২৪ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় বৈঠকে দাবি বনমন্ত্রীর রাজ্যে হাতি মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পেয়েছে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ জানুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 188

পুবের কলম প্রতিবেদক: হাতি এবং মানুষের সংঘাত নতুন কিছু নয়। আস্তানা ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে হাতির তাণ্ডব প্রায়শই প্রকাশ্যে আসে। সেই ক্রোধের মুখে মানুষের মর্মান্তিক ভাবে প্রাণহানী ঘটে। নষ্ট হয় মাঠের ফসল ও ঘরবাড়ি। আবার উল্টোদিকে বেপরোয়া ভাবে মানুষের গণপ্রহারে হাতি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে। রেল লাইনে কাটা পড়ে বা বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়েও ঘটে চলেছে হস্তি মৃত্যু। হাতি ও মানুষের সংঘর্ষের ফলে উভয়কেই সমস্যার সস্মুখীন হতে হয়।

যদিও এ বছরের রাজ্য ও কেন্দ্র দুই সরকারের পরিসংখ্যান কিছুটা স্বস্তি জোগাচ্ছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নিউ টাউনের এক পাঁচতারা হোটেলে পশ্চিমবঙ্গ সহ ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের অর্থাৎ ওড়িশা, ঝড়খন্ড, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও বিহার এই সাতটি রাজ্যের প্রতিনিধি নিয়ে একটি ‘সমন্বয়’ বৈঠক হয়। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর, বিভিন্ন উপায় অবলম্বনে এ রাজ্যে হাতির মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পেয়েছে’।

আরও পড়ুন: সব বেসরকারি কর্মীর জন্য একক সামাজিক সুরক্ষা নম্বর আনছে কেন্দ্র

 

আরও পড়ুন: আদানি-এলআইসি ইস্যুতে বিরোধীদের তোপে কেন্দ্র

এ নিয়ে মন্ত্রীর পরিসংখ্যান ২০১৯­-২০ বর্ষে হস্তি মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৩৪ টি। ২০২০-২১সালে ১১৭। ২০২১-২২ সালে হস্তি মৃত্যু ৭৭। ফেলে আসা বছরে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭ টি। সমন্বয় বৈঠকে আগত কেন্দ্র প্রতিনিধিদের বার্ষিক পরিসংখ্যান বলছে, গোটা দেশে ৫০০ টি হাতির মৃত্যুর সঙ্গে ১০০ জনের মতো মানুষেরও মৃত্যু হয়। তবে আগামীতে রাজ্যে হস্তি মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনতে বৈঠকে কেন্দ্রীয়প্রতিনিধি দলের সামনে গুচ্ছ পরিকল্পনার কথা শোনালেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জানালেন, হাতির তাণ্ডব রুখতে উত্তরবঙ্গ জেলা জুড়ে ৭ টি জায়গায় অত্যাধুনিক করিডর গড়ে তোলা হচ্ছে। জঙ্গল পাশ্ববর্তী গ্রামবাসীদের নজরদারির জন্য গড়ে উঠেছে বিশেষ বাহিনী ‘গজমিত্র’। টহলদারিতে আনা হচ্ছে ৩৯৩ টি মোটরবাইক।

আরও পড়ুন: এআই-এর অপব্যবহার ঠেকাতে কড়া কেন্দ্র, আইন বদল করতে চলেছে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় বৈঠকে দাবি বনমন্ত্রীর রাজ্যে হাতি মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পেয়েছে

আপডেট : ১৯ জানুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: হাতি এবং মানুষের সংঘাত নতুন কিছু নয়। আস্তানা ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে হাতির তাণ্ডব প্রায়শই প্রকাশ্যে আসে। সেই ক্রোধের মুখে মানুষের মর্মান্তিক ভাবে প্রাণহানী ঘটে। নষ্ট হয় মাঠের ফসল ও ঘরবাড়ি। আবার উল্টোদিকে বেপরোয়া ভাবে মানুষের গণপ্রহারে হাতি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে। রেল লাইনে কাটা পড়ে বা বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়েও ঘটে চলেছে হস্তি মৃত্যু। হাতি ও মানুষের সংঘর্ষের ফলে উভয়কেই সমস্যার সস্মুখীন হতে হয়।

যদিও এ বছরের রাজ্য ও কেন্দ্র দুই সরকারের পরিসংখ্যান কিছুটা স্বস্তি জোগাচ্ছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নিউ টাউনের এক পাঁচতারা হোটেলে পশ্চিমবঙ্গ সহ ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের অর্থাৎ ওড়িশা, ঝড়খন্ড, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও বিহার এই সাতটি রাজ্যের প্রতিনিধি নিয়ে একটি ‘সমন্বয়’ বৈঠক হয়। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর, বিভিন্ন উপায় অবলম্বনে এ রাজ্যে হাতির মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পেয়েছে’।

আরও পড়ুন: সব বেসরকারি কর্মীর জন্য একক সামাজিক সুরক্ষা নম্বর আনছে কেন্দ্র

 

আরও পড়ুন: আদানি-এলআইসি ইস্যুতে বিরোধীদের তোপে কেন্দ্র

এ নিয়ে মন্ত্রীর পরিসংখ্যান ২০১৯­-২০ বর্ষে হস্তি মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৩৪ টি। ২০২০-২১সালে ১১৭। ২০২১-২২ সালে হস্তি মৃত্যু ৭৭। ফেলে আসা বছরে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭ টি। সমন্বয় বৈঠকে আগত কেন্দ্র প্রতিনিধিদের বার্ষিক পরিসংখ্যান বলছে, গোটা দেশে ৫০০ টি হাতির মৃত্যুর সঙ্গে ১০০ জনের মতো মানুষেরও মৃত্যু হয়। তবে আগামীতে রাজ্যে হস্তি মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনতে বৈঠকে কেন্দ্রীয়প্রতিনিধি দলের সামনে গুচ্ছ পরিকল্পনার কথা শোনালেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জানালেন, হাতির তাণ্ডব রুখতে উত্তরবঙ্গ জেলা জুড়ে ৭ টি জায়গায় অত্যাধুনিক করিডর গড়ে তোলা হচ্ছে। জঙ্গল পাশ্ববর্তী গ্রামবাসীদের নজরদারির জন্য গড়ে উঠেছে বিশেষ বাহিনী ‘গজমিত্র’। টহলদারিতে আনা হচ্ছে ৩৯৩ টি মোটরবাইক।

আরও পড়ুন: এআই-এর অপব্যবহার ঠেকাতে কড়া কেন্দ্র, আইন বদল করতে চলেছে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক