পুবের কলম প্রতিবেদক: কলকাতা পুর এলাকায় ফের বাড়ছে করোনা। বৃহস্পতিবার শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২৫। যা শুক্রবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৫-এ। পুর স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শহরে সংক্রমণ ছড়ালেও উত্তরের তুলনায় দক্ষিণে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। পুর স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, আক্রান্তের বেশির ভাগই উপসর্গহীন। পুরসভার তরফে তাঁদের খোঁজখবর নিতে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তবে এখনই আতঙ্কের কারণ না দেখলেও পুরসভার তরফে কোভিড-বিধি মেনে চলার আবেদন জানানো হচ্ছে শহরবাসীকে।
পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের এক শীর্ষ আধিকারিক বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘করোনা বাড়লেও ভয়ের কারণ নেই। পুরসভার তরফে সকলকে মাস্ক পরে বেরোনোর আবেদন জানানো হচ্ছে। আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার নিয়মিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’’ করোনা বাড়তে থাকায় গত সপ্তাহে মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তাঁর নির্দেশ মতো পুরসভা পরিচালিত বাজারের সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে পুর প্রশাসন। বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেই যাতে মাস্ক পরেন, সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে সুপারদের। এক পুর আধিকারিক জানান, বিভিন্ন বাজার নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করতে কাজ করবে জঞ্জাল অপসারণ বিভাগ। ইতিমধ্যেই বাজার ধরে ধরে সেই জীবাণুনাশের কাজ শুরু হয়েছে।
পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থাও চালু রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের এক আধিকারিক জানান, প্রতি ৫০ লক্ষ শহরবাসীর মধ্যে ১০০ জন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে তাঁদের বেশির ভাগই উপসর্গহীন। ওই আধিকারিক আরও জানান, অবস্থা এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই শহরে এই মুহূর্তে সেফ হোম চালু করার কোনও পরিকল্পনা নেই পুরসভার।
১৪৪টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদের মাস্ক পরে আসার নির্দেশ আগেই দিয়েছে পুর স্বাস্থ্য বিভাগ। পাশাপাশি, মাস্কহীন রোগী সেখানে এলে তাঁকেও মাস্ক দেওয়া হচ্ছে। গত দু’বছরে উত্তরের তুলনায় দক্ষিণে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি ছিল। সেই সময়ে বিভিন্ন আবাসনে করোনা ছড়িয়েছিল। এখনও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় পুর স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে বাইরে বেরোলে মাস্ক পরার আবেদন জানাচ্ছে তারা।