পাবজি খেলতে খেলতে উন্মাদ ১৫ বছরের কিশোর, ভর্তি মানসিক হাসপাতালের
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বর্তমান সময়ে অ্যানড্রয়েড ফোনের ছয়লাপ। বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলের হাতেই ফোন। আর তার দৌলতে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে কত ঘটনাই প্রকাশ্যে এসেছে। কখনও গেমের প্রলোভনের টাকা পয়সা চুরির ঘটনা সামনে এসেছে তো কখনও রেষারেষিতে বন্ধুকে মারধর, খুন। এমনকী বাবা-মাকে খুনের খবরও শোনা গিয়েছে। খুনোখুনি বা চুরি নয় এবার শোনা গেল ভিন্ন রকম ঘটনা। পাবজি খেলতে খেলতে ‘পাগল’ হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
জানা গেছে, রাজস্থানের আলওয়ারে ১৫ বছরের একটি কিশোর দিনে ১৫ ঘণ্টা করে পাবজি খেলত। এই গেমটিতে একেবারে আসক্ত হয়ে পরেছিল সে। হাজার মানা সত্ত্বেও কথা শোনেনি কারোর। খেলার এই বদভ্যাস তাঁর মস্তিষ্কে এমনভাবেই প্রভাব ফেলেছিল যে ঘুমের মধ্যেও খেলার বিভিন্ন শব্দ চিৎকার করে উঠত সে। বন্ধ করে দিয়েছিল খাওয়া-দাওয়া। পরিস্থিতি খুব খারাপ হওয়াই তাঁকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আপাতত চিকিৎসাধীন রয়েছে সে।
প্রসঙ্গক্রমে এক মনরোগ চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘প’ দিয়ে ‘পাবজি’ ‘প’ দিয়ে ‘পাগল’ । এই গেম খেলার নেশা এতটাই ভয়াবহ যে, সময়ে লাগাম টানতে না পারলে মানুষের মস্তিষ্কে ভয়াবহ প্রভাব ফেলে। আর যার প্রভাবে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এই বাচ্চার বাবা-মা সময় মতো চিকিৎসালয়ে না এলে বাচ্চাটির ভবিষ্যৎ প্রায় অন্ধকার হয়ে যেত।
তিনি আরও বলেন, একজন বাচ্চাকে সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে গড়ে তুলতে একজন বাবা-মার ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাবা-মার অনুপস্থিতি একজন বাবার মনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। ফলত তাঁরা ফোন বা নানা রকম খারাপ জিনিসের প্রতি আসক্ত হয়ে যায়। সপ্তম শ্রেণির ছাত্র কিশোরটি গত ছ’ মাস ধরে প্রতিদিন ১৫ ঘণ্টা করে পাবজি, ফ্রি ফায়ার খেলত। এই বদভ্যাস প্রভাব ফেলেছে তাঁর মস্তিষ্কে। রাতবিরেতে ঘুমের মধ্যে খেলার বিভিন্ন শব্দ চিৎকার করে উঠছে সে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছে যে তাঁকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। চলছে চিকিৎসা এবং কাউন্সেলিং । কিশোরের বাবা রিকশা চালান এবং মা বাড়ি বাড়ি কাজ করেন।