০২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্যানসারের জীবাণু! গোটা বিশ্বে এবার জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি ট্যাল্ক পাউডার বন্ধের ঘোষণা কোম্পানির

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১২ অগাস্ট ২০২২, শুক্রবার
  • / 21

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  গোটা বিশ্বে পরিচিত জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি ট্যাল্ক পাউডার। তবে এবার এই পাউডার আর পাওয়া যাবে না। জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানি আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বে বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে। ২০২০ সালেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতে এই পাউডার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবার গোটা বিশ্বেই এই পাউডার বন্ধের কথা ঘোষণা করল জনসন অ্যান্ড জনসন।

সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, এই পাউডার বন্ধ করা নিয়ে হাজার হাজার ভোক্তা নিরাপত্তার প্রসঙ্গ তুলে মামলা করেছেন।

আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম এআই হাসপাতাল চালু করল চিন, এখন চিকিৎসা করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!

২০২০ সালে সংস্থাটি জানিয়ে দিয়েছিল, এই বেবি পাওডার আমেরিকা এবং কানাডায় বিক্রি বন্ধ করবে। কারণ হিসেবে তারা জানায়, এই প্রোডাক্টের নিরাপত্তা নিয়ে নানা ধরনের ভুল তথ্য ছড়িয়েছে বাজারে, যার ফলে এর চাহিদা কমে গিয়েছে অনেকটাই। এই সংস্থার পাউডারে ‘ক্যানসার’ জীবাণুর ভয় রয়েছে বলেও আইনি পদক্ষেপ আরও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে গ্রাহকদের মধ্যে। পরিস্থিতি দেখে এবার বাজার থেকে এই শিশু স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত পণ্য বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়ারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানির বিরুদ্ধে ৩৮ হাজার মামলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: যুদ্ধ, সহিংসতা, নিপীড়নঃ বিশ্বের ১০ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত

তবে জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কয়েক দশক ধরে পরীক্ষা ও অনুমোদনের পরেই এই ট্যাল্ক পাউডারকে সুরক্ষিত ও ব্যবহারের জন্য নিরাপদ বলে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে অ্যাসবেস্টস নেই।

 

বৃহস্পতিবার কোম্পানি একটি বিবৃতি দিয়ে এই প্রোডাক্ট বন্ধ করার কথা ঘোষণা করে।
সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলে, ‘বিশ্বব্যাপী পোর্টফোলিও মূল্যায়নের অংশ হিসেবে আমরা কর্নস্টার্চ-ভিত্তিক বেবি পাউডার পোর্টফোলিওতে রূপান্তর করার বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কর্নস্টার্চ-ভিত্তিক বেবি পাউডার ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে ২০২০ সালে জনসন অ্যান্ড জনসন বলে, তারা আমেরিকা ও কানাডায় তাদের বেবি ট্যালকম পাউডার বিক্রি বন্ধ করবে। কারণ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে তাদের পণ্যের চাহিদা কমে গিয়েছিল।

১৮৯৪ সালে জনসন অ্যান্ড জনসন এই বেডি পাউডার বাজারে আনে। ক্রমেই এটি পরিবার বান্ধব ইমেজ হিসেবে গড়ে ওঠে। একাধিক মামলা কারণে বহু বছরের এই পাউডার আজ বন্ধের মুখে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ক্যানসারের জীবাণু! গোটা বিশ্বে এবার জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি ট্যাল্ক পাউডার বন্ধের ঘোষণা কোম্পানির

আপডেট : ১২ অগাস্ট ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  গোটা বিশ্বে পরিচিত জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি ট্যাল্ক পাউডার। তবে এবার এই পাউডার আর পাওয়া যাবে না। জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানি আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বে বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে। ২০২০ সালেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতে এই পাউডার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবার গোটা বিশ্বেই এই পাউডার বন্ধের কথা ঘোষণা করল জনসন অ্যান্ড জনসন।

সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, এই পাউডার বন্ধ করা নিয়ে হাজার হাজার ভোক্তা নিরাপত্তার প্রসঙ্গ তুলে মামলা করেছেন।

আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম এআই হাসপাতাল চালু করল চিন, এখন চিকিৎসা করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!

২০২০ সালে সংস্থাটি জানিয়ে দিয়েছিল, এই বেবি পাওডার আমেরিকা এবং কানাডায় বিক্রি বন্ধ করবে। কারণ হিসেবে তারা জানায়, এই প্রোডাক্টের নিরাপত্তা নিয়ে নানা ধরনের ভুল তথ্য ছড়িয়েছে বাজারে, যার ফলে এর চাহিদা কমে গিয়েছে অনেকটাই। এই সংস্থার পাউডারে ‘ক্যানসার’ জীবাণুর ভয় রয়েছে বলেও আইনি পদক্ষেপ আরও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে গ্রাহকদের মধ্যে। পরিস্থিতি দেখে এবার বাজার থেকে এই শিশু স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত পণ্য বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়ারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানির বিরুদ্ধে ৩৮ হাজার মামলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: যুদ্ধ, সহিংসতা, নিপীড়নঃ বিশ্বের ১০ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত

তবে জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কয়েক দশক ধরে পরীক্ষা ও অনুমোদনের পরেই এই ট্যাল্ক পাউডারকে সুরক্ষিত ও ব্যবহারের জন্য নিরাপদ বলে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে অ্যাসবেস্টস নেই।

 

বৃহস্পতিবার কোম্পানি একটি বিবৃতি দিয়ে এই প্রোডাক্ট বন্ধ করার কথা ঘোষণা করে।
সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলে, ‘বিশ্বব্যাপী পোর্টফোলিও মূল্যায়নের অংশ হিসেবে আমরা কর্নস্টার্চ-ভিত্তিক বেবি পাউডার পোর্টফোলিওতে রূপান্তর করার বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কর্নস্টার্চ-ভিত্তিক বেবি পাউডার ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে ২০২০ সালে জনসন অ্যান্ড জনসন বলে, তারা আমেরিকা ও কানাডায় তাদের বেবি ট্যালকম পাউডার বিক্রি বন্ধ করবে। কারণ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে তাদের পণ্যের চাহিদা কমে গিয়েছিল।

১৮৯৪ সালে জনসন অ্যান্ড জনসন এই বেডি পাউডার বাজারে আনে। ক্রমেই এটি পরিবার বান্ধব ইমেজ হিসেবে গড়ে ওঠে। একাধিক মামলা কারণে বহু বছরের এই পাউডার আজ বন্ধের মুখে।