০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিজেপি শুরু থেকেই ইতিহাস বদল করার চেষ্টা করছে,  অশোক স্তম্ভের সিংহ মূর্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া পার্থর

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২২, বুধবার
  • / 74

পুবের কলম প্রতিবেদক:  বিজেপি শুরু থেকেই ইতিহাস বদল করার চেষ্টা করছে। ইতিহাসকে বিকৃত করতে চাইছে। অশোক স্তম্ভের বদল আদতে সেই চেষ্টার অংশ মাত্র। মানুষ সব দেখছে। সাধারণ মানুষ এ ধরনের চেষ্টা কখনোই তারা ভালোভাবে মেনে নেয় না। বুধবার রাজ্য বিধানসভায় পাহাড়ের কবি ভানু ভক্তের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এভাবেই অশোকস্তম্ভ বিতর্কে সরব হলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

 

আরও পড়ুন: Trinamool protest stage: গান্ধিমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলছিল সেনা, খবর পেয়েই পৌঁছলেন মমতা

মূল অনুষ্ঠানের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব বলেন,  দীর্ঘদিন ধরেই ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা হচ্ছে। অশোক স্তম্ভের পরিবর্তন করে বিজেপি নিজেদের কি বোঝাতে চাইছে আমরা জানি না, সাধারণ মানুষের সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে ওদের ধারণা নেই। শুধু ওরা বোঝেন সিংহের মুখ গর্জন করলে নিজেরা আনন্দিত হন। তবে মনে রাখতে হবে ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা সুপরিকল্পিতভাবেই বিজেপি আমলে হচ্ছে। আসলে নতুন করে ইতিহাস লেখার চেষ্টা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে অপশব্দ ব্যবহারে বিতর্ক কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে

 

আরও পড়ুন: বাংলা ভাগের দাবিদারদের সঙ্গে শমীকের বৈঠক

অশোক স্তম্ভের মুখ বদল তার একটা অংশ বিশেষ। ভারতবর্ষের মানুষ এই ধরনের ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টার বিরুদ্ধে চিরকাল ছিল। আগামী দিনও থাকবে।

 

এদিন পরিষদীয় মন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে সংগতি রেখেই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  আমাদের দেশের আইন রয়েছে জাতীয় পতাকা বা জাতীয় সংগীতের মত বিষয়গুলিকে বিকৃত করা দন্ডনীয় অপরাধ। যারা এমন কাজ করেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি হয়। আমার প্রশ্ন কিভাবে প্রধানমন্ত্রী মত একজন ব্যক্তি অশোক স্তম্ভের অবমাননা করলেন!

প্রসঙ্গত,  সংসদ ভবনের জন্য নতুন অশোক স্তম্ভের ছবি প্রকাশ্যেই আসতেই এর বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তরফ থেকে একটানা সমালোচনা চলছে। বিশেষ করে সাঁচি স্তূপে শান্ত ও সৌম্য সিংহমূর্তি ছিল তাকে পরিবর্তন করে সিংহমূর্তির যে রূপ প্রকাশ্যে এসেছে তা নিয়ে সড়ক বিরোধীরা। এ তৃণমূল কংগ্রেস আরও একধাপ এগিয়ে এই অশোকস্তম্ভের বদলকে ইতিহাসের বিকৃতি বলে আখ্যা দিল। আর পরিষদীয় চৌহদ্দি থেকে রাজ্য বিধানসভার স্পিকার প্রশ্ন তুললেন, জাতীয় প্রতীকের বিকৃতি তো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাহলে প্রধানমন্ত্রী কিভাবে সব জেনেও এটা মেনে নিলেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিজেপি শুরু থেকেই ইতিহাস বদল করার চেষ্টা করছে,  অশোক স্তম্ভের সিংহ মূর্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া পার্থর

আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২২, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক:  বিজেপি শুরু থেকেই ইতিহাস বদল করার চেষ্টা করছে। ইতিহাসকে বিকৃত করতে চাইছে। অশোক স্তম্ভের বদল আদতে সেই চেষ্টার অংশ মাত্র। মানুষ সব দেখছে। সাধারণ মানুষ এ ধরনের চেষ্টা কখনোই তারা ভালোভাবে মেনে নেয় না। বুধবার রাজ্য বিধানসভায় পাহাড়ের কবি ভানু ভক্তের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এভাবেই অশোকস্তম্ভ বিতর্কে সরব হলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

 

আরও পড়ুন: Trinamool protest stage: গান্ধিমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলছিল সেনা, খবর পেয়েই পৌঁছলেন মমতা

মূল অনুষ্ঠানের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব বলেন,  দীর্ঘদিন ধরেই ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা হচ্ছে। অশোক স্তম্ভের পরিবর্তন করে বিজেপি নিজেদের কি বোঝাতে চাইছে আমরা জানি না, সাধারণ মানুষের সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে ওদের ধারণা নেই। শুধু ওরা বোঝেন সিংহের মুখ গর্জন করলে নিজেরা আনন্দিত হন। তবে মনে রাখতে হবে ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা সুপরিকল্পিতভাবেই বিজেপি আমলে হচ্ছে। আসলে নতুন করে ইতিহাস লেখার চেষ্টা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে অপশব্দ ব্যবহারে বিতর্ক কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে

 

আরও পড়ুন: বাংলা ভাগের দাবিদারদের সঙ্গে শমীকের বৈঠক

অশোক স্তম্ভের মুখ বদল তার একটা অংশ বিশেষ। ভারতবর্ষের মানুষ এই ধরনের ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টার বিরুদ্ধে চিরকাল ছিল। আগামী দিনও থাকবে।

 

এদিন পরিষদীয় মন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে সংগতি রেখেই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  আমাদের দেশের আইন রয়েছে জাতীয় পতাকা বা জাতীয় সংগীতের মত বিষয়গুলিকে বিকৃত করা দন্ডনীয় অপরাধ। যারা এমন কাজ করেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি হয়। আমার প্রশ্ন কিভাবে প্রধানমন্ত্রী মত একজন ব্যক্তি অশোক স্তম্ভের অবমাননা করলেন!

প্রসঙ্গত,  সংসদ ভবনের জন্য নতুন অশোক স্তম্ভের ছবি প্রকাশ্যেই আসতেই এর বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তরফ থেকে একটানা সমালোচনা চলছে। বিশেষ করে সাঁচি স্তূপে শান্ত ও সৌম্য সিংহমূর্তি ছিল তাকে পরিবর্তন করে সিংহমূর্তির যে রূপ প্রকাশ্যে এসেছে তা নিয়ে সড়ক বিরোধীরা। এ তৃণমূল কংগ্রেস আরও একধাপ এগিয়ে এই অশোকস্তম্ভের বদলকে ইতিহাসের বিকৃতি বলে আখ্যা দিল। আর পরিষদীয় চৌহদ্দি থেকে রাজ্য বিধানসভার স্পিকার প্রশ্ন তুললেন, জাতীয় প্রতীকের বিকৃতি তো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাহলে প্রধানমন্ত্রী কিভাবে সব জেনেও এটা মেনে নিলেন।