০২ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পশ্চিমা-বিরোধী আইন পাস চিনে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ জুলাই ২০২৩, রবিবার
  • / 252

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক:  পশ্চিমা আধিপত্য রুখতে ও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাকে আরও সুসংহত করতে নতুন একটি আইন পাস করল শি জিনপিং সরকার। এতে বেজিংয়ের স্বার্থবিরোধী যে কোনও উদ্যোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন চিনা প্রেসিডেন্ট। সাম্প্রতিক সময়ে  নানা ইস্যুতে চিনের সক্রিয় অবস্থান ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। অন্যতম পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বলয়কে পাশ কাটিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিচ্ছে চিন। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, সমগ্র পশ্চিমের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই আগ্রাসী কূটনীতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে চিন। আর এবার পশ্চিমা-বিরোধী নতুন আইন পাসের ঘটনা। বিদেশি নিষেধাজ্ঞার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটি আইনটি পাস করে। এর মূল বিষয় অবশ্য চিনা নেতা জিনপিংয়ের ক্ষমতাকে আরও পোক্ত করা। বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও হংকং ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেওয়া চিন বিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হবে আইনটি। চিনা নাগরিকদের বিরুদ্ধে কেউ কোনও বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ নিলে তাদের ‘স্যাংশন লিস্টে’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা প্রবেশ করতে পারবেন না চিনে। দেশটিতে থাকা তাদের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও সুসংহত করলেন জিনপিং। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আইনের ফলে পশ্চিমা আধিপত্য থেকে মুক্ত থাকবে বেজিং শাসিত ও নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলি।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পশ্চিমা-বিরোধী আইন পাস চিনে

আপডেট : ২ জুলাই ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক:  পশ্চিমা আধিপত্য রুখতে ও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাকে আরও সুসংহত করতে নতুন একটি আইন পাস করল শি জিনপিং সরকার। এতে বেজিংয়ের স্বার্থবিরোধী যে কোনও উদ্যোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন চিনা প্রেসিডেন্ট। সাম্প্রতিক সময়ে  নানা ইস্যুতে চিনের সক্রিয় অবস্থান ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। অন্যতম পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বলয়কে পাশ কাটিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিচ্ছে চিন। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, সমগ্র পশ্চিমের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই আগ্রাসী কূটনীতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে চিন। আর এবার পশ্চিমা-বিরোধী নতুন আইন পাসের ঘটনা। বিদেশি নিষেধাজ্ঞার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটি আইনটি পাস করে। এর মূল বিষয় অবশ্য চিনা নেতা জিনপিংয়ের ক্ষমতাকে আরও পোক্ত করা। বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও হংকং ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেওয়া চিন বিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হবে আইনটি। চিনা নাগরিকদের বিরুদ্ধে কেউ কোনও বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ নিলে তাদের ‘স্যাংশন লিস্টে’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা প্রবেশ করতে পারবেন না চিনে। দেশটিতে থাকা তাদের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও সুসংহত করলেন জিনপিং। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আইনের ফলে পশ্চিমা আধিপত্য থেকে মুক্ত থাকবে বেজিং শাসিত ও নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলি।