২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আদালতকে অসম্মান করলে নিজেরই অসম্মান হয়’ বার্তা বিচারপতি মান্থারের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১২ মে ২০২৩, শুক্রবার
  • / 23

পারিজাত মোল্লা: গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে কালিয়াগঞ্জের মামলায়  সিট গঠনের নির্দেশ দেন। সিট গঠন  করার পরই বাংলার রাজনীতিতে  হইচই  পড়ে যায়।

সিটের সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আইপিএস দময়ন্তী সেন, প্রাক্তন আইপিএস উপেন বিশ্বাস ও আর এক প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্তের নাম। সেই নাম নিয়েই আপত্তি প্রকাশ করেছে শাসক শিবিরের একাংশ।বিশেষত উপেন বিশ্বাস ও পঙ্কজ দত্তের নাম নিয়ে জোর চর্চা তৃণমূল শিবিরে।

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু নয় এমন আসনে সংরক্ষণ চালুর বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু সমাজ

কীসের ভিত্তিতে সিটের সদস্যদের বেছে নেওয়া হল?  তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শুক্রবার  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে কালিয়াগঞ্জ সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করার দাবি জানান  আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। তবে আদালতকে অসম্মান করলে, নিজেরই অসম্মান হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি মান্থার।

আরও পড়ুন: বিচারপতি সিনহার এজলাসে ব্যালট পেপার সংক্রান্ত রিপোর্ট দিলেন জগাছার বিডিও

এদিন এজলাসে কুণাল ঘোষ বা অন্য কোনও নেতার নাম উত্থাপন করা হয়নি অবশ্য। কালিয়াগঞ্জের নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত দুই আইপিএস কে রেখে সিট গঠন করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।

আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় সায়গলের বেআইনি সম্পত্তির কথা আদালতকে জানালো সিবিআই

শুক্রবার মামলা চলাকালীন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করে জানান, -‘ বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিবৃতি দিয়েছেন এক রাজনৈতিক নেতা’। তাঁর দাবি, -‘আদালত স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করুক’। এর পরিপেক্ষিতে  বিচারপতি জানান, -‘প্রয়োজনে আবেদন করলে আদালত তা বিবেচনা করবে। তবে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হবে না’।এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি মান্থার বলেন, ‘নিজেরা যদি নিজেদের সম্মান নষ্ট করেন, তাহলে কোর্ট কী করবে। আদালতকে অসম্মান করতে গিয়ে কেউ কেউ যে নিজেদের অসম্মান করছেন, সেটা তাঁরা বুঝতে পারছেন না বা বুঝেও সেটাই করে চলেছেন। কোর্ট তো আলাদা আলাদা করে সবাইকে বিধি শেখাবে না।’প্রসঙ্গত , গত বৃহস্পতিবার সিটের সদস্য হিসেবে দুই প্রাক্তন আইপিএসের নাম সামনে আসার পর কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আদালতের কাছে যদি টিভির প্যানেলে মুখ দেখানো ও সরকারের বিরোধিতা করাটা বিচার্য বিষয় বলে গন্য হয় তাহলে খুবই দুঃখিত। রাজ্যের যদি প্রাক্তন আইপিএসদেরই খোঁজ করতে হবে, তাহলে রাজ্যে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস কি কম পড়েছিল?’ যিনি বর্তমান পুলিশের সমালোচনা করেন, তাঁকে কেন সিটের সদস্য করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কুণাল ঘোষ। তবে তাঁর ( কুনাল)নাম উল্লেখ করা হয়নি আদালতে এদিনকার শুনানি পর্বে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আদালতকে অসম্মান করলে নিজেরই অসম্মান হয়’ বার্তা বিচারপতি মান্থারের

আপডেট : ১২ মে ২০২৩, শুক্রবার

পারিজাত মোল্লা: গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে কালিয়াগঞ্জের মামলায়  সিট গঠনের নির্দেশ দেন। সিট গঠন  করার পরই বাংলার রাজনীতিতে  হইচই  পড়ে যায়।

সিটের সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আইপিএস দময়ন্তী সেন, প্রাক্তন আইপিএস উপেন বিশ্বাস ও আর এক প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্তের নাম। সেই নাম নিয়েই আপত্তি প্রকাশ করেছে শাসক শিবিরের একাংশ।বিশেষত উপেন বিশ্বাস ও পঙ্কজ দত্তের নাম নিয়ে জোর চর্চা তৃণমূল শিবিরে।

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু নয় এমন আসনে সংরক্ষণ চালুর বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু সমাজ

কীসের ভিত্তিতে সিটের সদস্যদের বেছে নেওয়া হল?  তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শুক্রবার  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে কালিয়াগঞ্জ সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করার দাবি জানান  আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। তবে আদালতকে অসম্মান করলে, নিজেরই অসম্মান হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি মান্থার।

আরও পড়ুন: বিচারপতি সিনহার এজলাসে ব্যালট পেপার সংক্রান্ত রিপোর্ট দিলেন জগাছার বিডিও

এদিন এজলাসে কুণাল ঘোষ বা অন্য কোনও নেতার নাম উত্থাপন করা হয়নি অবশ্য। কালিয়াগঞ্জের নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত দুই আইপিএস কে রেখে সিট গঠন করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।

আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় সায়গলের বেআইনি সম্পত্তির কথা আদালতকে জানালো সিবিআই

শুক্রবার মামলা চলাকালীন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করে জানান, -‘ বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিবৃতি দিয়েছেন এক রাজনৈতিক নেতা’। তাঁর দাবি, -‘আদালত স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করুক’। এর পরিপেক্ষিতে  বিচারপতি জানান, -‘প্রয়োজনে আবেদন করলে আদালত তা বিবেচনা করবে। তবে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হবে না’।এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি মান্থার বলেন, ‘নিজেরা যদি নিজেদের সম্মান নষ্ট করেন, তাহলে কোর্ট কী করবে। আদালতকে অসম্মান করতে গিয়ে কেউ কেউ যে নিজেদের অসম্মান করছেন, সেটা তাঁরা বুঝতে পারছেন না বা বুঝেও সেটাই করে চলেছেন। কোর্ট তো আলাদা আলাদা করে সবাইকে বিধি শেখাবে না।’প্রসঙ্গত , গত বৃহস্পতিবার সিটের সদস্য হিসেবে দুই প্রাক্তন আইপিএসের নাম সামনে আসার পর কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আদালতের কাছে যদি টিভির প্যানেলে মুখ দেখানো ও সরকারের বিরোধিতা করাটা বিচার্য বিষয় বলে গন্য হয় তাহলে খুবই দুঃখিত। রাজ্যের যদি প্রাক্তন আইপিএসদেরই খোঁজ করতে হবে, তাহলে রাজ্যে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস কি কম পড়েছিল?’ যিনি বর্তমান পুলিশের সমালোচনা করেন, তাঁকে কেন সিটের সদস্য করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কুণাল ঘোষ। তবে তাঁর ( কুনাল)নাম উল্লেখ করা হয়নি আদালতে এদিনকার শুনানি পর্বে।