২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বস্ত্রমেলার সাফল্যে লাভের মুখ দেখছেন পোশাক ব্যবসায়ীরা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৩, রবিবার
  • / 33

আবদুল ওদুদ:  বাঙালিদের সবথেকে জনপ্রিয় উৎসব দুর্গাপুজো শুরু হতে কাগজে-কলমে এখনও আড়াই মাসেরও কিছু সময় বাকি রয়েছে। কিন্তু তাতে কি হবে। আকাশে-বাতাসে কিন্তু পুজো পুজো ভাব এসেই গেছে। তা অনেকটাই বোঝা গেল কলকাতার সায়েন্সসিটির কাছে অবস্থিত মিলন মেলা প্রাঙ্গণে। তিনদিন ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বস্ত্র ব্যবসায়ীদের ‘কলকাতা মেটিয়াবুরুজ গারমেন্টস ফেয়ার ২০২৩’ মেলা। দেশ-বিদেশ থেকে বহু খরিদ্বার এসেছেন এখানে।

আর এশিয়া মহাদেশের অন্যতম রেডিমেড পোশাক  শিল্পের কেন্দ্র মেটিয়াবুরুজের ব্যবসায়ীরা আয়োজন করেছে এই গারমেন্টস মেলার। প্রায় ১৪০টি নামকরা বস্ত্র প্রতিষ্ঠান এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। তিনদিন ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবারই শেষ হয়েছে এই মেলা। তবে মেলাকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহ রয়েছে। লকডাউন এবং করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে তা বোঝাই গেল এবারের পোষাক ব্যবসায়ীদের মেলায়।

আরও পড়ুন: ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায়  নজরকাড়া সাফল্য কাশ্মীরি ইমাম কন্যাদের     

তিনদিন ধরে প্রতিনিয়ত কাস্টমারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ব্যবসা করছে জিকে স্যামি নামে এক পোষাক কোম্পানী। তার কর্ণধার জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, মার্কেটিং অত্যান্ত ভালো হয়েছে। গোটা দেশ থেকে খরিদ্বার এসেছেন। তাদের ব্যবসা দুবাই, ওমান, কাতারও রয়েছে। পুজোকে সামনে রেখে খরিদ্বাররা এসেছেন এবং বিপুল সাড়া মিলেছে। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে এ বছর তারা পোষাক শিল্পে লাভের আশা করছেন। কেন-না গত কয়েক বছর ধরে তারা যে ব্যবসা করে আসছেন তাতে এ বছর যথেষ্ট সাড়া মিলেছে। পুজোতে বাকি রয়েছে এখনও আড়াই মাস। কিন্তু এ বছর যে হারে অর্ডার পাওয়া গেছে তাতে আশা করা হচ্ছে, প্রত্যেক পোষাক ব্যবসায়ীরা এ বছর কিছু ব্যবসা করতে পারবেন। ভালো ব্যবসার মূল কাঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যবসা করতে পারলে অবশ্যই লাভ হবে। যদি কেউ যুগের সঙ্গে কেউ তাল না মেলাতে পারে তাহলে ব্যবসাই লাভের মুখ দেখতে পারনেন না। তিনি বলেন, নিত্যনতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পোষাক শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই ব্যবসা বাড়বে।

আরও পড়ুন: ইউপিএসসিতে মুসলিমদের সাফল্যের হার নিম্নগামী, বলছে পরিসংখ্যান

লালি ড্রেসেস-এর কর্ণধার সেখ গিয়াসউদ্দিন বলেন, এ বছর খুব ভালো লাগছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে উৎসাহ বেড়েছে। এবছর বাংলাদেশ থেকেও অনেকে এসেছেন। যেভাবে অর্ডার মিলছে তাতে আশা করা হচ্ছে ব্যবসা বাড়বে এ বছর। কলকাতার এই গারমেন্টস মেলায় বিভিন্ন রাজ্য থেকে নিত্যনতুন খরিদ্বার আসছেন। ফলে ব্যবসার জন্য নতুন দরজা খুলবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:    ভারত জোড়ো যাত্রাই ছিল কর্নাটক সাফল্যের মাস্টার স্ট্রোক, দাবি কংগ্রেসের    

সাবির আলি বাগানি বলেন, এ বছর ব্যবস্থাপনা খুব ভালো হয়েছে। মানুষ যে ধরনের পোষাক চাইছেন, সবই পেয়ে যাচ্ছেন। কাস্টমাররাও অত্যন্ত খুশি।

আরএস ম্যাজিক মাই ক্রিয়েশনের মণিরুল ইসলাম খান বলেন, খুব ভালো উদ্যোগ। মেটিয়াবুরুজের ব্যবসা আন্তর্জাতিক স্তরে এবং রাজ্যস্তরে ছড়িয়ে দিতে এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এসটি আলি কোম্পানীর নুর নবী ও নুর আমিন , ইভেন্টে ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা মুহাম্মদ সেলিম বলেন, এ বছর ব্যবসা অত্যন্ত সফল। বেনজার ক্রিয়েশনের টনি বলেন, এই উদ্যোগের ফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে পশ্চিমবঙ্গের রেডিমেড পোষাক শিল্পকে তুলে ধরতে পারব সকলে। ১৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুহাম্মদ তারিক বলেন,এই মেলা করে আমরা ১০০ শতাংশ সফল। যে উদ্দেশ্যে এই মেলার আযোজন করা হয়েছিল তা লক্ষ্যমাত্রায় পৌছাতে পেরেছে।

