২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজ্যের প্রাপ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে এবার সরব স্বয়ং রাজ্যপাল

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 38

 

 

আরও পড়ুন: আরবিআই-এর গভর্নরের মুকুটে নয়া পালক! পেলেন আন্তর্জাতিক সম্মান  

 

আরও পড়ুন: Breaking: সাপ্তাহিক রিপোর্ট না পেয়ে, ৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ রাজ্যপালের

 

আরও পড়ুন: কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে শপথ গ্রহণ সভায় রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা

পুবের কলম প্রতিবেদক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন স্বয়ং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

রাজ্যপাল কোন রাখঢাক না করেই নিজের ভাষণে বলেন ‘‌কেন্দ্রের কাছে বকেয়া রয়েছে প্রায় ১১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। তাই উন্নয়নের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। আশা করব কেন্দ্র বাংলাকে প্রাপ্য টাকা দ্রুত পরিশোধ করবে।’‌

বুধবারের বাজেট ভাষণে রাজ্যপাল আরও বলেন কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের আরও ১১ হাজার ৮০০ কোটি টাকারও বেশি পাওনা এখনও বকেয়া রয়েছে। তাই উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সাধারণমানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্ছিত হচ্ছেন। জনসাধারণের উন্নয়ণের লক্ষ্যে কেন্দ্র দ্রুত টাকা পাঠাবে  বলেও আশা প্রকাশ  করেন রাজ্যপাল।

তিনি আরও বলেন “ আমি বিশ্বাস করি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাপ্য টাকা পেয়ে গেলে পশ্চিমবঙ্গ ১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ আবাসন ও গ্রামীণ সড়কের ক্ষেত্রগুলিতে পুনরায় শীর্ষস্থান অধিকার করবে।

তবে রাজ্যসরকারের স্বপক্ষে এই রাজ্যপালের এইহেন বক্তব্য একেবারেই ভালো ভাবে নেয়নি। অসাংবিধানিক ভাবে বিজেপি বিধায়করা  রাজ্যপালের বক্তব্যের মধ্যেই তাঁর উদ্দেশ্যে কাগজ ছুঁড়ে  মারেন। ছিঁড়ে দেওয়া হয়  বাজেটের কাগজও।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে  বর্তমানে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের অম্লমধুর সম্পর্ক সকলেই প্রত্যক্ষ করেছেন। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান এবং প্রশাসনিক প্রধানের মধ্যে বাকযুদ্ধ কার্যত ছিল নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। তবে বর্তমান রাজ্যপালের সঙ্গে  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্য প্রশাসনের সম্পর্ক যথেষ্ট  ইতিবাচক। সেইদিক থেকে রাজ্যপালের এইহেন মন্তব্য যথেষ্ঠ ইতিবাচক। তবে বিজেপি বিধায়করা শুধু কাগজ ছিঁড়েই থেমে থাকেননি। রাজ্যপাল গদি ছাড়ো থেকে শুরু করে তৃণমূলের সবাই চোর স্লোগান দিতে থাকেন। দিতে থাকেন স্লোগানও।

 

একশো দিনের টাকা থেকে শুরু করে আবাস যোজনার দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার বলে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। একাধিকবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একই ইস্যুতে সরব হলেন স্বয়ং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিজেপির গাত্রদাহ যে আরও বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যপাল সেই কথা বলাই বাহুল্য।  রাজ্যপাল যখন হাসিমুখে গাড়িতে উঠে যাচ্ছেন, তখন বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকে ফের ভেসে আসে   স্লোগান রাজ্যপাল গদি ছাড়ো।’ ( ৩০৯)

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাজ্যের প্রাপ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে এবার সরব স্বয়ং রাজ্যপাল

আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার

 

 

আরও পড়ুন: আরবিআই-এর গভর্নরের মুকুটে নয়া পালক! পেলেন আন্তর্জাতিক সম্মান  

 

আরও পড়ুন: Breaking: সাপ্তাহিক রিপোর্ট না পেয়ে, ৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ রাজ্যপালের

 

আরও পড়ুন: কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে শপথ গ্রহণ সভায় রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা

পুবের কলম প্রতিবেদক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন স্বয়ং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

রাজ্যপাল কোন রাখঢাক না করেই নিজের ভাষণে বলেন ‘‌কেন্দ্রের কাছে বকেয়া রয়েছে প্রায় ১১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। তাই উন্নয়নের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। আশা করব কেন্দ্র বাংলাকে প্রাপ্য টাকা দ্রুত পরিশোধ করবে।’‌

বুধবারের বাজেট ভাষণে রাজ্যপাল আরও বলেন কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের আরও ১১ হাজার ৮০০ কোটি টাকারও বেশি পাওনা এখনও বকেয়া রয়েছে। তাই উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সাধারণমানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্ছিত হচ্ছেন। জনসাধারণের উন্নয়ণের লক্ষ্যে কেন্দ্র দ্রুত টাকা পাঠাবে  বলেও আশা প্রকাশ  করেন রাজ্যপাল।

তিনি আরও বলেন “ আমি বিশ্বাস করি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাপ্য টাকা পেয়ে গেলে পশ্চিমবঙ্গ ১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ আবাসন ও গ্রামীণ সড়কের ক্ষেত্রগুলিতে পুনরায় শীর্ষস্থান অধিকার করবে।

তবে রাজ্যসরকারের স্বপক্ষে এই রাজ্যপালের এইহেন বক্তব্য একেবারেই ভালো ভাবে নেয়নি। অসাংবিধানিক ভাবে বিজেপি বিধায়করা  রাজ্যপালের বক্তব্যের মধ্যেই তাঁর উদ্দেশ্যে কাগজ ছুঁড়ে  মারেন। ছিঁড়ে দেওয়া হয়  বাজেটের কাগজও।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে  বর্তমানে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের অম্লমধুর সম্পর্ক সকলেই প্রত্যক্ষ করেছেন। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান এবং প্রশাসনিক প্রধানের মধ্যে বাকযুদ্ধ কার্যত ছিল নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। তবে বর্তমান রাজ্যপালের সঙ্গে  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্য প্রশাসনের সম্পর্ক যথেষ্ট  ইতিবাচক। সেইদিক থেকে রাজ্যপালের এইহেন মন্তব্য যথেষ্ঠ ইতিবাচক। তবে বিজেপি বিধায়করা শুধু কাগজ ছিঁড়েই থেমে থাকেননি। রাজ্যপাল গদি ছাড়ো থেকে শুরু করে তৃণমূলের সবাই চোর স্লোগান দিতে থাকেন। দিতে থাকেন স্লোগানও।

 

একশো দিনের টাকা থেকে শুরু করে আবাস যোজনার দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার বলে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। একাধিকবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একই ইস্যুতে সরব হলেন স্বয়ং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিজেপির গাত্রদাহ যে আরও বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যপাল সেই কথা বলাই বাহুল্য।  রাজ্যপাল যখন হাসিমুখে গাড়িতে উঠে যাচ্ছেন, তখন বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকে ফের ভেসে আসে   স্লোগান রাজ্যপাল গদি ছাড়ো।’ ( ৩০৯)