০২ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আদানি-হিন্ডেনবার্গ বিতর্ক: বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 110

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের এক প্রাক্তন বিচারপতি এ এস সাপরের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। এই কমিটি শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যপদ্ধতি এবং পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে সংশোধনের উপায় জানাবে।

আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাদের সংস্থার শেয়ার মূল্য কারচুপি করে বাড়িয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগের আলোকে এই পদক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট এ দিন যে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে তার অন্যান্য সদস্য হলেন ও পি ভাট, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জে পি দেবধর, কে ভি কামাথ, নন্দন নিলাকেনি এবং  সোমাশেখরন সুন্দরেসান।

প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পি এস নরসিমহা এবং  বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালার বেঞ্চ এ দিন বলেছে, ভারতীয় লগ্নিকারীদের শেয়ার বাজারের অযথা অস্থিরতা থেকে বাঁচাতে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কীভাবে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সেবিকে আরও শক্তিশালী করা যায় তাই নিয়ে প্রস্তাব দেবে কমিটি। কমিটিকে দু’মাসের মধ্যে বন্ধ খামে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বন্ধ খামে সরকার নিজেদের কমিটি গঠনের প্রস্তাব পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু আদালত সেটি খারিজ করে দিয়ে বলে সরকার কমিটি গঠন করলে সাধারণ বিনিয়োগকারী আস্বস্ত হবেন না, কারণ তাতে স্বচ্ছতাও বজায় থাকবে না। তাই কমিটি গঠন করবে সুপ্রিম কোর্ট।

হিন্ডেনবার্গ সংস্থার রিপোর্ট সামনে আসার পর আদানিদের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দাম যেভাবে এক মাস ধরে পড়তে শুরু করেছে তাতে সাধারণভাবে প্রভাবিত হয়েছে অন্য সংস্থার শেয়ারও। এই অস্থিরতায় বহু সাধারণ লগ্নিকারীর ভরাডুবি হয়েছে শেয়ার বাজারে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

সেবির চেয়ারপার্সন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত সংস্থা যাদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে আর্থিক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থার তাদের সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক গঠিত কমিটিকে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। তাদের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, তাদের কাজ সম্পন্ন করতে যদি কমিটির বাইরে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ বা সাহায্যের প্রয়োজন হয়, সেটা কমিটি গ্রহণ করতে পারে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আদানি-হিন্ডেনবার্গ বিতর্ক: বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট

আপডেট : ২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের এক প্রাক্তন বিচারপতি এ এস সাপরের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। এই কমিটি শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যপদ্ধতি এবং পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে সংশোধনের উপায় জানাবে।

আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাদের সংস্থার শেয়ার মূল্য কারচুপি করে বাড়িয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগের আলোকে এই পদক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট এ দিন যে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে তার অন্যান্য সদস্য হলেন ও পি ভাট, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জে পি দেবধর, কে ভি কামাথ, নন্দন নিলাকেনি এবং  সোমাশেখরন সুন্দরেসান।

প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পি এস নরসিমহা এবং  বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালার বেঞ্চ এ দিন বলেছে, ভারতীয় লগ্নিকারীদের শেয়ার বাজারের অযথা অস্থিরতা থেকে বাঁচাতে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কীভাবে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সেবিকে আরও শক্তিশালী করা যায় তাই নিয়ে প্রস্তাব দেবে কমিটি। কমিটিকে দু’মাসের মধ্যে বন্ধ খামে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বন্ধ খামে সরকার নিজেদের কমিটি গঠনের প্রস্তাব পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু আদালত সেটি খারিজ করে দিয়ে বলে সরকার কমিটি গঠন করলে সাধারণ বিনিয়োগকারী আস্বস্ত হবেন না, কারণ তাতে স্বচ্ছতাও বজায় থাকবে না। তাই কমিটি গঠন করবে সুপ্রিম কোর্ট।

হিন্ডেনবার্গ সংস্থার রিপোর্ট সামনে আসার পর আদানিদের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দাম যেভাবে এক মাস ধরে পড়তে শুরু করেছে তাতে সাধারণভাবে প্রভাবিত হয়েছে অন্য সংস্থার শেয়ারও। এই অস্থিরতায় বহু সাধারণ লগ্নিকারীর ভরাডুবি হয়েছে শেয়ার বাজারে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

সেবির চেয়ারপার্সন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত সংস্থা যাদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে আর্থিক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থার তাদের সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক গঠিত কমিটিকে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। তাদের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, তাদের কাজ সম্পন্ন করতে যদি কমিটির বাইরে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ বা সাহায্যের প্রয়োজন হয়, সেটা কমিটি গ্রহণ করতে পারে।