 



                            

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বস্ত্রমেলার সাফল্যে লাভের মুখ দেখছেন পোশাক ব্যবসায়ীরা

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৩, রবিবার

আবদুল ওদুদ:  বাঙালিদের সবথেকে জনপ্রিয় উৎসব দুর্গাপুজো শুরু হতে কাগজে-কলমে এখনও আড়াই মাসেরও কিছু সময় বাকি রয়েছে। কিন্তু তাতে কি হবে। আকাশে-বাতাসে কিন্তু পুজো পুজো ভাব এসেই গেছে। তা অনেকটাই বোঝা গেল কলকাতার সায়েন্সসিটির কাছে অবস্থিত মিলন মেলা প্রাঙ্গণে। তিনদিন ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বস্ত্র ব্যবসায়ীদের ‘কলকাতা মেটিয়াবুরুজ গারমেন্টস ফেয়ার ২০২৩’ মেলা। দেশ-বিদেশ থেকে বহু খরিদ্বার এসেছেন এখানে।

আর এশিয়া মহাদেশের অন্যতম রেডিমেড পোশাক  শিল্পের কেন্দ্র মেটিয়াবুরুজের ব্যবসায়ীরা আয়োজন করেছে এই গারমেন্টস মেলার। প্রায় ১৪০টি নামকরা বস্ত্র প্রতিষ্ঠান এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। তিনদিন ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবারই শেষ হয়েছে এই মেলা। তবে মেলাকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহ রয়েছে। লকডাউন এবং করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে তা বোঝাই গেল এবারের পোষাক ব্যবসায়ীদের মেলায়।

আরও পড়ুন: ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায়  নজরকাড়া সাফল্য কাশ্মীরি ইমাম কন্যাদের     

তিনদিন ধরে প্রতিনিয়ত কাস্টমারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ব্যবসা করছে জিকে স্যামি নামে এক পোষাক কোম্পানী। তার কর্ণধার জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, মার্কেটিং অত্যান্ত ভালো হয়েছে। গোটা দেশ থেকে খরিদ্বার এসেছেন। তাদের ব্যবসা দুবাই, ওমান, কাতারও রয়েছে। পুজোকে সামনে রেখে খরিদ্বাররা এসেছেন এবং বিপুল সাড়া মিলেছে। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে এ বছর তারা পোষাক শিল্পে লাভের আশা করছেন। কেন-না গত কয়েক বছর ধরে তারা যে ব্যবসা করে আসছেন তাতে এ বছর যথেষ্ট সাড়া মিলেছে। পুজোতে বাকি রয়েছে এখনও আড়াই মাস। কিন্তু এ বছর যে হারে অর্ডার পাওয়া গেছে তাতে আশা করা হচ্ছে, প্রত্যেক পোষাক ব্যবসায়ীরা এ বছর কিছু ব্যবসা করতে পারবেন। ভালো ব্যবসার মূল কাঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যবসা করতে পারলে অবশ্যই লাভ হবে। যদি কেউ যুগের সঙ্গে কেউ তাল না মেলাতে পারে তাহলে ব্যবসাই লাভের মুখ দেখতে পারনেন না। তিনি বলেন, নিত্যনতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পোষাক শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই ব্যবসা বাড়বে।

আরও পড়ুন: ইউপিএসসিতে মুসলিমদের সাফল্যের হার নিম্নগামী, বলছে পরিসংখ্যান

লালি ড্রেসেস-এর কর্ণধার সেখ গিয়াসউদ্দিন বলেন, এ বছর খুব ভালো লাগছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে উৎসাহ বেড়েছে। এবছর বাংলাদেশ থেকেও অনেকে এসেছেন। যেভাবে অর্ডার মিলছে তাতে আশা করা হচ্ছে ব্যবসা বাড়বে এ বছর। কলকাতার এই গারমেন্টস মেলায় বিভিন্ন রাজ্য থেকে নিত্যনতুন খরিদ্বার আসছেন। ফলে ব্যবসার জন্য নতুন দরজা খুলবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:    ভারত জোড়ো যাত্রাই ছিল কর্নাটক সাফল্যের মাস্টার স্ট্রোক, দাবি কংগ্রেসের    

সাবির আলি বাগানি বলেন, এ বছর ব্যবস্থাপনা খুব ভালো হয়েছে। মানুষ যে ধরনের পোষাক চাইছেন, সবই পেয়ে যাচ্ছেন। কাস্টমাররাও অত্যন্ত খুশি।

আরএস ম্যাজিক মাই ক্রিয়েশনের মণিরুল ইসলাম খান বলেন, খুব ভালো উদ্যোগ। মেটিয়াবুরুজের ব্যবসা আন্তর্জাতিক স্তরে এবং রাজ্যস্তরে ছড়িয়ে দিতে এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এসটি আলি কোম্পানীর নুর নবী ও নুর আমিন , ইভেন্টে ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা মুহাম্মদ সেলিম বলেন, এ বছর ব্যবসা অত্যন্ত সফল। বেনজার ক্রিয়েশনের টনি বলেন, এই উদ্যোগের ফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে পশ্চিমবঙ্গের রেডিমেড পোষাক শিল্পকে তুলে ধরতে পারব সকলে। ১৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুহাম্মদ তারিক বলেন,এই মেলা করে আমরা ১০০ শতাংশ সফল। যে উদ্দেশ্যে এই মেলার আযোজন করা হয়েছিল তা লক্ষ্যমাত্রায় পৌছাতে পেরেছে।