ঈদ: রাজ্য পুলিশকে একাধিক নির্দেশ মুখ্যসচিবের

- আপডেট : ২৮ জুন ২০২৩, বুধবার
- / 16
পুবের কলম প্রতিবেদক: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। ভোটের আবহে রাজ্যের কোথাও কোথাও অশান্তির ছবি ধরা পড়েছে। এরই মধ্যে আগামী বৃহস্পতিবার পালিত হবে ঈদ-উল-আযহা। এই ঈদের উৎসবে বাংলায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাজ্য সরকার পুলিশ প্রশাসনকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের সুনাম যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য বিশেষ বিশেষ জেলা প্রশাসনকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে বলেছেন মুখ্যসচিব।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রাজ্যের পরিস্থিতি ও আসন্ন ঈদ নিয়ে এক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। তিনি বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেন, কুরবানির ঈদের আগে কিছু জেলায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা হতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে পুলিশকে। সোমবার নবান্ন থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সব জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই নানান নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
রাজ্যের সর্বত্র শান্তিতে যাতে ঈদ-উল-আযহা পালিত হয় মুখ্যমন্ত্রী সেজন্য পুলিশ প্রশাসনকে নিয়মিত নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার পর্বে যাতে নতুন করে হিংসা না ছড়ায় সেদিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মুখ্যসচিব বৈঠকে বলেন, বকরি ঈদের আগে কিছু জেলায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা হতে পারে। যার মাধ্যমে ধর্মীয় বিভাজন করে ভোট পাওয়ার চেষ্টা করতে পারে কিছু লোক। এই চেষ্টা বন্ধ করতে হবে। অনেক সময় অনেক ছোট খাটো ঘটনাও বড় আকার ধারণ করে। তাই কোথাও কোনও রকম গোলমালের খবর পেলেই পুলিশকে সক্রিয়তার সঙ্গে তা দমন করতে হবে বলে নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। প্রত্যেক জেলার উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে সেখানে বিশেষ নজরদারিরও নির্দেশ দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হিংসার স্মৃতি এখনো টাটকা রয়েছে। একাধিক জায়গায় রামভক্তদের মিছিল বের করে হামলা ও বাড়ি ঘর ভাঙচুরের ঘটনা সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছিল প্রশাসনকে। ভোটের আবহে তাই ঈদকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার পূনরাবৃত্তি না হয় তা নিশ্চিত করতেই এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে।