২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অটোচালক থেকে বড় ফুচকা ব্যবসায়ী, মাসিক আয় ৫ লক্ষ টাকা

সুস্মিতা
  • আপডেট : ১২ অগাস্ট ২০২৩, শনিবার
  • / 41

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ফুচকা বিক্রি করেও লাখপতি হওয়া যায়, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন কর্নাটকের মনোজ। বাস চালক থেকে অটো, এখন পেশা বদলে হয়েছেন বড় ফুচকা ব্যবসায়ী। কর্নাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার পুত্তুর তালুকের দারন্দাকুক্কু মানের মনোজ ফুচকা বিক্রি করে মাসিক ৫ লক্ষ টাকা আয় করছেন।

বছর দুয়েক আগেও মনোজ মেঙ্গালুরুতে সিটি বাসের চালক হিসেবে কাজ করতেন। পাঁচ বছর পর গ্রামে ফিরে অটোরিকশার স্ট্রিয়ারিংইয়ে পা রাখেন। তাঁর অটো ভাড়া করে ফুচকা খেতে যেতেন যাত্রীরা। ফুটপাতের ফুচকা বিক্রি ও চাহিদা দেখে হকচকিয়ে যেতেন। শীত ও গ্রীষ্ম সারা বছরই রাস্তায় ভিড় করে মানুষ। এরপরই সিদ্ধান্ত নিলেন ফুচকাই বিক্রি করবেন। তারপরই বড় বদল ঘটে গেল তাঁর জীবনে। মনোজ বলেন, ‘বাড়িতে ফুচকা তৈরি করে ফুচকা বিক্রেতাদের কাছে তা সরবরাহ করতে শুরু করি। সঙ্গে চলতে থাকে তাঁর অটোরিকশাও। প্রতিদিন ৪-৫ কেজি হাতেগড়া ফুচকা তৈরি করে কিছু উপরি রোজগারের বন্দোবস্ত হয়।’ ফুচকার চাহিদা এতই বাড়তে থাকে শেষ পর্যন্ত মনোজ এই কাজটিকেই বেছে নেন।

আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হিংসার পর কড়া পুলিশ, মেরুকরণের তাশ বিজেপির

হাতে তৈরি করে ফুচকার চাহিদা মেটাতে পারছিলেন না। ২.৯ লক্ষ টাকা দিয়ে ফুচকা তৈরির একটি মেশিন কেনেন। এই মেশিনটি এক ঘণ্টায় ৮ হাজার ফুচকা তৈরি করতে পারে। মনোজ নিজের বাড়ির উঠোনেই এখন খুলেছেন ফুচকা তৈরির ইউনিট। প্রতিদিন কম করে ৪০ কেজি ফুচকা তৈরি করেন তাঁরা। এখন মনোজ অতিরিক্ত সাত জন মানুষের কর্মসংস্থানের বন্দোবস্তও করেছেন। কারণ নিজের এলাকা ছেড়ে এখন তাঁর ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে সুলিয়া, কাদাবা এবং সুব্রামন্যর মতো প্রতিবেশী এলাকাতে। কমপক্ষে মাসিক ৫ লক্ষ টাকা আয় করছে মনোজের পরিবার। মনোজ জানান, ‘আগে আমার মা, স্ত্রী সারাদিন কাজ করে ৪-৫ কেজি ফুচকা বানাতে পারতেন। লাভও সামান্য হত। এই নতুন ইউনিট আমাদের জীবন সহজ করে দিয়েছে। অটোরিকশা আর চালাই না।’

আরও পড়ুন: ঘৃণা ভাষণ রুখতে আইনের ভাবনা সিদ্দারামাইয়ার

আরও পড়ুন: জলমগ্ন মুম্বই-বিপর্যস্ত জনজীবন, রেড অ্যালার্ট জারি কর্ণাটকে

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অটোচালক থেকে বড় ফুচকা ব্যবসায়ী, মাসিক আয় ৫ লক্ষ টাকা

আপডেট : ১২ অগাস্ট ২০২৩, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ফুচকা বিক্রি করেও লাখপতি হওয়া যায়, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন কর্নাটকের মনোজ। বাস চালক থেকে অটো, এখন পেশা বদলে হয়েছেন বড় ফুচকা ব্যবসায়ী। কর্নাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার পুত্তুর তালুকের দারন্দাকুক্কু মানের মনোজ ফুচকা বিক্রি করে মাসিক ৫ লক্ষ টাকা আয় করছেন।

বছর দুয়েক আগেও মনোজ মেঙ্গালুরুতে সিটি বাসের চালক হিসেবে কাজ করতেন। পাঁচ বছর পর গ্রামে ফিরে অটোরিকশার স্ট্রিয়ারিংইয়ে পা রাখেন। তাঁর অটো ভাড়া করে ফুচকা খেতে যেতেন যাত্রীরা। ফুটপাতের ফুচকা বিক্রি ও চাহিদা দেখে হকচকিয়ে যেতেন। শীত ও গ্রীষ্ম সারা বছরই রাস্তায় ভিড় করে মানুষ। এরপরই সিদ্ধান্ত নিলেন ফুচকাই বিক্রি করবেন। তারপরই বড় বদল ঘটে গেল তাঁর জীবনে। মনোজ বলেন, ‘বাড়িতে ফুচকা তৈরি করে ফুচকা বিক্রেতাদের কাছে তা সরবরাহ করতে শুরু করি। সঙ্গে চলতে থাকে তাঁর অটোরিকশাও। প্রতিদিন ৪-৫ কেজি হাতেগড়া ফুচকা তৈরি করে কিছু উপরি রোজগারের বন্দোবস্ত হয়।’ ফুচকার চাহিদা এতই বাড়তে থাকে শেষ পর্যন্ত মনোজ এই কাজটিকেই বেছে নেন।

আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হিংসার পর কড়া পুলিশ, মেরুকরণের তাশ বিজেপির

হাতে তৈরি করে ফুচকার চাহিদা মেটাতে পারছিলেন না। ২.৯ লক্ষ টাকা দিয়ে ফুচকা তৈরির একটি মেশিন কেনেন। এই মেশিনটি এক ঘণ্টায় ৮ হাজার ফুচকা তৈরি করতে পারে। মনোজ নিজের বাড়ির উঠোনেই এখন খুলেছেন ফুচকা তৈরির ইউনিট। প্রতিদিন কম করে ৪০ কেজি ফুচকা তৈরি করেন তাঁরা। এখন মনোজ অতিরিক্ত সাত জন মানুষের কর্মসংস্থানের বন্দোবস্তও করেছেন। কারণ নিজের এলাকা ছেড়ে এখন তাঁর ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে সুলিয়া, কাদাবা এবং সুব্রামন্যর মতো প্রতিবেশী এলাকাতে। কমপক্ষে মাসিক ৫ লক্ষ টাকা আয় করছে মনোজের পরিবার। মনোজ জানান, ‘আগে আমার মা, স্ত্রী সারাদিন কাজ করে ৪-৫ কেজি ফুচকা বানাতে পারতেন। লাভও সামান্য হত। এই নতুন ইউনিট আমাদের জীবন সহজ করে দিয়েছে। অটোরিকশা আর চালাই না।’

আরও পড়ুন: ঘৃণা ভাষণ রুখতে আইনের ভাবনা সিদ্দারামাইয়ার

আরও পড়ুন: জলমগ্ন মুম্বই-বিপর্যস্ত জনজীবন, রেড অ্যালার্ট জারি কর্ণাটকে