২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আকাশপথে নজরদারি বাড়াল ভারত, চলছে ফাইটার জেটের টহলদারি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 20

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  ফের নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত-চিন সংঘর্ষ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। গালওয়ানের পর এবার সংঘর্ষের সূত্রপাত অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলার  ইয়াংস্টে এলাকায়।  ফের ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং চিনা পিএলএ-র মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী,  গত ৯ ডিসেম্বর চিনা পিএলএ-র একটি অবৈধ নির্মাণকাজে বাধা দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। তার পরেই এই সংঘর্ষের সূত্রপাত।

আরও পড়ুন: অবশেষে বুধবার মহাকাশ অভিযানে যাচ্ছেন ভারতের শুভাংশু শুক্ল

গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত বাঁধে। এর পর  ১১ ডিসেম্বরও দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই দেশের সেনাবাহিনীরই কয়েকজন সদস্য সামান্য আহত  হন। এই ঘটনার পর পরই নড়েচড়ে বসল ভারত। অরুণাচল প্রদেশের আকাশসীমায় টহল দিচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান। এক সপ্তাহ আগে পিএলএ ৩০০ জন  সেনা জওয়ান প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ফেলে। তারপরই ভারতীয় সেনা ও চিনা সেনা সরাসরি সংঘাতে জড়ায়। এই ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন: ফ্রান্সের পর প্রথম ভারতে তৈরি হবে ফ্যালকন জেট

চিন যাতে ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন না করতে পারে তার জন্য নজরদারি বাড়াল ভারত। ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে অরুণাচলপ্রদেশে টহল দিচ্ছে  ফাইটার জেট।

আরও পড়ুন: ভারত বাছ-বিচার না করেই বাসিন্দাদের বিতাড়ন করছে, দরিদ্র বলে তারা আদালতে যেতে পারছে না

২০২০ সালের পূর্ব লাদাখে গালওয়ান সংঘর্ষের পর  দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার ফের সংঘর্ষে জড়াল দুই বাহিনী। তবে এই সংঘাতে জখম হয়েছেন দুই তরফের সেনাই। জানা গিয়েছে, ভারতের তুলনায় চিনা বাহিনীতে আহতের সংখ্যা বেশি।

আহত ভারতীয় সেনাদের গুয়াহাটি সামরিক হাসপাতালে  ভর্তি করা হয়েছে। ২০২০ সালের গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারী চিনা ফৌজকে ভারতীয় বাহিনী বাধা দেওয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের  ঘটনা ঘটেছিল। সংঘর্ষে মোট ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছিলেন। চিনা ফৌজের নিহতের সংখ্যা ছিল আরও বেশি। তবে সেকথা বেজিং আজও অস্বীকার করে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আকাশপথে নজরদারি বাড়াল ভারত, চলছে ফাইটার জেটের টহলদারি

আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  ফের নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত-চিন সংঘর্ষ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। গালওয়ানের পর এবার সংঘর্ষের সূত্রপাত অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলার  ইয়াংস্টে এলাকায়।  ফের ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং চিনা পিএলএ-র মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী,  গত ৯ ডিসেম্বর চিনা পিএলএ-র একটি অবৈধ নির্মাণকাজে বাধা দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। তার পরেই এই সংঘর্ষের সূত্রপাত।

আরও পড়ুন: অবশেষে বুধবার মহাকাশ অভিযানে যাচ্ছেন ভারতের শুভাংশু শুক্ল

গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত বাঁধে। এর পর  ১১ ডিসেম্বরও দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই দেশের সেনাবাহিনীরই কয়েকজন সদস্য সামান্য আহত  হন। এই ঘটনার পর পরই নড়েচড়ে বসল ভারত। অরুণাচল প্রদেশের আকাশসীমায় টহল দিচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান। এক সপ্তাহ আগে পিএলএ ৩০০ জন  সেনা জওয়ান প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ফেলে। তারপরই ভারতীয় সেনা ও চিনা সেনা সরাসরি সংঘাতে জড়ায়। এই ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন: ফ্রান্সের পর প্রথম ভারতে তৈরি হবে ফ্যালকন জেট

চিন যাতে ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন না করতে পারে তার জন্য নজরদারি বাড়াল ভারত। ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে অরুণাচলপ্রদেশে টহল দিচ্ছে  ফাইটার জেট।

আরও পড়ুন: ভারত বাছ-বিচার না করেই বাসিন্দাদের বিতাড়ন করছে, দরিদ্র বলে তারা আদালতে যেতে পারছে না

২০২০ সালের পূর্ব লাদাখে গালওয়ান সংঘর্ষের পর  দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার ফের সংঘর্ষে জড়াল দুই বাহিনী। তবে এই সংঘাতে জখম হয়েছেন দুই তরফের সেনাই। জানা গিয়েছে, ভারতের তুলনায় চিনা বাহিনীতে আহতের সংখ্যা বেশি।

আহত ভারতীয় সেনাদের গুয়াহাটি সামরিক হাসপাতালে  ভর্তি করা হয়েছে। ২০২০ সালের গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারী চিনা ফৌজকে ভারতীয় বাহিনী বাধা দেওয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের  ঘটনা ঘটেছিল। সংঘর্ষে মোট ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছিলেন। চিনা ফৌজের নিহতের সংখ্যা ছিল আরও বেশি। তবে সেকথা বেজিং আজও অস্বীকার করে।