২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দীর্ঘ রোগভোগের পর প্রয়াত প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুসারফ

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, রবিবার
  • / 27

 

 

আরও পড়ুন: ড. মুনকির হোসেনের ইন্তেকাল

 

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় দিনক্ষণ পরিবর্তন

 

আরও পড়ুন: প্রয়াত ঐতিহাসিক রণজিৎ গুহ, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  দীর্ঘ রোগভোগের পর দুবাইতে প্রয়াত হলেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুসারফ। মৃত্যুকালে তাঁর  বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন এই প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল বলেই দাবি করা হয়েছিল একাধিক সূত্র মারফত। তবে পরিবারের তরফে এই কথা অস্বীকার করা হয়েছে। তবে মুশারফের দেহ পাকিস্তানে ফেরানো হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।

১৯৪৩ সালে দিল্লিতে মুশারফের জন্ম। করাচি ও তুরস্কের ইস্তানবুলে শৈশব কেটেছে তাঁর। পরে লাহোরের ফরমান ক্রিশ্চিয়ান কলেজে অঙ্ক নিয়ে ভরতি হলেও পরিবারের অমতে পাকিস্তান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন ১৯৬১ সালে। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। নয়ের দশকে মেজর-জেনারেল মুশারফ পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক এবং পাক সেনাবাহিনীর কমান্ডো বাহিনী ‘স্পেশ্যাল সার্ভিসেস গ্রুপ’ এর প্রধান হন। পরে সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে ডেপুটি মিলিটারি সেক্রেটারি এবং ডাইরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন্স ডাইরেক্টরেট হয়েছিলেন।

১৯৯৮ সালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল থেকে জেনারেল পদে উন্নীত হন। তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ মুসারফকে এই পদে উন্নীত করেন।

অভিযোগ, ১৯৯৯ সালে ভারতে হামলার মূল পরিকল্পনা করেছিলেন পারভেজই, যা পরে কার্গিল যুদ্ধতে পরিণত হয়। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ থাকায় সামরিক বাহিনী থেকে মুশারফকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দীর্ঘ রোগভোগের পর প্রয়াত প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুসারফ

আপডেট : ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, রবিবার

 

 

আরও পড়ুন: ড. মুনকির হোসেনের ইন্তেকাল

 

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় দিনক্ষণ পরিবর্তন

 

আরও পড়ুন: প্রয়াত ঐতিহাসিক রণজিৎ গুহ, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  দীর্ঘ রোগভোগের পর দুবাইতে প্রয়াত হলেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুসারফ। মৃত্যুকালে তাঁর  বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন এই প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল বলেই দাবি করা হয়েছিল একাধিক সূত্র মারফত। তবে পরিবারের তরফে এই কথা অস্বীকার করা হয়েছে। তবে মুশারফের দেহ পাকিস্তানে ফেরানো হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।

১৯৪৩ সালে দিল্লিতে মুশারফের জন্ম। করাচি ও তুরস্কের ইস্তানবুলে শৈশব কেটেছে তাঁর। পরে লাহোরের ফরমান ক্রিশ্চিয়ান কলেজে অঙ্ক নিয়ে ভরতি হলেও পরিবারের অমতে পাকিস্তান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন ১৯৬১ সালে। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। নয়ের দশকে মেজর-জেনারেল মুশারফ পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক এবং পাক সেনাবাহিনীর কমান্ডো বাহিনী ‘স্পেশ্যাল সার্ভিসেস গ্রুপ’ এর প্রধান হন। পরে সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে ডেপুটি মিলিটারি সেক্রেটারি এবং ডাইরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন্স ডাইরেক্টরেট হয়েছিলেন।

১৯৯৮ সালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল থেকে জেনারেল পদে উন্নীত হন। তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ মুসারফকে এই পদে উন্নীত করেন।

অভিযোগ, ১৯৯৯ সালে ভারতে হামলার মূল পরিকল্পনা করেছিলেন পারভেজই, যা পরে কার্গিল যুদ্ধতে পরিণত হয়। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ থাকায় সামরিক বাহিনী থেকে মুশারফকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।