে ট্র্যাডিশন চলে আসছে, তাকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে। এ ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করতে হবে বলে নির্দেশ দেন তিনি।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দুর্নীতি রুখতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি, প্রভাবশালী হলেও ছাড় নয়, এজেন্সিগুলিকে দাওয়াই মোদির

আপডেট : ৪ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বিরোধী শিবিরকে শায়েস্তা করার হাতিয়ার হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি ও দুর্নীতিদমন বাহিনী। কোনও বিরোধী নেতাকে জব্দ করতে তার পিছনে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে ইডি-সিবিআই-আইটি দফতরকে।

 

আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা ফি বৃদ্ধি, মোদি নীরব কেন: রাহুল

কারও বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। আবার কোনও কোনও মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে হিংসায় মদদ দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগে।

আরও পড়ুন: দুর্নীতি ঠেকাতে আলবেনিয়ায় এআই মন্ত্রী নিয়োগ

রাহুল থেকে কেজরিওয়াল, মমতা থেকে স্টালিন, সবাই কেন্দ্রের এমন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে যখন সোচ্চার, ঠিক তখনই এজেন্সিগুলিকে ফের একবার ‘আক্রমণাত্মক’ হওয়ার দাওয়াই দিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আরও পড়ুন: মোদির স্নাতকের ফল জানাতে বাধ্য নয় দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়

 

দুর্নীতি-বিরোধী এজেন্সিগুলিকে উসকিয়ে দিয়ে মোদি এ দিন বলেন, আপনারা রক্ষণাত্মক হবেন না কোনওভাবেই। দুর্নীতিবাজদের ছেড়ে দেবেন না। এর সঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট লালকেল্লা থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জানিয়েছিলেন, দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপস নয়। এ দিনও তার মুখে সেই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল।

 

সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি জানান, দুর্নীতিবাজ যত ক্ষমতাশালী বা প্রভাবশালী হোক না কেন, তাকে কোনও ছাড় নয়। এ ব্যাপারে সিভিসিকে দায়িত্ব নিতে হবে যাতে কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক বা সামাজিক আশ্রয় পেয়ে পার না পায়। সবাইকে সমাজের কাছে হিসেব দিতে হবে। এমন পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।

 

মানুষ আজকাল দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে গিয়ে ছবি তুলতেও লজ্জাবোধ করছে না। ভারতীয় সমাজের জন্য এই পরিস্থিতি ভালো লক্ষণ নয়। এ দিন কারও নাম না করেই মোদি বলেন, অনেকে ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজদের সমর্থনে সাফাই দিচ্ছে। এমনকী তাদেরকে নানাভাবে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। এ দিন মোদির ভাষণে তাঁর নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথাও উঠে আসে।

তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর সততার সঙ্গে কাজ করে চলেছি। এতে প্রথম প্রথম আমাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষ আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদ্যাপন করছে। এখন সিস্টেম বদলানোর সময় এসেছে। দুর্নীতির যে ট্র্যাডিশন চলে আসছে, তাকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে। এ ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করতে হবে বলে নির্দেশ দেন তিনি।