০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

 কেরলের মন্দিরে ধর্মীয় আচার পালনে রোবট হাতি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১ মার্চ ২০২৩, বুধবার
  • / 112

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ কেরলের  ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হাতিদের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে সম্প্রতিকালে মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে জীবিত প্রাণীর ব্যবহার বন্ধ করবে বলেই ঘোষণা করেছিল তারা। এবার সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

মন্দিরের  ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের জন্য হাতির বদলে হাতিসদৃশ রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনো ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানে জীবিত প্রাণীর ব্যবহার বন্ধের প্রতিশ্রুতির  অংশ হিসেবে ত্রিশুর জেলার ইরিনজাদাপ্পিল্লি শ্রীকৃষ্ণ মন্দির কর্তৃপক্ষ এমন উদ্যোগ নিয়েছে। প্রা

ণী অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক সংগঠন পেটার ভারতীয় শাখা এবং অভিনেত্রী পার্বতী থিরুভোথু এই রোবট হাতিটি মন্দির কর্তৃপক্ষকে উপহার দিয়েছেন। ‘নিষ্ঠুরতামুক্ত পদ্ধতিতে’ ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালনে এটি সহায়ক হবে বলে আশা তাঁদের।

কেরলের মন্দিরে আয়োজিত ধর্মীয় উৎসবে শিকলবন্দী ও সুসজ্জিত হাতিদের রাখা হয়। বছরের পর বছর ধরে প্রাণিকল্যাণ আন্দোলনের কর্মীরা এসব হাতির সঙ্গে বাজে আচরণের অভিযোগ করে আসছেন।

 গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে পিইটিএ কর্তৃপক্ষ বলেছে, মন্দিরে উৎসব চলার সময় প্রচণ্ড রকমের শব্দ হয়। জীবন্ত হাতিকে সে শব্দের মধ্যে রাখাটা নৃশংসতা। সব মন্দিরেই এ ধরনের যান্ত্রিক হাতি ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্দিরে রাখা ওই যান্ত্রিক হাতির  উচ্চতা ১১ ফুট, ওজন ৮০০ কেজি। এটি লোহার কাঠামো দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

মন্দিরের পুরোহিত রাজকুমার নাম্বুথিরি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যান্ত্রিক হাতি পেয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ খুশি।

নাম্বুথিরি আশা প্রকাশ করেন, অন্য মন্দিরগুলোও ধর্মীয় আচার–অনুষ্ঠানের জন্য জীবিত হাতির জায়গায় রোবোটিক হাতি ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনায় নেবে।

হাতির মৃত্যুহার ক্রমাগত বাড়ছে উল্লেখ করে ভারতের প্রাণী অধিকারবিষয়ক গবেষণাকেন্দ্রের পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১৩৮টি বন্দী হাতির মৃত্যু হয়েছে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

 কেরলের মন্দিরে ধর্মীয় আচার পালনে রোবট হাতি

আপডেট : ১ মার্চ ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ কেরলের  ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হাতিদের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে সম্প্রতিকালে মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে জীবিত প্রাণীর ব্যবহার বন্ধ করবে বলেই ঘোষণা করেছিল তারা। এবার সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

মন্দিরের  ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের জন্য হাতির বদলে হাতিসদৃশ রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনো ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানে জীবিত প্রাণীর ব্যবহার বন্ধের প্রতিশ্রুতির  অংশ হিসেবে ত্রিশুর জেলার ইরিনজাদাপ্পিল্লি শ্রীকৃষ্ণ মন্দির কর্তৃপক্ষ এমন উদ্যোগ নিয়েছে। প্রা

ণী অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক সংগঠন পেটার ভারতীয় শাখা এবং অভিনেত্রী পার্বতী থিরুভোথু এই রোবট হাতিটি মন্দির কর্তৃপক্ষকে উপহার দিয়েছেন। ‘নিষ্ঠুরতামুক্ত পদ্ধতিতে’ ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালনে এটি সহায়ক হবে বলে আশা তাঁদের।

কেরলের মন্দিরে আয়োজিত ধর্মীয় উৎসবে শিকলবন্দী ও সুসজ্জিত হাতিদের রাখা হয়। বছরের পর বছর ধরে প্রাণিকল্যাণ আন্দোলনের কর্মীরা এসব হাতির সঙ্গে বাজে আচরণের অভিযোগ করে আসছেন।

 গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে পিইটিএ কর্তৃপক্ষ বলেছে, মন্দিরে উৎসব চলার সময় প্রচণ্ড রকমের শব্দ হয়। জীবন্ত হাতিকে সে শব্দের মধ্যে রাখাটা নৃশংসতা। সব মন্দিরেই এ ধরনের যান্ত্রিক হাতি ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্দিরে রাখা ওই যান্ত্রিক হাতির  উচ্চতা ১১ ফুট, ওজন ৮০০ কেজি। এটি লোহার কাঠামো দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

মন্দিরের পুরোহিত রাজকুমার নাম্বুথিরি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যান্ত্রিক হাতি পেয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ খুশি।

নাম্বুথিরি আশা প্রকাশ করেন, অন্য মন্দিরগুলোও ধর্মীয় আচার–অনুষ্ঠানের জন্য জীবিত হাতির জায়গায় রোবোটিক হাতি ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনায় নেবে।

হাতির মৃত্যুহার ক্রমাগত বাড়ছে উল্লেখ করে ভারতের প্রাণী অধিকারবিষয়ক গবেষণাকেন্দ্রের পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১৩৮টি বন্দী হাতির মৃত্যু হয়েছে।