৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পর্তুগিজ সংসদে ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’র বিল,বিরোধিতায় চার্চ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 62

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পর্তুগালের পার্লামেন্টে  ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’ অনুমোদনে একটি  বিল পাস হয়েছে। পাস হওয়ার আগে প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করেন দেশটির সাংসদরা। আগামীতে এটি আইনে পরিণত হতে পারে, তখন নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছামৃত্যুর বিষয়টি বৈধতা পাবে। স্বেচ্ছামৃত্যুর বিষয়টিকে ‘ইউথানেশিয়া’ বলা হচ্ছে। প্রস্তাবে বলা হয়, এটি শুধুমাত্র বয়স্কদের জন্য অনুমোদিত হবে। স্বেচ্ছামৃত্যু হল নিজ ইচ্ছায় মৃত্যুবরণ করা বা আত্মহত্যা করা। অধিকাংশ ধর্মেই এ স্বেচ্ছামৃত্যু বা আত্মহত্যা করা নিষিদ্ধ।

 

আরও পড়ুন: সংসদের বাদল অধিবেশনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল কেন্দ্র

পর্তুগালের অর্ধেকেরও কম নাগরিক চিকিৎসা সহায়তার মাধ্যমে স্বেচ্ছামৃত্যু বা আত্মহত্যার পক্ষে। তবে দেশটির ক্যাথলিক চার্চের মতো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। শুধু পর্তুগাল নয়, স্বেচ্ছা মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে বিশ্বের বহু দেশে বিতর্ক চলছে। তবে এ বিতর্কের মধ্যেই বিশ্বের অনেক দেশই ইতিমধ্যে এ ধরনের মৃত্যুকে আইনি বৈধতা দিয়েছে। সর্বশেষ গত বছর নিউজিল্যান্ডে ‘নিজের ইচ্ছায় মৃত্যু’ আইন কার্যকর করা হয়েছে। ব্রিটেনের আইনে ইউথানেশিয়া বেআইনি ও এটাকে নরহত্যা বা হত্যা বলে গণ্য করা হয়।

আরও পড়ুন: সিডিএস-র স্বীকারোক্তির পর সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দাবি

 

আরও পড়ুন: সর্বদলীয় প্রতিনিধিরা বিদেশ থেকে ফিরলেই সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার আর্জি মমতার

তবে এটি তিনটি ইউরোপীয় দেশে সম্পূর্ণ বৈধ। দেশগুলো হলো বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ডস। তবে চিকিৎসা সহায়তায় মৃত্যুর আরও কিছু ধরন রয়েছে। যা আরও অনেক ইউরোপীয় দেশে বৈধ। পর্তুগালের সংসদ স্বেচ্ছা মৃত্যুকে বৈধতা দিয়ে  আইন অনুমোদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্বেচ্ছামৃত্যু বেছে নিতে চাওয়া ব্যক্তিকে অবশ্যই ‘অত্যন্ত জটিল বা গুরুতর এবং নিশ্চিত কোনও আঘাত বা দুরারোগ্য রোগের কারণে প্রচণ্ড তীব্র যন্ত্রণার পরিস্থিতিতে’ থাকতে হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পর্তুগিজ সংসদে ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’র বিল,বিরোধিতায় চার্চ

আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পর্তুগালের পার্লামেন্টে  ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’ অনুমোদনে একটি  বিল পাস হয়েছে। পাস হওয়ার আগে প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করেন দেশটির সাংসদরা। আগামীতে এটি আইনে পরিণত হতে পারে, তখন নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছামৃত্যুর বিষয়টি বৈধতা পাবে। স্বেচ্ছামৃত্যুর বিষয়টিকে ‘ইউথানেশিয়া’ বলা হচ্ছে। প্রস্তাবে বলা হয়, এটি শুধুমাত্র বয়স্কদের জন্য অনুমোদিত হবে। স্বেচ্ছামৃত্যু হল নিজ ইচ্ছায় মৃত্যুবরণ করা বা আত্মহত্যা করা। অধিকাংশ ধর্মেই এ স্বেচ্ছামৃত্যু বা আত্মহত্যা করা নিষিদ্ধ।

 

আরও পড়ুন: সংসদের বাদল অধিবেশনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল কেন্দ্র

পর্তুগালের অর্ধেকেরও কম নাগরিক চিকিৎসা সহায়তার মাধ্যমে স্বেচ্ছামৃত্যু বা আত্মহত্যার পক্ষে। তবে দেশটির ক্যাথলিক চার্চের মতো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। শুধু পর্তুগাল নয়, স্বেচ্ছা মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে বিশ্বের বহু দেশে বিতর্ক চলছে। তবে এ বিতর্কের মধ্যেই বিশ্বের অনেক দেশই ইতিমধ্যে এ ধরনের মৃত্যুকে আইনি বৈধতা দিয়েছে। সর্বশেষ গত বছর নিউজিল্যান্ডে ‘নিজের ইচ্ছায় মৃত্যু’ আইন কার্যকর করা হয়েছে। ব্রিটেনের আইনে ইউথানেশিয়া বেআইনি ও এটাকে নরহত্যা বা হত্যা বলে গণ্য করা হয়।

আরও পড়ুন: সিডিএস-র স্বীকারোক্তির পর সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দাবি

 

আরও পড়ুন: সর্বদলীয় প্রতিনিধিরা বিদেশ থেকে ফিরলেই সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার আর্জি মমতার

তবে এটি তিনটি ইউরোপীয় দেশে সম্পূর্ণ বৈধ। দেশগুলো হলো বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ডস। তবে চিকিৎসা সহায়তায় মৃত্যুর আরও কিছু ধরন রয়েছে। যা আরও অনেক ইউরোপীয় দেশে বৈধ। পর্তুগালের সংসদ স্বেচ্ছা মৃত্যুকে বৈধতা দিয়ে  আইন অনুমোদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্বেচ্ছামৃত্যু বেছে নিতে চাওয়া ব্যক্তিকে অবশ্যই ‘অত্যন্ত জটিল বা গুরুতর এবং নিশ্চিত কোনও আঘাত বা দুরারোগ্য রোগের কারণে প্রচণ্ড তীব্র যন্ত্রণার পরিস্থিতিতে’ থাকতে হবে।