২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শুভেন্দুর অপসারণ চাইছেন বিজেপিরই একাংশ, চিঠি দেওয়া হচ্ছে অমিত শাহকে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 58

পুবের কলম প্রতিবেদক:  বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের শোচনীয় ফলাফলের নৈতিক দায় নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরে দাঁড়ান নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এবার এমনই দাবি উঠে গেল বিজেপিরই অন্দরে। যারা এই দাবি তুলেছেন তাঁরা দলের আদি কর্মী এবং সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ। তাঁদের দাবি, শুভেন্দুর জন্যই দলে ব্রাত্য হয়ে থেকেছেন দলের আদি কর্মী থেকে নেতারা।

বাংলায় বিজেপির ৬০-র ওপর বিধায়ক, ১৭জন সাংসদ, ৪জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকার পরেও দল ১টিও জেলা পরিষদ দখল করতে পারেনি। ৯টি জেলা পরিষদে বিজেপি খাতাই খুলতে পারেনি। মাত্র ৬টি পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে পেরেছে দল। এই খারাপ ফল হয়েছে শুভেন্দুর বিভেদকামী নীতির জন্য। পদে পদে সংখ্যালঘুদের অপমান, সব সময় দলকে খাটো করে নিজেকে তুলে ধরা এবং থেকে থেকে শুধু মমতা-অভিষেককে ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ। দল,  দলের আদর্শ, দলের নীতি কোনও কিছুই শোনা যায় না তাঁর মুখে। তাই দলের এহেন খারাপ ফলের জন্য তাঁকে বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরানোর দাবি তুলে বঙ্গ বিজেপির আদি নেতারা অমিত শাহকে চিঠি পাঠাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: আসন বদল নিয়ে ঝামেলা, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের এক যাত্রীকে মারধরের অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে

যদিও শুভেন্দুর অনুগামীরা এই তথ্য মানতে নারাজ। তাঁদের পাল্টা দাবি, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে দল। বিজেপি ৯ হাজার ৭২২টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে জয়ী হয়েছে। সংখ্যাটি ২০১৮ সালে ছিল প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। কিন্তু আদিদের পাল্টা যুক্তি, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যায়ে মোট আসন সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার। সেটা এবার ১৫ হাজার বেড়ে ৬৩ হাজার হয়েছে। ২০১৮ সালে প্রায় ৩৪ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় শাসক দল। এবার সেটা কমে হয়েছে ১২ শতাংশ। অর্থাৎ অনেক বেশি আসনে লড়াই হয়েছে। একই সঙ্গে মনোনয়নপত্র পেশের সংখ্যাও এবার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তারপরেও এই ফল। সেই সময় দলের কাছে ছিলেন মাত্র ৩জন বিধায়ক আর ২জন সাংসদ। তারপরেও সাড়ে ৫ হাজার আসনে জয়ী হয়েছিল দল। এবার ১৭জন সাংসদ আর ৬০-র ওপর বিধায়ক থেকেও কিনা জেতা আসনের সংখ্যা ডবল হতে ব্যর্থ।

আরও পড়ুন: ছত্তিশগড় দু’দিনের সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মাওবাদী নিধনে নয়া কৌশল নিতে বৈঠক শাহর

 

আরও পড়ুন: কর্নাটকে আবাসনে মুসলিম কোটা ১৫ শতাংশ, বিজেপি বেজায় ক্ষুব্ধ


 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শুভেন্দুর অপসারণ চাইছেন বিজেপিরই একাংশ, চিঠি দেওয়া হচ্ছে অমিত শাহকে

আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক:  বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের শোচনীয় ফলাফলের নৈতিক দায় নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরে দাঁড়ান নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এবার এমনই দাবি উঠে গেল বিজেপিরই অন্দরে। যারা এই দাবি তুলেছেন তাঁরা দলের আদি কর্মী এবং সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ। তাঁদের দাবি, শুভেন্দুর জন্যই দলে ব্রাত্য হয়ে থেকেছেন দলের আদি কর্মী থেকে নেতারা।

বাংলায় বিজেপির ৬০-র ওপর বিধায়ক, ১৭জন সাংসদ, ৪জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকার পরেও দল ১টিও জেলা পরিষদ দখল করতে পারেনি। ৯টি জেলা পরিষদে বিজেপি খাতাই খুলতে পারেনি। মাত্র ৬টি পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে পেরেছে দল। এই খারাপ ফল হয়েছে শুভেন্দুর বিভেদকামী নীতির জন্য। পদে পদে সংখ্যালঘুদের অপমান, সব সময় দলকে খাটো করে নিজেকে তুলে ধরা এবং থেকে থেকে শুধু মমতা-অভিষেককে ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ। দল,  দলের আদর্শ, দলের নীতি কোনও কিছুই শোনা যায় না তাঁর মুখে। তাই দলের এহেন খারাপ ফলের জন্য তাঁকে বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরানোর দাবি তুলে বঙ্গ বিজেপির আদি নেতারা অমিত শাহকে চিঠি পাঠাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: আসন বদল নিয়ে ঝামেলা, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের এক যাত্রীকে মারধরের অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে

যদিও শুভেন্দুর অনুগামীরা এই তথ্য মানতে নারাজ। তাঁদের পাল্টা দাবি, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে দল। বিজেপি ৯ হাজার ৭২২টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে জয়ী হয়েছে। সংখ্যাটি ২০১৮ সালে ছিল প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। কিন্তু আদিদের পাল্টা যুক্তি, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যায়ে মোট আসন সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার। সেটা এবার ১৫ হাজার বেড়ে ৬৩ হাজার হয়েছে। ২০১৮ সালে প্রায় ৩৪ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় শাসক দল। এবার সেটা কমে হয়েছে ১২ শতাংশ। অর্থাৎ অনেক বেশি আসনে লড়াই হয়েছে। একই সঙ্গে মনোনয়নপত্র পেশের সংখ্যাও এবার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তারপরেও এই ফল। সেই সময় দলের কাছে ছিলেন মাত্র ৩জন বিধায়ক আর ২জন সাংসদ। তারপরেও সাড়ে ৫ হাজার আসনে জয়ী হয়েছিল দল। এবার ১৭জন সাংসদ আর ৬০-র ওপর বিধায়ক থেকেও কিনা জেতা আসনের সংখ্যা ডবল হতে ব্যর্থ।

আরও পড়ুন: ছত্তিশগড় দু’দিনের সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মাওবাদী নিধনে নয়া কৌশল নিতে বৈঠক শাহর

 

আরও পড়ুন: কর্নাটকে আবাসনে মুসলিম কোটা ১৫ শতাংশ, বিজেপি বেজায় ক্ষুব্ধ