‘আপনারা আছেন বলেই দেশবাসী নিশ্চিন্তে থাকেন’, দীপাবলিতে কার্গিলে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি

- আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২২, সোমবার
- / 14
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রতিবারের মতোই এবারেও নিয়মের অন্যথা হল না। দীপাবলির দিন সেনা জওয়ানদের সঙ্গেই কাটাতে ভালোবাসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবারে সেই প্রথা মেনেই সীমান্তে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে কাটালেন প্রধানমন্ত্রী। কার্গিল সীমান্তে সেনাজওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলির আনন্দ ভাগ করে নেবেন প্রধানমন্ত্রী৷
পিএমও-র পক্ষ থেকে সেই ছবি ট্যুইট করা হয়েছে৷ ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রতি দীপাবলিতেই সেনা জওয়ানদের সঙ্গে এই দিনটি উদযাপন করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। সে বছর সিয়াচেনে প্রথম দীপাবলি উদযাপন করেছিলেন। সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপনের ঐতিহ্য বজায় রেখে এবার কার্গিলকে বেছে নিলেন তিনি। ১১ নভেম্বর ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদি পঞ্জাবে সৈন্যদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেছেন। এখানে তিনি ১৯৬৫ সালের যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনেও আসেন। ৩০ অক্টোবর ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হিমাচলের কিন্নর পৌঁছেছিলেন। এখানে তিনি ভারত-চিন সীমান্তের কাছে সেনাদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেন।
১৮ অক্টোবর ২০১৭ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের গুরেজে, ৭ নভেম্বর ২০১৮ উত্তরাখণ্ডের হরশিলে ইন্দো-তিব্বত সীমান্তে, ২৭ অক্টোবর ২০১৯-এ এলওসি বরাবর সৈন্যদের সঙ্গে, এবং ১৪ নভেম্বর ২০২০ সালে জয়সলমেরের লংয়েওয়ালা পোস্ট আর ৪ নভেম্বর ২০২১ সালে রাজৌরির নওশেরা সেক্টরে সৈন্যদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেছিলেন।
জওয়ানদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বহু বছর ধরেই আমার কাছে আপনারাই পরিবার, দীপাবলির এই শুভ দিনটি আপনাদের মাঝে কাটানোর সুযোগ পাওয়া সৌভাগ্য। এর থেকে ভালোভাবে আর দীপাবলি পালন করা যায় না।
সেনা জওয়ানদের সাহসিকতার প্রশংসা করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর মুখে উঠে এসেছে তাঁর সরকারের আমলে অর্থনীতির উন্নয়ন, স্টার্ট আপ তৈরি, ইসরোর সাফল্য, দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ এবং আত্মনির্ভর ভারতের কথা৷ মোদি বলেন, ‘কার্গিল ভারতীয় সেনার বীরত্বের সাক্ষী৷ আপনাদের সীমান্তের প্রহরা দেশের মজবুতির স্তম্ভ৷ আপনারা আছেন বলেই দেশবাসী নিশ্চিন্তে থাকেন৷’
সরকারের স্তুতি গেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেনা জওয়ানদের সময় মতো প্রয়োজনীয় রসদ অনেক দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে৷ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে৷ এসব দেখলে সেনা জওয়ানরাও অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন৷ যখন তিনি দেখেন যে তাঁর বাড়িতে ফোনে কথা বলা সহজ হয়েছে, বাড়ি ফিরতে সময় কম লাগছে৷’ সেনা জওয়ানদের সামনে দেশের অর্থনীতির উন্নতির কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি দশ থেকে পাঁচ নম্বরে পৌঁছেছে৷ আপনাদের মতো যুবা সীমান্ত সামলাচ্ছেন, আর আপনাদের মতোই যুব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা আশি হাজার স্টার্ট আপ খুলে ফেলেছে৷ দু’ দিন আগে ইসরো একসঙ্গে ৩৬টি নতুন উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে৷ এই উন্নয়নে সেনার বুকের ছাতি গর্বে আরও চওড়া হয়ে যাবে’।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের কড়া অবস্থানের তুলে ধরে মোদি বলেন, দুর্নীতিপরায়ণরা যত শক্তিশালী হোক না কেন, কেউ পার পাবে না৷ সন্ত্রাস, নকশাল, চরমপন্থার বিরুদ্ধেও তাঁর সরকার কতটা কড়া অবস্থান নিয়েছে। দেশ ক্রমশই আত্মনির্ভরতার দিকে এগোচ্ছে। দেশেই এখন তৈরি হচ্ছে সেনাবাহিনীর বহু অস্ত্র৷ যে অস্ত্র হাতে যুদ্ধক্ষেত্রে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন দেশের সেনা জওয়ানরা৷
সোমবার দেশবাসীকে দীপাবলির শুভকামনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘সবাইকে দীপাবলির শুভেচ্ছা। দীপাবলি উজ্জ্বলতা এবং আলোকের সঙ্গে জড়িত। এই শুভ উৎসব আমাদের জীবনে আনন্দ ও মঙ্গল চেতনাকে আরও বাড়িয়ে তুলুক। আমি আশা করি, আপনি পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সুন্দরভাবে দীপাবলি উদযাপন করবেন।’