জুন থেকে রাজ্যের ১১ জেলা হাসপাতালে মিলবে ক্যানসার চিকিৎসা
ইমামা খাতুন
- আপডেট :
৩০ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার
- / 19
পুবের কলম প্রতিবেদক: এ বার ১১ জেলা হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে মিলবে ক্যানসার চিকিৎসা। চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্য ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ শুরু করেছে স্বাস্থ্যভবন।
এই হাসপাতালগুলিতে চালু থাকছে ইন্ডোর ও আউটডোর পরিষেবা। রেডিওথেরাপি, মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, প্যাথোলজি, ইএনটি, ডেন্টাল ও রেডিও ডায়াগনিসিস-এই আটটি বিষয়ে ট্রেনিং চলছে। স্থির হয়েছে, সপ্তাহে দু’দিন মঙ্গল ও শুক্রবার রাজ্যের সব জেলা হাসপাতালে এবং রাজ্যের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মিলবে ক্যানসার চিকিৎসার জন্য আউটডোর পরিষেবা।
বর্তমানে রাজ্যের ৫টি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চালু রয়েছে ক্যানসার চিকিৎসার জন্য এই পরিষেবা। এই হাসপাতালগুলির মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, বাঁকুড়া সম্মিলনি মেডিক্যাল কলেজ ও হাপাতাল, মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতাল।
কিন্তু এবার এই ৫টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাইরেও রাজ্যের আরও ২৩টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ১১টি জেলা হাসপাতালেই মে-জুন মাস থেকে চালু হয়ে যাচ্ছে ক্যানসারের ইন্ডোর- আউটডোর চিকিৎসা।
জেলা স্তরের পরিষেবায় মিলবে ক্যানসার নির্ণয়, সার্জিকাল অঙ্কোলজি, কেমোথেরাপির পরিষেবা। শুধু ক্যানসার চিকিৎসাই নয়, পাশাপাশি এই রোগীদের একটি পরিসংখ্যান তৈরি করার জন্য হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, জাতীয় ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে সমস্ত জেলা হাসপাতালেও এই রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার।
কোন ধরনের ক্যানসারে কত জন আক্রান্ত, তা নজরে রাখতে একটি নির্দিষ্ট পোর্টালও চালু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই পোর্টালে জেলা স্তরের হাসপাতালগুলিকেও তথ্য নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে। আগামী দিনে মহকুমা ও ব্লক স্তরেও সেই কাজ শুরু করা হবে।
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে ‘স্পোক অ্যান্ড হাব’ মডেলে ক্যানসার নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করা হয়েছে। জেলা স্তরে সেই কাজকে আরও ত্বরান্বিত করতেই এই প্রশিক্ষণের আয়োজন।
যেখানে ১৯ দিনের মধ্যে প্রতিটি দিনকে ভাগ করা হয়েছে এক-একটি বিশেষজ্ঞ বিভাগ, উপাধ্যক্ষ, সুপার ও সহকারী সুপারদের জন্য। জানা যাচ্ছে, রেডিয়োথেরাপি, মেডিসিন, শল্য, স্ত্রী-রোগ, প্যাথলজি, কান-নাক-গলা, রেডিয়োডায়াগনস্টিক ও দন্ত বিভাগের বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ হবে।
ক্যানসার পরিষেবায় যুক্ত চিকিৎসকেরা জানান, ওই সমস্ত বিভাগে আসা রোগীদের দেখে যাতে ক্যানসারের বিষয়টি বোঝা যায়, তার জন্যই মূলত প্রশিক্ষণ। এতে জেলা স্তরের হাসপাতালেই রোগটি চিহ্নিত করা যাবে। দ্রুত চিকিৎসাও শুরু হবে। এসএসকেএমের স্তন ক্যানসারের এক শল্য চিকিৎসক বলেন, সচেতনতা বৃদ্ধি, রোগ নির্ধারণ ও চিকিৎসা, এই তিন বিষয়ে বিলম্ব কমিয়ে আনলেই ক্যানসার অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এই পদক্ষেপে তা করা যাবে মনে হয়। কর্মসূচিটি সাফল্য পেলে আগামী দিনে এটি মডেল হবে।