১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিএএ: আরও ৬ মাসসময় চাইল কেন্দ্র

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৯ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার
  • / 87

 পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ এখনই কার্যকর হচ্ছে না নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)। কারণ, বিধি তৈরির  কাজ এখনও সম্পন্ন করে উঠতে পারেনি কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, সিএএ’র বিধি তৈরির কাজ শেষ করতে আরও ৬  মাস সময় চেয়ে রাজ্যসভার কমিটির কাছে অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যসভার কমিটি কেন্দ্রের এই  অনুরোধ মেনেও নিয়েছে। ফলে বিধি কার্যকর করা নিয়ে আরও ছ’মাস সময় পেল মোদি সরকার।

 

আরও পড়ুন: Delhi riots case: উমর খালিদদের জামিনের আবেদনে দিল্লি পুলিশের কাছে নোটিস জারি supreme court-এর

উল্লেখ্য, সিএএ-এর বিধি তৈরির ক্ষেত্রে এই নিয়ে সাতবার সময় বাড়ানোর অনুরোধ করল কেন্দ্র। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার সংশ্লিষ্ট কমিটিকে জানানো হয়, সিএএ আইনের বিধি তৈরির ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় প্রয়োজন তাদের। না হলে এই আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, কেন্দ্র আরও ৬ মাস সময় চাওয়ায় রাজ্যসভার ওই কমিটি তাদের ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছে বিধি তৈরির কাজ সম্পন্ন করার জন্য।

আরও পড়ুন: জিএসটি কাঠামোয় বদল নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব অমিত মিত্র

 

আরও পড়ুন: নয়া ওষুধ ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ম বদল করছে কেন্দ্র, ক্ষোভ চিকিৎসা মহলে

উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বরে এক সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়ে ছিলেন, ‘করোনার প্রকোপ থাকায় সিএএ কার্যকর করার ক্ষেত্রে বিলম্ব হয়েছে। তবে এই আইন অবশ্যই কার্যকর হবে। যার অন্য রকম কিছু ভাবছে তারা ভুল প্রমাণিত হবে।’ উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সংসদে পাশ হয় সিএএ। আর তার ঠিক পরদিনই তাতে সই করেন রাষ্ট্রপতি। তবে কেন্দ্রের এই আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। উত্তাল হয় দিল্লি থেকে অসম। দিল্লির শাহিনবাগ আন্দোলন সাড়া ফেলে দেয়।  প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বিজেপি সরকারের রোষে কমপক্ষে ৮৩জনের মৃত্যু হয়। জখম হন বহু প্রতিবাদী মানুষ।

 

এই আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন ও পার্সিদের  নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়। ব্রাত্য রাখা হয় শুধু মুসলিমদের। যদিও ভারতের মুসলিমরা এই ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল যে, শুধুমাত্র তাদেরকে নিশানা করতেই এই আইন করা হচ্ছে। এই আইন হচ্ছে এনআরসি তৈরির আগের ধাপ। এই আইন কার্যকর হওয়ার পর দেশজুড়ে এনআরসি হবে। আর তখন ‘অনুপ্রবেশকারী’দের বিতাড়নের নামে টার্গেট করা হবে মুসলিমদের। মূলত, এই আতঙ্ক থেকেই পথে নামে মুসলিমরা। জানানো হয় প্রতিবাদ। যদিও পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু সহ কিছু রাজ্য বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস করে জানায়, তারা তাদের রাজ্যে এই আইন চায় না।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সিএএ: আরও ৬ মাসসময় চাইল কেন্দ্র

আপডেট : ৯ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার

 পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ এখনই কার্যকর হচ্ছে না নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)। কারণ, বিধি তৈরির  কাজ এখনও সম্পন্ন করে উঠতে পারেনি কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, সিএএ’র বিধি তৈরির কাজ শেষ করতে আরও ৬  মাস সময় চেয়ে রাজ্যসভার কমিটির কাছে অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যসভার কমিটি কেন্দ্রের এই  অনুরোধ মেনেও নিয়েছে। ফলে বিধি কার্যকর করা নিয়ে আরও ছ’মাস সময় পেল মোদি সরকার।

 

আরও পড়ুন: Delhi riots case: উমর খালিদদের জামিনের আবেদনে দিল্লি পুলিশের কাছে নোটিস জারি supreme court-এর

উল্লেখ্য, সিএএ-এর বিধি তৈরির ক্ষেত্রে এই নিয়ে সাতবার সময় বাড়ানোর অনুরোধ করল কেন্দ্র। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার সংশ্লিষ্ট কমিটিকে জানানো হয়, সিএএ আইনের বিধি তৈরির ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় প্রয়োজন তাদের। না হলে এই আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, কেন্দ্র আরও ৬ মাস সময় চাওয়ায় রাজ্যসভার ওই কমিটি তাদের ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছে বিধি তৈরির কাজ সম্পন্ন করার জন্য।

আরও পড়ুন: জিএসটি কাঠামোয় বদল নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব অমিত মিত্র

 

আরও পড়ুন: নয়া ওষুধ ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ম বদল করছে কেন্দ্র, ক্ষোভ চিকিৎসা মহলে

উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বরে এক সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়ে ছিলেন, ‘করোনার প্রকোপ থাকায় সিএএ কার্যকর করার ক্ষেত্রে বিলম্ব হয়েছে। তবে এই আইন অবশ্যই কার্যকর হবে। যার অন্য রকম কিছু ভাবছে তারা ভুল প্রমাণিত হবে।’ উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সংসদে পাশ হয় সিএএ। আর তার ঠিক পরদিনই তাতে সই করেন রাষ্ট্রপতি। তবে কেন্দ্রের এই আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। উত্তাল হয় দিল্লি থেকে অসম। দিল্লির শাহিনবাগ আন্দোলন সাড়া ফেলে দেয়।  প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বিজেপি সরকারের রোষে কমপক্ষে ৮৩জনের মৃত্যু হয়। জখম হন বহু প্রতিবাদী মানুষ।

 

এই আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন ও পার্সিদের  নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়। ব্রাত্য রাখা হয় শুধু মুসলিমদের। যদিও ভারতের মুসলিমরা এই ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল যে, শুধুমাত্র তাদেরকে নিশানা করতেই এই আইন করা হচ্ছে। এই আইন হচ্ছে এনআরসি তৈরির আগের ধাপ। এই আইন কার্যকর হওয়ার পর দেশজুড়ে এনআরসি হবে। আর তখন ‘অনুপ্রবেশকারী’দের বিতাড়নের নামে টার্গেট করা হবে মুসলিমদের। মূলত, এই আতঙ্ক থেকেই পথে নামে মুসলিমরা। জানানো হয় প্রতিবাদ। যদিও পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু সহ কিছু রাজ্য বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস করে জানায়, তারা তাদের রাজ্যে এই আইন চায় না।